Israel vs Arab NATO

ইজ়রায়েলকে ধ্বংস করতে ইসলামীয় ফৌজ চায় পাকিস্তান! মুসলিম দুনিয়ার ‘আরব নেটো’ কি সোনার পাথরবাটি?

ইজ়রায়েলকে ধ্বংস করতে ইসলামীয় ফৌজ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান-সহ একাধিক ইসলামীয় দেশ। ইহুদিদের বিরুদ্ধে এককাট্টা হওয়া মুসলিম দেশগুলির দু’চোখে রয়েছে ‘আরব নেটো’ তৈরির স্বপ্ন। আদৌ কি সেটা সম্ভব?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:৩৪
Share:
০১ ২০

কাতার-কাণ্ডের পর এককাট্টা আরব দুনিয়া। ‘আগ্রাসী’ ইজ়রায়েলকে চরম শিক্ষা দিতে নেটোর আদলে সামরিক জোট তৈরির দাবি তুলেছে একগুচ্ছ ইসলামীয় রাষ্ট্র। সেই তালিকায় রয়েছে পরমাণু শক্তিধর পাকিস্তানও। ফলে ফের এক বার অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়তে চলেছে বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্র? শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দেশগুলির মধ্যে সামরিক চুক্তি হলে কতটা চাপে পড়বে ভারত? ইতিমধ্যেই এই সমস্ত প্রশ্নে দুনিয়া জু়ড়ে পড়ে গিয়েছে শোরগোল।

০২ ২০

চলতি বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইহুদি বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণে কেঁপে ওঠে কাতারের রাজধানী দোহা। ওই সময় মাত্র ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আরও কয়েকটি দেশে হামলা চালায় ইজ়রায়েল। সেই তালিকায় ছিল পশ্চিম এশিয়ার লেবানন, সিরিয়া, ইয়েমেন এবং উত্তর আফ্রিকার তিউনিশিয়া। এ ছাড়া প্যালেস্টাইনের গাজ়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তেল আভিভের ফৌজ। এই পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলি ‘আগ্রাসন’ ঠেকাতে গত ১৫ সেপ্টেম্বর মুসলিম দেশগুলির মহাসম্মেলনের আয়োজন করে উপসাগরীয় দেশ কাতার।

Advertisement
০৩ ২০

সংশ্লিষ্ট বৈঠকে ওঠে নেটোর আদলে ইসলামীয় সামরিক জোট তৈরির প্রসঙ্গ, যার প্রস্তাব দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছেন পাকিস্তান উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ইশক দার। দোহার সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামীয় দেশগুলিতে বার বার আক্রমণ এবং গণহত্যা চালিয়ে কোনও ভাবেই পার পেতে পারে না ইজ়রায়েল।’’ আর তাই ‘ইহুদি রাষ্ট্রটির নকশা’ পর্যবেক্ষণের জন্য ‘আরব-ইসলামিক টাস্ক ফোর্স’ গঠনের দাবি তোলেন তিনি।

০৪ ২০

প্রায় একই কথা শোনা গিয়েছে ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মহম্মদ শিয়া আল-সুদানির গলায়। তাঁর কথায়, ‘‘ইসলামীয় দেশগুলির কাছে এমন কিছু হাতিয়ার রয়েছে, যা ইজ়রায়েলকে ঠেকাতে সফল ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। গাজ়া ও কাতারে ইহুদি ফৌজের হামলার প্রত্যাঘাত করার সময় চলে এসেছে।’’ বর্তমান পরিস্থিতিতে তেল আভিভকে দেওয়া তাঁর এই হুঁশিয়ারিকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। আরব দুনিয়ার অস্ত্র বলতে অপরিশোধিত খনিজ তেলকে তিনি বুঝিয়েছেন কি না, তা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা।

