ছয় দশক ধরে চলচ্চিত্রজগতের সঙ্গে যুক্ত। বলিউডের ‘হি-ম্যান’ নামে পরিচিতি পেয়েছেন ধর্মেন্দ্র। তবে বলিপাড়ায় নাকি তাঁর ভাগ্য ফিরিয়েছিল একটি জামা। দু’বছর ধরে একটি হলুদ জামা পরেছিলেন অভিনেতা। সেই জামা নাকি ধর্মেন্দ্রের কাছে ভীষণ ‘লাকি’। সেই পোশাকই নাকি মহাতারকা করে তুলেছিল অভিনেতাকে।
১৯৬০ সালে ‘দিল ভি তেরা হম ভি তেরে’ ছবিতে অভিনয় করে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। কিন্তু তাঁর কেরিয়ারের প্রথম ছবি একেবারেই ব্যবসা করতে পারেনি।
কেরিয়ার শুরুর প্রথম পাঁচ বছর ধর্মেন্দ্রের ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি। ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ২০টির বেশি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও ছবিই বক্স অফিসে তেমন দাগ কাটতে পারেনি। তবে হাল ছাড়েননি ধর্মেন্দ্র।
১৯৬৬ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ফুল অউর পত্থর’। ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল মীনা কুমারীকে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ধর্মেন্দ্রের ছবি ভাল উপার্জন করেছিল। তার পর থেকেই ধর্মেন্দ্রের কেরিয়ার উপরের দিকে চড়তে শুরু করে।
‘ফুল অউর পত্থর’ মুক্তি পাওয়ার পর একে একে ‘সত্যকাম’, ‘শোলে’, ‘আঁখে’, ‘কর্তব্য’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করতে শুরু করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। সেই সময় বলিউডের ‘হি-ম্যান’ তকমা পেয়েছিলেন তিনি।
সত্তর থেকে আশির দশকের মধ্যে বলিপাড়ার সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতাদের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন ধর্মেন্দ্র। কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, ধর্মেন্দ্রের কাছে একটি জামা রয়েছে, যা তাঁর কেরিয়ারের জন্য ‘লাকি’।
বলিপাড়ার অধিকাংশের দাবি, ‘লাকি’ জামা পরে পর পর তিনটি ছবিতে অভিনয়ও করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তিনটি ছবিই বক্স অফিসে সুপারহিট হয়েছিল।
১৯৬৮ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘মেরে হমদম মেরে দোস্ত’। এই ছবিতে শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন ধর্মেন্দ্র। এই ছবিতে ‘চলো সজনা জহাঁ তক ঘটা চলে’ গানটিতে শর্মিলার সঙ্গে রোম্যান্স করতে দেখা গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে।
পরের বছর ১৯৬৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘আয়া সাওয়ান ঝুম কে’। এই ছবিতে আশা পারেখের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ছবিতে ‘সাথিয়া নহি জানা’ রোম্যান্টিক গানের দৃশ্যে আশার সঙ্গে ধর্মেন্দ্রের রসায়ন ছিল প্রশংসাযোগ্য।
‘আয়া সাওন ঝুম কে’ মুক্তি পাওয়ার এক বছর পর ১৯৭০ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল ‘জীবন মৃত্যু’। এই ছবিতে রাখীর সঙ্গে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে। ‘জীবন মৃত্যু’ ছবিতে ‘ঝিলমিল সিতারোঁ কা’ গানের দৃশ্যে রাখীর সঙ্গে রোম্যান্স করেছিলেন ‘হি-ম্যান’।
তবে এই তিনটি ছবির রোম্যান্টিক গানে যোগসূত্র তৈরি করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। তিনটি ছবির রোম্যান্টিক গানেই একই জামা পরে দেখা গিয়েছিল অভিনেতাকে। নায়িকার বদল হলেও পরনের জামা বদলাননি ধর্মেন্দ্র।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া তিনটি ছবির গানের দৃশ্যে হলুদ রঙের স্ট্রাইপ দেওয়া একটি জামা পরেছিলেন ধর্মেন্দ্র।
বলিউডের একাংশের দাবি, এই জামাটি ধর্মেন্দ্রের সৌভাগ্য বহনকারী। জামাটি পরেছিলেন বলেই অভিনেতার সেই তিনটি ছবি বক্স অফিসে চূড়ান্ত ব্যবসা করেছিল। তার পর থেকেই ধর্মেন্দ্রকে আর পিছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি। ঝড়ের বেগে সাফল্য পেয়েছিলেন তিনি।