Chinese Nuclear Missile

পৃথিবীর কক্ষপথে পরমাণু হাতিয়ার মোতায়েন! ‘মহাকাশ যুদ্ধের’ চিনা চ্যালেঞ্জে আতঙ্কে ভুগছে আমেরিকা?

আগামী এক দশকের মধ্যে পৃথিবীর নিম্নকক্ষে ৬০-র বেশি পরমাণু হাতিয়ার মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে চিন। গোয়েন্দা সূত্রে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আতঙ্কে ভুগছে আমেরিকা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০২৫ ১২:১২
Share:
০১ ১৯

মহাশূন্য থেকে ছুটে আসবে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র! আছড়ে পড়লে চোখের নিমেষে ধুলোয় মিশতে পারে আস্ত একটা শহর! ড্রাগন ফৌজের ভান্ডারে এ হেন মারণাস্ত্র থাকায় ঘুম উড়েছে আটলান্টিকের পারের ‘সুপার পাওয়ার’-এর। ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা রিপোর্টে মিলেছে তার সতর্কবার্তা। ফলে শক্তিশালী ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম তৈরির দিকে নজর দিয়েছেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট। চিনের হাতে ওই প্রযুক্তি থাকায় কপালে ভাঁজ পড়েছে নয়াদিল্লিরও।

০২ ১৯

চলতি বছরের ১৩ মে বেজিঙের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা ডিআইএ। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের কল্যাণে যা দুনিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ১০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর নিম্নকক্ষে কয়েক ডজন পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে চিন। সেগুলি নাকি প্রচলিত আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বা আইসিবিএমের (ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালেস্টিক মিসাইল) চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। বিষয়টি জানার পরেই রক্তচাপ বেড়েছে আমেরিকার।

Advertisement
০৩ ১৯

ডিআইএর দাবি, চিনের ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএর হাতে যে প্রচলিত আইসিবিএমগুলি রয়েছে, তার চেয়ে অনেক কম সময়ে পৃথিবীর নিম্নকক্ষ থেকে পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে হামলা চালাতে পারে তারা। শুধু তা-ই নয়, এর সাহায্যে অতি সহজেই নিশানা করা যাবে যুক্তরাষ্ট্রের যে কোনও শহরকে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, প্রচলিত আইসিবিএমের তুলনায় অনেক কম সময়ে মহাশূন্যের ওই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণের সুযোগ পাবে ড্রাগন ফৌজ, যা আটকানো একরকম অসম্ভব।

০৪ ১৯

সম্প্রতি, এই বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দফতর তথা হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিস। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কী ধরনের পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র চিনা পৃথিবীর নিম্নকক্ষে মোতায়েন হতে চলেছে, একটি তালিকার মাধ্যমে তা বোঝানোর চেষ্টা করেছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা দফতর। সেগুলিকে আটকাতে ‘সোনালি গম্বুজ’ (পড়ুন গোল্ডেন ডোম) নামের একটি ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছেন বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। এর নকশা বেজিঙের ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাথায় রেখে করা হচ্ছে বলে সূত্র মারফত মিলেছে খবর।

০৫ ১৯

চিন ছাড়া পৃথিবীর নিম্নকক্ষে পরমাণু হাতিয়ার মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে রাশিয়ারও। মস্কোর ওই ব্রহ্মাস্ত্রের পোশাকি নাম, ‘ফ্র্যাকশনাল অরবিটাল বোম্বার্ডমেন্ট সিস্টেম’ বা এফওবিএস। মার্কিন গোয়েন্দাদের অনুমান, বর্তমানে দ্রুত গতিতে পৃথিবীর কক্ষপথে অস্ত্রসজ্জা বৃদ্ধি করছে ক্রেমলিন। এ ব্যাপারে প্রযুক্তিগত দিক থেকে বেজিঙের চেয়ে রুশ প্রতিরক্ষা গবেষকেরা কয়েক যোজন এগিয়ে রয়েছেন বলে মনে করে ওয়াশিংটন।

০৬ ১৯

আমেরিকার প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, মস্কোর এফওবিএস প্রকৃতপক্ষে একটি আইসিবিএম। তবে প্রথাগত আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলির সঙ্গে এর একাধিক অমিল রয়েছে। সেই কারণে লঞ্চের পর প্রথমেই তীব্র গতিতে লক্ষ্যের দিকে ছুটে যায় না এই ক্ষেপণাস্ত্র। উল্টে কিছুটা কম উচ্চতায় উড়ে এফওবিএস প্রবেশ করে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে। তার পর সেখানে চক্কর কেটে হঠাৎ করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে হানে বড় আঘাত। অত্যাধুনিক ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’গুলিকে এড়াতে দক্ষিণ মেরুর উপর দিয়ে ছুটে এসে হামলা করতে পারে এই এফওবিএস।