০৫ ২০

কাতারের জনপ্রিয় গণমাধ্যম অল জ়াজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, দোহার সম্মেলনে ইজ়রায়েলবিরোধী একাধিক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করেছে ইসলামীয় দুনিয়া। এর মধ্যে রয়েছে যৌথ আরব সামরিক কমান্ড নির্মাণ, যার সদর দফতর থাকবে মিশরের রাজধানী কায়েরোয়। এর নেতৃত্ব নিজের হাতে রাখতে চাইছে উত্তর আফ্রিকার ‘পিরামিডের দেশ’। অন্য দিকে টাস্ক ফোর্স তৈরিতে ইচ্ছুক পাকিস্তান। যদিও সেটা ইহুদি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কী ভাবে কাজ করবে, তা স্পষ্ট নয়।

০৬ ২০

সূত্রের খবর, টাস্ক ফোর্সের নিয়ন্ত্রণে ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’কে (পড়ুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) রাখতে চাইছে ইসলামাবাদ। এ ব্যাপারে তুরস্ককে পাশে পেতে মরিয়া পাক সরকার। কারণ, রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের হাতে নেই কোনও নিজস্ব এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। চিন থেকে আমদানি করা ‘এইচকিউ-৯পি’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করেন তাঁরা। অন্য দিকে ঘরের মাটিতে শক্তিশালী এয়ার ডিফেন্স তৈরির মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আঙ্কারা।

০৭ ২০

অল জ়াজিরার দাবি, দোহার সম্মেলনে ‘ইহুদি সন্ত্রাসবাদ’ দমন এবং শহরে যুদ্ধে পারদর্শী বাহিনী তৈরির প্রস্তাবও দিয়েছে কয়েকটি মুসলিম দেশ। কেউ কেউ আবার চাইছেন ‘অর্গানাইজ়েশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজ়’ বা ওআইসি সংগঠনের ছত্রছায়ায় থাকা একটি সামরিক বাহিনী। এই গোষ্ঠীতে রয়েছে মোট ৫৭টি মুসলিম দেশ। তবে তারা সকলে এই ব্যাপারে একমত নয়। পাশাপাশি, গোটা বিষয়টিতে ইরানের ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

০৮ ২০

ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে ‘আরব নেটো’ তৈরির প্রস্তাব নতুন নয়। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেটা বাস্তবের মুখ দেখতে না পাওয়ার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। ইহুদিদের পাশাপাশি ইরানের সঙ্গেও আরব দেশগুলির সম্পর্ক ‘সাপে-নেউলে’। কারণ, তেহরান মূলত শিয়া ধর্মাবলম্বী। আর তাই এত দিন সাবেক পারস্য দেশকে শত্রু হিসাবে দেখে এসেছে কট্টর সুন্নিপন্থী সৌদি আরব-সহ পশ্চিম এশিয়ার অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্র। যদিও কাতার-কাণ্ডের পর তেল আভিভকে ‘সবচেয়ে বড় বিপদ’ বলে মনে করছেন তারা।

০৯ ২০

ইজ়রায়েলকে চক্রব্যূহে ঘিরে ফেলতে গত কয়েক দশক ধরেই প্যালেস্টাইনপন্থী তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে পর্দার আড়ালে থেকে মদত দিয়ে যাচ্ছে ইরান। তারা হল গাজ়ার হামাস, লেবাননের হিজ়বুল্লা এবং ইয়েমেনের হুথি। এর মধ্যে হিজ়বুল্লার কার্যকলাপ নিয়ে ইরাক, সিরিয়া এবং জর্ডনের মতো দেশগুলির যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। অন্য দিকে তেল আভিভকে বিপদে ফেলতে মাঝেমধ্যেই লোহিত সাগরে দৌরাত্ম্য চালাতে দেখা গিয়েছে হুথি যোদ্ধাদের। ওই সামুদ্রিক রাস্তা তেল বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হওয়ায় বিষয়টি না-পসন্দ সৌদি প্রশাসনের।

১০ ২০

একটা সময়ে প্যালেস্টাইনের গোঁড়া সমর্থক ছিল জর্ডন। শুধু তা-ই নয়, ইজ়রায়েলের জন্মের পর সেখান থেকে উৎখাত হওয়া শরণার্থীদের আশ্রয়ও দিয়েছিল ওই আরব দেশ। কিন্তু, ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বরে এক ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে তারা। ওই সময়ে জর্ডনের রাজাকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করে একদল ফিদায়েঁ হামলাকারী। গোটা ঘটনায় পিছন থেকে কলকাঠি নাড়ার অভিযোগ ওঠে ১৯৬৪ সালে তৈরি হওয়া ‘প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজ়েশন’-এর (পিএলও) বিরুদ্ধে, যার চেয়ারম্যান ছিলেন কিংবদন্তি ইয়াসের আরাফাত।

১১ ২০

জর্ডনের গৃহযুদ্ধ চলেছিল প্রায় ১০ মাস। ওই সময় রাজধানী আম্মানকে প্রায় কব্জা করে ফেলে প্যালেস্টাইনি ফিদায়েঁ যোদ্ধারা। কোনও মতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জর্ডনের সেনাবাহিনী। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ওই সময় কোনও আরব দেশ তাঁদের পাশে দাঁড়ায়নি। ফলে পরবর্তী বছরগুলিতে প্যালেস্টাইনের দিক থেকে ধীরে ধীরে মুখ ফিরিয়ে নেয় আম্মান।

১২ ২০

এ ছাড়া পাকিস্তানের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আরব দেশগুলির মধ্যে যথেষ্ট আপত্তি রয়েছে। তাঁদের আশঙ্কা, টাস্ক ফোর্স তৈরির নামে বিদেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন তৈরি করতে পারে ইসলামাবাদ, যার কুপ্রভাবে নষ্ট হতে পারে অপরিশোধিত খনিজ তেলের ব্যবসা। তা ছাড়া কট্টরপন্থা বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি, এতে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে ভারতের সঙ্গে। সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং বাহরাইন তা করতে নারাজ।

১৩ ২০

‘আরব নেটো’-র সদর দফতর কায়েরোয় তৈরির ব্যাপারেও একমত নয় ইসলামি দুনিয়া। তাঁদের আশঙ্কা, সম্মিলিত বাহিনীকে ব্যবহার করে সুয়েজ় খাল আটকে আগামী দিনে ব্ল্যাকমেলের রাস্তায় হাঁটতে পারে মিশর। গত শতাব্দীর ৬০ এবং ৭০-এর দশকে ‘নীলনদের দেশ’কে এই কাজ বার বার করতে দেখা গিয়েছে। এতে মারাত্মক আর্থিক লোকসানের মুখে পড়তে পারে আরব দুনিয়ার একাধিক মুসলিম দেশ। কারণ, বিশ্বের ১২ থেকে ১৫ শতাংশ সামুদ্রিক বাণিজ্যে ব্যবহার হয় ওই জলপথ।

১৪ ২০

১৯৪৮ সালের প্রথম আরব-ইজ়রায়েল যুদ্ধে প্যালেস্টাইনের গাজ়া দখল করে কায়েরোর ফৌজ। যদিও ১৯৬৭ সালের বিখ্যাত ছ’দিনের যুদ্ধে ওই এলাকা মিশরীয় বাহিনীর থেকে ছিনিয়ে নেয় ইহুদি সেনা, যা পরবর্তী কালে আর কখনওই তারা পুনরুদ্ধার করতে পারেনি। ইসলামীয় দেশগুলির একাংশের দাবি, সুযোগ বুঝে পুরনো সেই হিসাব সুদে-আসলে মিটিয়ে নিতে চাইছে কায়েরো। আর তাই আরব দুনিয়ার যৌথ বাহিনী তৈরির ব্যাপারে এতটা আগ্রহ রয়েছে তাদের।

১৫ ২০

১৯১৪ থেকে ১৯১৮ সাল পর্যন্ত চলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটেন ও ফ্রান্সের মতো পশ্চিমি শক্তির কাছে সম্পূর্ণ ভাবে পরাস্ত হওয়ায় ভেঙে টুকরো হয়ে যায় অটোমান সাম্রাজ্য। পশ্চিম এশিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা হাতছাড়া হয় তাদের। কোনও মতে অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হয় এশিয়া মাইনর ঘেঁষা আজকের তুরস্ক। ২১ শতকে এসে সেই পুরনো সাম্রাজ্য ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোয়ান। ফলে ‘আরব নেটো’য় আঙ্কারার মতলব সন্দেহাতীত নয়।

১৬ ২০

এ ছাড়া ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ এবং পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলির ইজ়রায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক আরব রাষ্ট্রগুলির মতো আদায় কাঁচকলায় নয়। ওআইসির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে রয়েছে দীর্ঘ সীমান্ত বিবাদ। কাবুল এবং ইসলামাবাদের সম্পর্কও মোটেই মধুর নয়। ফলে হিন্দুকুশের কোলের দেশটির তালিবান শাসকেরা তেল আভিভের কড়া সমালোচনা করলেও ‘আরব নেটো’র ব্যাপারে আগ্রহী হবেন কি না, তা কোটি টাকার প্রশ্ন।

১৭ ২০

বিশ্লেষকেরা অবশ্য মনে করেন ‘আরব নেটো’ গঠনে সবচেয়ে বড় বাধার জায়গা হল আমেরিকা। কারণ, পশ্চিম এশিয়ার একাধিক দেশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাছাউনি। উদাহরণ হিসাবে কাতারের ‘আল-উদেইদ’ বিমানঘাঁটির কথা বলা যেতে পারে, যা ওই এলাকার বৃহত্তম মার্কিন সামরিক ছাউনি হিসাবে পরিচিত। সেখানে ‘প্যাট্রিয়ট’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন রেখেছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া ইরাক, কুয়েত, সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং জর্ডনেও রয়েছে বিপুল সংখ্যায় আমেরিকান সৈন্য।

১৮ ২০

জন্মলগ্ন থেকেই ‘ঘরের ছেলে’র মতো করে ইজ়রায়েলকে আগলে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন আধিপত্য বজায় রাখতে ইহুদি রাষ্ট্রটিকে কোনও অবস্থাতেই দুর্বল হতে দিতে নারাজ আমেরিকা। ফলে ‘আরব নেটো’র প্রস্তাবে জল ঢালতে ওয়াশিংটন যে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে, তা বলাই বাহুল্য। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ইরাক-সহ সেখানকার একাধিক তেল উত্তোলন সংস্থার বিপুল শেয়ার রয়েছে ‘সুপার পাওয়ার’ দেশটির কব্জায়। অন্য দিকে, নানা কারণে মার্কিন নির্ভরশীলতা রয়েছে পাকিস্তানেরও।

১৯ ২০

গত শতাব্দীর ৫০-এর দশকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ‘ঠান্ডা লড়াই’য়ে জড়িয়ে পড়ে আমেরিকা। ওই সময়ে পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে একটি সামরিক জোট তৈরি করে ওয়াশিংটন। তার নাম ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা’ বা নেটো। বর্তমানে এর সদস্যসংখ্যা ৩২। নেটোর সদস্যপদ রয়েছে আরব সামরিক জোটের অন্যতম হোতা তুরস্কেরও।

২০ ২০

নেটোর সংবিধানের পাঁচ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে যে, কোনও সদস্যের উপর বহিরাগত আক্রমণ হলে তাকে সমগ্র জোটের উপর হামলা হিসাবে দেখা হবে। ইসলামীয় দেশগুলি বহু বার নানা কারণে নিজেদের মধ্যেই সংঘর্ষে জড়িয়েছে। উদাহরণ হিসাবে ইরাক-ইরান বা ইরাক-কুয়েত যুদ্ধের কথা বলা যেতে পারে। তবে সমস্ত বৈরিতা ভুলে ইজ়রায়েল প্রশ্নে একজোট হয়ে শেষ পর্যন্ত তারা ‘আরব নেটো’ তৈরি করতে পারে কি না, তার উত্তর দেবে সময়।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement