Chinese Military Corruption

লালফৌজে ‘বিদ্রোহের স্ফুলিঙ্গ’! নৌসেনার প্রধান, পরমাণু বিজ্ঞানীকে বরখাস্ত করে আগুন ঘি ঢাললেন ‘স্বৈরাচারী’ শি?

চিনা লালফৌজের দুই শীর্ষ কমান্ডার এবং এক পরমাণু বিজ্ঞানীকে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, বাহিনীতে বিদ্রোহের আশঙ্কা থাকায় এই পদক্ষেপ করেছেন তিনি। যদিও তা মানতে নারাজ বেজিং।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২৫ ১৪:৩৫
Share:
০১ ২১

দুর্নীতি দমনের নামে এক এক করে ‘পথের কাঁটা’ উপড়ে ফেলছেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং? আর তাই ড্রাগনভূমিতে বাড়ছে সেনা অভ্যুত্থানের চাপা আতঙ্ক? বেজিঙের ‘পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি’ বা পিএলএ-র দুই শীর্ষ আধিকারিক এবং এক পরমাণুবিজ্ঞানী বরখাস্ত হতেই তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ শি প্রশাসন। তাদের দাবি, সরকারি কোষাগার থেকে মোটা টাকা সরানোর জন্যই ওই তিনের ঘাড়ে পড়েছে কোপ! অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন জিনপিং-ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।

০২ ২১

হংকঙের সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ২৭ জুন তিন অভিযুক্তকে বরখাস্ত করার কথা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট শি। সাজাপ্রাপ্তদের তালিকায় নাম রয়েছে মিয়াও হুয়া, লি হানজ়ুন এবং লিউ শিপেঙের। এঁদের মধ্যে পিএলএ নৌসেনার সিনিয়র অ্যাডমিরাল জেনারেল মিয়াও চিনা কমিউনিস্ট পার্টি বা সিসিপির (চাইনিজ় কমিউনিস্ট পার্টি) সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) রাজনৈতিক শাখার ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ড্রাগন ফৌজের মতাদর্শগত বিশ্বাস তৈরির ক্ষেত্রে এই কমিশনের ভূমিকা অপরিসীম।

Advertisement
০৩ ২১

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞেরা ছ’সদস্যের সিএমসি-কে চিনের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান বলে উল্লেখ করে থাকেন। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নিয়ন্ত্রণাধীন সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের নেতৃত্ব রয়েছে দলের চেয়ারম্যান তথা প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের হাতে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত এপ্রিলে মিয়াওকে বেজিঙের পার্লামেন্ট ‘ন্যাশনাল পিপল্‌স কংগ্রেস’ (এনপিসি) থেকে বহিষ্কার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাশাপাশি শৃঙ্খলাভঙ্গের গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে স্পষ্ট করেছে ড্রাগন সরকার।

০৪ ২১

১৯৬০-এর দশকের পর চিনে আর কখনও সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের এতটা উচ্চ পদে থাকা কোনও ব্যক্তিকে বরখাস্তের ঘটনা ঘটেনি। ফলে মিয়াওকে সরিয়ে দেওয়ার আলাদা তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকদের একাংশ। ২০১২ সালে ক্ষমতা পাওয়ার পর থেকে অবশ্য একের পর এক সিএমসির সদস্যদের দুর্নীতির অভিযোগে সরিয়েছেন জিনপিং। সেই তালিকায় মিয়াও অষ্টম ব্যক্তি বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

০৫ ২১

কমিউনিস্ট চিনের রূপকার কিংবদন্তি চেয়ারম্যান মাও জ়ে দঙের সময় থেকে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি করে গিয়েছে সিসিপি। মাও জমানায় অবশ্য সিএমসির সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠেনি। কিন্তু শি চেয়ারম্যান হওয়া ইস্তক এই অভিযোগে বরখাস্ত বা গ্রেফতারির ঘটনা দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকায় সন্দেহ দানা বেঁধেছে। শুধু তা-ই নয়, জিনপিঙের মধ্যে ‘স্বৈরাচারী’ প্রবণতা প্রকট হচ্ছে বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

০৬ ২১

মিয়াও ছাড়া বরখাস্তের তালিকায় নাম রয়েছে পিএলএ নৌবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ ভাইস অ্যাডমিরাল লি হানজুনয়ের। এ ছাড়া ‘চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার কর্পোরেশন’-এর ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার পদে কর্মরত লিউ শিপেংকে পদচ্যুত করেছেন প্রেসিডেন্ট শি। এই দু’জনও চিনা পার্লামেন্ট ‘ন্যাশনাল পিপল্‌স কংগ্রেস’-এর সদস্য ছিলেন। বেজিঙের সরকারি গণমাধ্যম ‘সিনহুয়া’ জানিয়েছে যে, তিন জনকে ছাঁটাই করতে ভোটাভুটি হয় এনপিসিতে। সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন মেলায় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে জিনপিঙের কোনও সমস্যা হয়নি।

০৭ ২১

বছর ৬০-এর হানজুন নৌবাহিনীর প্রধান হওয়ার আগে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর পদে ছিলেন। চিনের সংস্কার বিভাগেও কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৪ সালে ফুজিয়ান প্রদেশের নৌঘাঁটির কমান্ডার হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি। কিছু দিনের মধ্যেই ভাইস অ্যাডমিরাল হিসাবে পদোন্নতি হয় তাঁর। ওই সময় নৌ কমান্ড কলেজের ডিরেক্টর অফ ট্রেনিং ছিলেন তিনি। পরে তাঁকে সেখানকার অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ করেন জিনপিং।

০৮ ২১

অন্য দিকে, গানসু প্রদেশের ‘চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার কর্পোরেশন’-এর ‘৪০৪ ঘাঁটি’র দায়িত্ব ছিল ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার শিপেঙের কাঁধে। সেখানকার চেয়ারম্যান পদে ছিলেন তিনি। ১৯৫৪ সালে হাজার বর্গ কিলোমিটারের বেশি এলাকা জুড়ে গানসুতে দেশের সবচেয়ে বড় পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র তৈরি করে বেজিং। ১৯৬৪ সালে প্রথম আণবিক বোমা এবং ১৯৬৭ সালে প্রথম হাইড্রোজ়েন বোমা তৈরি করে ড্রাগন সরকার। এই দুই সাফল্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল ‘৪০৪ ঘাঁটি’র। ২০২৩ সালে গানসুর প্রাদেশিক সরকার ‘অসাধারণ উদ্যোগপতি’ হিসাবে শিপেংকে বিশেষ সম্মানে ভূষিত করেছিল।

০৯ ২১

‘সিনহুয়া’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর থেকে মিয়াওয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তদন্তে নামে শি প্রশাসন। তিনি ছাড়া একই রকমের অভিযোগ রয়েছে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান হি ওয়েইডঙের বিরুদ্ধেও। অন্য দিকে পিএলএ-র সর্বকনিষ্ঠ কমান্ডারদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন মিয়াও। পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির দাবি, কুর্সিতে বসা ইস্তক এখনও পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে শুদ্ধিকরণের নামে ২০ লক্ষের বেশি পদস্থ সামরিক কর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ৭২ বছরের জিনপিং।

১০ ২১

পাশাপাশি, দেড় থেকে দু’বছরের মধ্যে এক ডজনের বেশি সেনা অফিসারকে বরখাস্ত করেছেন চিনা প্রেসিডেন্ট। তাঁর শাস্তির কোপে পড়েছেন দু’জন প্রতিরক্ষামন্ত্রীও। বিশ্লেষকদের দাবি, এই ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে পিএলএ এবং সিসিপির উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে চাইছেন তিনি। ফৌজি শক্তির দিক থেকে বেজিংকে বিশ্বের অন্যতম সেরা শক্তিতে পরিণত করার স্বপ্ন রয়েছে তাঁর। সেই কারণে সামরিক কর্মকর্তাদের ‘নিরঙ্কুশ আনুগত্য’ পেতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

১১ ২১

২০২২ সালে সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের রাজনৈতিক শাখার ডিরেক্টর পদ পান মিয়াও। গত চার বছরে তিনি দ্বিতীয় ব্যক্তি যাঁকে সিএমসি থেকে অপসারিত করলেন প্রেসিডেন্ট শি। এ ছাড়া শেষ দু’বছরে পদচ্যুত হওয়া দুই চিনা প্রতিরক্ষামন্ত্রী হলেন, লি শাংফু এবং ওয়েই ফেংহে। পাশাপাশি, পিএলএ রকেট বাহিনীর দুই প্রধানকে সরিয়ে দিয়েছেন জিনপিং। বেজিঙের পরমাণু হাতিয়ার বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তাঁরা। পদচ্যুত হয়েছেন মহাকাশ প্রতিরক্ষার সঙ্গে যুক্ত এক পদস্থ কর্তাও।

১২ ২১

‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর দাবি, মিয়াও এবং লি-কে ব্যক্তিগত ভাবে নিয়োগ করেন শি জিনপিং। দু’জনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল খুবই গভীর। কিন্তু, পিএলএ-র বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন অভিযান শুরু হতেই ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। ২০২৩ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর পদ পান লি। এর পরই সামরিক সরঞ্জাম কেনাকে কেন্দ্র করে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ। গত বছর ‘চিনা কমিউনিস্ট পার্টি’ বা সিসিপি থেকে বহিষ্কৃত হন তিনি।

১৩ ২১

জিনপিঙের নিয়োগ করা হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের মধ্যে বিদেশমন্ত্রী কিন গ্যাঙের পরিণতিও হয়েছে বেশ করুণ। ২০২৩ সালের জুন মাসে হঠাৎই অদৃশ্য হয়ে যান তিনি। তাঁর বিরুদ্ধেও দুর্নীতির তদন্ত চলছিল বলে জানা গিয়েছে। গ্যাং নিখোঁজ হওয়ার কয়েক মাস পরে তাঁকে নিয়ে বিবৃতি দেয় বেজিং। সেখানে বলা হয়, দল থেকে আগেই অপসারিত করা হয়েছে সাবেক বিদেশমন্ত্রীকে। জিনপিং সমালোচকদের কেউ কেউ মনে করেন কিনকে গুমখুন করেছেন শি। কারণ, দলের মধ্যে তাঁর প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠছিলেন তিনি।