০৭ ১৯

এ ছাড়া রুশ ‘ফ্র্যাকশনাল অরবিটাল বোম্বার্ডমেন্ট সিস্টেম’-এর আরও কিছু জটিলতা রয়েছে। পৃথিবীর কক্ষপথে এক চক্কর পুরোপুরি কাটার আগেই পেলোড বা ওয়ারহেড (পড়ুন বিস্ফোরক) ছেড়ে দিতে পারে মস্কোর এই ক্ষেপণাস্ত্র। মহাশূন্যে পৌঁছে লক্ষ্য বদল করার ক্ষমতা রয়েছে এর। সংশ্লিষ্ট হাতিয়ারটিকে আরও শক্তিশালী করতে এতে কৃত্রিম মেধা বা এআই (আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স) প্রযুক্তি যুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন ক্রেমলিনের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা, দাবি মার্কিন গুপ্তচরদের।

০৮ ১৯

ডিআইএর অনুমান, ২০৩৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর নিম্নকক্ষপথে অন্তত ৬০টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে চিন। সেখানে অন্তত ১২টি ‘ফ্র্যাকশনাল অরবিটাল বোম্বার্ডমেন্ট সিস্টেম’ মহাশূন্যে রাখার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে মস্কো। রুশ হাতিয়ারগুলি সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ভাবে আক্রমণ করতে সক্ষম। কক্ষপথ বদল করার ক্ষমতা রয়েছে সেগুলির। ফলে সেগুলি নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন পেন্টাগন।

০৯ ১৯

মার্কিন সেনাকর্তাদের একাংশ মনে করেন, যে কোনও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে বোকা বানিয়ে আক্রমণ শানাতে পারে এফওবিএস। গত শতাব্দীর ‘ঠান্ডা যুদ্ধের’ সময় থেকে এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ চালাচ্ছে মস্কো। ১৯৬০-এর দশকে আর-৩৬০ নামের একটি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমান রাশিয়া)। এটি প্রকৃতপক্ষে ছিল এফওবিএমের প্রাথমিক রূপ। যুক্তরাষ্ট্রের রেডার এড়িয়ে হামলা করতে এর নকশা তৈরি করা হয়েছিল।

১০ ১৯

‘শীত যুদ্ধের’ সময় ওয়াশিংটনের হাতে যে রেডার ছিল, তার সাহায্যে উত্তর মেরুর উপর থেকে উড়ে আসা ক্ষেপণাস্ত্র চিহ্নিত করতে পারত আমেরিকান ফৌজ। বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, আর-৩৬০কে আটকানোর ক্ষমতা ছিল না ওই রেডারের। ফলে ১৯৬৮ থেকে ১৯৮৩ সালের মধ্যে বিপুল পরিমাণে এফওবিএম মোতায়েন করতে সক্ষম হয় তৎকালীন সোভিয়েত সেনা। পরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি হওয়ায় ধীরে ধীরে তা কমিয়েছিল মস্কো।

১১ ১৯

১৯৭৯ সালে পরমাণু হাতিয়ারের সংখ্যা হ্রাস করা নিয়ে সল্ট চুক্তিতে (স্ট্র্যাটেজিক আর্মস লিমিটেশন টক্‌স) সই করে রাশিয়া ও আমেরিকা। এর পর মহাশূন্যে আণবিক অস্ত্র মোতায়েন একরকম বন্ধ করে দেয় সংশ্লিষ্ট দুই দেশ। কিন্তু ২০২১ সালে চিন এফওবিএসের সফল পরীক্ষা চালালে পরিস্থিতি ফের জটিল হতে শুরু করে। ওই বছরের জুলাই ও অগস্ট মাসে হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকলের (এইচজিভি) পরীক্ষাতেও সাফল্য পান বেজিঙের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা। এর মাধ্যমে লং মার্চ-২সি নামের রকেট উৎক্ষেপণ করেন তাঁরা।

১২ ১৯

বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল চান্স সল্টজ়ম্যান। মার্কিন মহাকাশ বাহিনীর সাইবার ও নিউক্লিয়ার বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বর্তমানে রাশিয়ার উপর বিপুল নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ফলে মস্কো কোনও কিছুর পরোয়া করছে না। চিনের পাশাপাশি এ বার ক্রেমলিন বিপুল সংখ্যায় এফওবিএস মোতায়েন করা শুরু করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে। যে কোনও মুহূর্তে বড় আকারের ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারে তারা।’’

১৩ ১৯

ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির গোয়েন্দাকর্তারা মনে করেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে পরমাণু অস্ত্র বহনকারী ৭০০টি আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে ফেলবে চিন। বর্তমানে বেজিঙের হাতে রয়েছে এই ধরনের ৪০০টি আইসিবিএম। রাশিয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৩৫০ থেকে ৪০০ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এ ছাড়া ডুবোজাহাজের ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যা ৭২ থেকে ১৩২-এ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ড্রাগনের। ক্রেমলিন নৌসেনার বহরে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ১৯২।

১৪ ১৯

এ ছাড়া ২০৩৫ সালের মধ্যে পিএলএর হাতে চার হাজার ‘হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল’ বা এইচজিভি চলে আসবে বলে সতর্ক করেছেন মার্কিন গুপ্তচরেরা। বর্তমানে বেজিঙের কাছে এই ধরনের যান রয়েছে ৬০০টি। অন্য দিকে রুশ সেনা ২০০ থেকে ৩০০টি ‘হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল’ ব্যবহার করছে। আগামী ১০ বছরের মধ্যে সেটা বেড়ে হাজারে পৌঁছোবে বলে মনে করা হচ্ছে। উদ্বেগের বিষয় হল, আলাস্কায় আঘাত হানার মতো দূরপাল্লার পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র এখনই রয়েছে ড্রাগন সেনার হাতে।

১৫ ১৯

এই পরিস্থিতিতে দেশের আকাশকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলতে ‘সোনালি গম্বুজ’ (পড়ুন গোল্ডেন ডোম) এয়ার ডিফেন্স নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০২৯ সালের আগে অবশ্য সেটি চালু হওয়ার কোনও আশা নেই। এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ মহাকাশভিত্তিক একটি ঢাল তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। এতে ইনফ্রারেড লেজ়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার হবে বলে জানা গিয়েছে।

১৬ ১৯

সূত্রের খবর, কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে শত্রুর ছোড়া ব্যালেস্টিক বা ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্রকে চিহ্নিত করবে আমেরিকার ‘সোনালি গম্বুজ’। এর জন্য স্থলভিত্তিক রেডারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করবে এই ব্যবস্থা। তার পর লেজ়ার ব্যবহার করে হাইপারসনিক, ব্যালেস্টিক এবং ক্রুজ়— তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করবে গোল্ডেন ডোম।

১৭ ১৯

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, গোল্ডেন ডোমের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ, মহাকাশভিত্তিক রেডার ব্যবস্থা এবং কক্ষপথের যান চিহ্নিতকরণ যন্ত্রের (অরবিটাল ইন্টারসেপ্টর) প্রয়োজন হবে। কিন্তু, তার পরেও এর মাধ্যমে মহাকাশভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে কতটা আটকানো যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ২০২৮ সাল নাগাদ সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থাটির পরীক্ষা চালাতে পারেন মার্কিন গবেষকেরা।

১৮ ১৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, ইজ়রায়েলি ‘লৌহ কবচ’ বা আয়রন ডোমের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হবে আমেরিকার গোল্ডেন ডোম। এর জন্য প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা) খরচ করবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। তবে প্রাথমিক ভাবে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে আড়াই হাজার কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটির বেশি) দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

১৯ ১৯

২০১৯ সালের মার্চে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংসকারী ক্ষেপণাস্ত্র বা এ-স্যাটের (অ্যান্টি স্যাটেলাইট ওয়েপন) সফল পরীক্ষা চালায় ভারত। এতে কৌশলগত সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার সুবিধা পাবে নয়াদিল্লি। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, পৃথিবীর নিম্নকক্ষে মোতায়েন করা পরমাণু অস্ত্রকে আগেই ধ্বংস করতে পারে এস্যাট। তবে আগ্রাসী ড্রাগন ফৌজ সেখানে আণবিক অস্ত্র মোতায়েন করলে উদ্বেগ যে কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে, তা বলাই বাহুল্য।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement