দিদি বলিউডের অভিনেত্রী। বলিপাড়ায় পা রেখেছিলেন তিনিও। কিন্তু বেশি দিন অভিনয়জগতে থাকেননি। ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বড় পর্দায় দেখা যায়নি তাঁকে। অথচ আড়ালে-আবডালে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনার অন্ত নেই। ক্রিকেটারের সঙ্গে নাকি প্রেম ছিল তাঁর। সম্পর্ক ভেঙে গেলে প্রিয় বান্ধবীর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় বন্ধুত্বও ভেঙে দিয়েছিলেন বলি অভিনেত্রী অমৃতা অরোরা।
বলি অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার বোন অমৃতা। তাঁদের বয়সের তফাত চার বছরের। বয়সে বড় হওয়ার পাশাপাশি অভিনয়জগতেও অমৃতার চেয়ে মালাইকা ‘সিনিয়র’। ২০১৫ সালের পর অভিনয় থেকে শতহস্ত দূরে অমৃতা। মালাইকা এখন বড় পর্দার চেয়ে বেশি ব্যস্ত ছোট পর্দার কাজ নিয়ে। নাচের রিয়্যালিটি শোয়ের বিচারকের আসনে প্রায়ই দেখা যায় মালাইকাকে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, বিয়ের পর অভিনয় থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন অমৃতা। স্বামী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে সংসারেই ব্যস্ত থাকেন তিনি। করিনা কপূর খান, সোহা আলি খানের সঙ্গে বহু পার্টিতে দেখা পাওয়া যায় তাঁর।
২০০৯ সালে শাকিল লাদাক নামে এক তরুণকে বিয়ে করেন অমৃতা। পেশায় শিল্পপতি তিনি। তবে শাকিলকে বিয়ের আগে থেকেই চিনতেন অমৃতা। তখন যদিও অন্য এক তরুণের প্রেমে মজেছিলেন নায়িকা। শাকিল তখন ছিলেন অমৃতার বন্ধুস্থানীয়।
বলিউডের জনশ্রুতি, কলেজে পড়াকালীন অমৃতার প্রিয় বান্ধবী ছিলেন নিশা রানা। নিশার সঙ্গে প্রেম করতেন শাকিল। প্রিয় বান্ধবীর প্রেমিক বলে কথা! তাই শাকিলের সঙ্গে বেশ দুষ্টুমিষ্টি সম্পর্ক ছিল অমৃতার।
২০০৬ সালে নিশাকে বিয়ে করেন শাকিল। নিশা এবং শাকিলের বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিলেন তাঁদের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অমৃতা। সেই সময় ক্রিকেটার উসমান আফজলের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অমৃতা। সম্পর্ক নিয়ে সরাসরি তাঁরা কিছু না বললেও ছবিশিকারিদের ক্যামেরায় মাঝেমধ্যেই একসঙ্গে ধরা দিতেন তাঁরা।
উসমানের সঙ্গে অমৃতার সম্পর্ক বেশি দিন টেকেনি। সম্পর্ক ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের। অন্য দিকে, বিয়ের পর নিশার সঙ্গেও তেমন যোগাযোগ ছিল না অমৃতার। ঘটনাচক্রে দু’বছর পর শাকিলের সঙ্গে দেখা হয় অমৃতার। তখন শাকিল ছিলেন বাঁধনছাড়া।
বলিপাড়ার একাংশের দাবি, শাকিলের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর অমৃতা জানতে পারেন যে, নিশার সঙ্গে শাকিলের ২০০৮ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। সংসার ভেঙেছিল শাকিলের। উসমানের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর সেই সময় ‘সিঙ্গল’ ছিলেন অমৃতাও। সেই সময়ে শাকিলের সঙ্গে অমৃতার সম্পর্ক নতুন ভাবে দানা বাঁধতে শুরু করে।
বলিপাড়ার গুঞ্জন, অমৃতা এবং শাকিলের বন্ধুত্ব প্রেমে পরিণতি পায়। সে কথা জানাজানি হওয়ার পর প্রিয় বান্ধবীকে সমালোচনার তিরে বিদ্ধ করেন নিশা। নিশার দাবি, অমৃতাই নাকি তাঁর এবং শাকিলের সংসারে ‘তৃতীয় ব্যক্তি’ ছিলেন। অমৃতার সঙ্গে শাকিলের পরকীয়ার কারণেই নিশার বিবাহবিচ্ছেদ হয়।
নিশার দাবি উড়িয়ে দেন অমৃতার মা জয়েস পলিকার্প। মেয়ের সমালোচনা সহ্য করতে পারেননি তিনি। জয়েসের দাবি, অমৃতার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর আগেই শাকিল তাঁকে নিশার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন। নিশার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই তা জানার পরেই শাকিলের সঙ্গে অমৃতার বন্ধুত্ব গভীর হতে শুরু করে।
প্রিয় বান্ধবীর কাছ থেকে এমন ব্যবহার আশা করেননি অমৃতা। বলিউডের গুঞ্জন, নিশার সঙ্গে নাকি অমৃতার বন্ধুত্ব এই তিক্ততার কারণেই ভেঙে গিয়েছিল। তাঁরা নাকি আর একে অপরের মুখ পর্যন্ত দেখেননি।
২০০৯ সালের মার্চ মাসে মুম্বইয়ের এক বিলাসবহুল রেস্তরাঁয় শাকিলকে বিয়ে করেন অমৃতা। বিয়ের এক বছর পর ২০১০ সালে পুত্রসন্তানের জন্ম দেন অমৃতা। ২০১২ সালে আরও এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
২০০৯ সালে বড় পর্দায় মুক্তি পায় ‘এক থো চান্স’ নামের হিন্দি ছবি। এই ছবির পর আর কোনও সিনেমায় অভিনয় করতে দেখা যায়নি অমৃতাকে। ছ’বছর পর ছোট পর্দায় ‘কুছ তো হ্যায় তেরে মেরে দরমিয়া’ নামের ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। তার পর থেকে অভিনয়জগৎ থেকে দূরেই রয়েছেন অমৃতা।