১৪ ২১

সংবাদসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাডমিরাল ডং জুনের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে জিনপিং সরকার। পরে এই নিয়ে বিবৃতি দেয় চিনা বিদেশ মন্ত্রক। সেখানে এই ঘটনাকে ‘ছায়ার পিছনে ধাওয়া’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। পাশাপাশি, পিএলএ-কে পুরোপুরি দুর্নীতিমুক্ত করতে বেজিং যে বদ্ধপরিকর, তা স্পষ্ট করেছিল শি প্রশাসন।

১৫ ২১

মার্কিন সেনা অফিসারদের দাবি, ২০২২ সালে সিএমসির চেয়ারম্যান পদ পাওয়া ইস্তক তাইওয়ান আক্রমণের ছক কষছেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। কারণ প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রকে পৃথক দেশ হিসাবে মানতে নারাজ বেজিং। একে ড্রাগনভূমির অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে চিন। কিন্তু, সাবেক ফরমোসা দ্বীপের সরকারকে নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আমেরিকা। ফলে শান্তিপ্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে চাইছিলেন ডং। আর তাই প্রেসিডেন্ট শি-র চক্ষুশূল হয়ে যান তিনি।

১৬ ২১

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের এক সেনাকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, ‘‘যুদ্ধে নামার আগে সীমাহীন আনুগত্য পেতে চাইছেন প্রেসিডেন্ট জিনপিং। আর তাই বেছে বেছে বিরোধী চিন্তাভাবনার সেনাকর্তাদের সরাচ্ছেন তিনি। সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ তাঁর হাতে থাকায় অনায়াসেই এটা করতে পারছেন শি।’’

১৭ ২১

প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসার আগে অবশ্য পিএলএ-র দুর্নীতি দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন শি। এ ব্যাপারে ‘বাঘ এবং মাছি’ নীতি গ্রহণ করেন তিনি। আমেরিকার জনপ্রিয় সংবাদসংস্থা ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে অবশ্য চিনা প্রেসিডেন্টের এ-হেন পদক্ষেপের অন্য যুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, তৃতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর কিংবদন্তি চেয়ারম্যান মাওয়ের চেয়েও বেশি ক্ষমতাশালী হতে চাইছেন জিনপিং।

১৮ ২১

গত বছর অবশ্য পিএলএ-র উপর দুর্নীতি-বিরোধী অভিযানের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন চিনা প্রেসিডেন্ট। ওই সময়ে কমান্ডার পর্যায়ের একটি বৈঠকে শি বলেন, ‘‘দলের প্রতি অনুগত এবং নির্ভরযোগ্যদের হাতেই বন্দুকের নল থাকা উচিত। বাহিনী দুর্নীতিবাজদের লুকোনোর জায়গা নয়।’’ লালফৌজকে আরও শক্তিশালী করতে ‘তীব্র সংশোধন’-এর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন তিনি।

১৯ ২১

যুক্তরাষ্ট্রের সেনাকর্তারা অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের অনুমান, এর মাধ্যমে রাজনৈতিক শত্রুদের নিকেশ করছেন শি। আর তাই সেনাকর্তাদের পাশাপাশি সিপিসির বিভিন্ন পদে থাকা জিনপিং নীতির সমালোচকদের ধীরে ধীরে পর্দার আড়ালে যেতে হচ্ছে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের দাবি, পিএলএ-তে চলা শি-র এই দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান লালফৌজকে ভিতর থেকে দুর্বল করবে। সেনা অফিসারদের মধ্যে তৈরি হতে পারে সন্দেহের পরিবেশ। যুদ্ধের সময় এর খেসারত দিতে হতে পারে ড্রাগনল্যান্ডকে।

২০ ২১

চিনের পরমাণু অস্ত্রাগারের দায়িত্ব রয়েছে পিএলএ রকেট ফোর্সের কাছে। এই বাহিনীতেই সবচেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। একে বিপজ্জনক বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। সে ক্ষেত্রে ঘুষের বিনিময়ে আণবিক হাতিয়ার শত্রুর হাতে তুলে দেওয়ার আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা।

২১ ২১

সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি এবং ওয়েইয়ের কেলেঙ্কারির জেরে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পিএলএ। বাহিনীর বুনিয়াদি ধাঁচে আঘাত হেনেছে তাঁদের দুর্নীতি। কারণ, ‘ঘুষের বিনিময়ে নিয়ম-বহির্ভূত ভাবে সুযোগ-সুবিধা’ পাইয়ে দেওয়ার মতো মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। ফলে এ বার দু’জনকেই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে বলে জানা গিয়েছে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement