fifa

FIFA Bans AIFF: পাকিস্তান নিষিদ্ধ দু’বার, দু’বার ইরাকও, বিশ্ব ফুটবলে এই প্রথম নিষেধাজ্ঞার কোপে ভারত

ফিফার বিধি অনুযায়ী, তাদের অনুমতি না থাকা পর্যন্ত কোনও দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আদালতের শরণাপন্ন হতে পারে না।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ অগস্ট ২০২২ ১৭:২৫
Share:
০১ ১৫

সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-কে নির্বাসিত করল ফিফা। ভারতই প্রথম নয়, যাদের নিষিদ্ধ করল ফিফা। আগেও বহু দেশকে ফিফার নির্বাসনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে।

০২ ১৫

ফিফার আইন অনুযায়ী, তাদের অনুমতি না নিয়ে কোনও দেশের ফুটবল নিয়ামক সংস্থা আদালতে যেতে পারে না। কোনও অস্থায়ী ব্যবস্থার জন্যও আদালতের দ্বারস্থ হওয়া যায় না। সেই নিয়ম লঙ্ঘন করেই শাস্তির মুখোমুখি এআইএফএফ-সহ বহু দেশের ফুটবল ফেডারেশন।

Advertisement
০৩ ১৫

২০০৮ সালে ইরাকের জাতীয় অলিম্পিক কমিটি এবং জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ভেঙে দেয় সে দেশের সরকার। এই কারণে ২০১০ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের আগে আগেই ইরাককে নিষিদ্ধ করে ফিফা। বাছাইপর্বে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার কথা ছিল ইরাকের। পরে ইরাক সরকার জানায়, ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ভাঙা হচ্ছে না। শাস্তিও উঠে যায়।

০৪ ১৫

কিন্তু পরের বছরই আবারও ইরাকের ফুটবল দলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফিফা। তবে নিষেধাজ্ঞার পরেও জর্ডনে এক সপ্তাহব্যাপী ফুটবল উৎসবে ইরাকের মহিলা খেলোয়াড়দের অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছিল ফিফা। ইরাক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের বরখাস্ত করা দল পুনর্বহাল হলে ২০১০ সালের মার্চ মাসে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

০৫ ১৫

২০১৪ সালের বিশ্বকাপে নাইজেরিয়া দল ভাল খেলতে না পারায় সে দেশের ফুটবল ফেডারেশনের (এনএফএফ) কার্যনির্বাহী কমিটিকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নাইজেরিয়ার একটি আদালত একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীকে ফেডারেশন পরিচালনা করার নির্দেশ দেয়। ন’দিনের মাথায় আদালত এই আদেশ প্রত্যাহার করে নেয়। পুনরায় বহাল হয় এনএফএফ। নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেওয়া হয়।

০৬ ১৫

২০১৬ সালের অক্টোবরে গুয়াতেমালার ফুটবল ফেডারেশনের উপর দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি অন্তর্বর্তী কমিটি গঠন করে ফেডারেশন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু এই কমিটি সে দেশের ফুটবল ফেডারেশন পরিচালনা করতে ব্যর্থ হয়। ফেডারেশন নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ার পরেই গুয়াতেমালার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ফিফা কর্তৃপক্ষ। এই আইনি জটিলতা কাটার পর ২০১৮-এর জুন মাসে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয় ফিফা।

০৭ ১৫

২০১৫ সালের অক্টোবরে কুয়েতকে আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। অভিযোগ, দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের উপর সে দেশের সরকার হস্তক্ষেপ করছে। কুয়েত সরকারের তরফে আইন এনে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হয়। সে দেশের বিভিন্ন ক্লাবের স্বাধীন ভাবে কাজ করার অনুমতি বাতিল করা হয়। কুয়েত সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ’ বিবেচনা করে ফিফা সে দেশের ফুটবলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

০৮ ১৫

কুয়েতের মতো ইন্দোনেশিয়া সরকারও দেশের ফুটবল বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করায় ফিফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ইন্দোনেশিয়ার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক ২০১৫ সালে সে দেশের ফুটবল ফেডারেশনকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে। এর পরিবর্তে একটি নতুন কমিটি গঠন করা হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তকে ‘হস্তক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করে সে দেশের ফুটবলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ফিফা। ফলস্বরূপ ২০১৮ সালের বিশ্বকাপ এবং ২০১৯ সালের এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব থেকে বাদ পড়ে ইন্দোনেশিয়া। ২০১৬ সালের মে মাসে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

০৯ ১৫

২০১৭ সালের অক্টোবরে, ‘তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের’ কারণ দেখিয়ে পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। আদালতের সিদ্ধান্তে পাকিস্তান ফুটবল ফেডারেশন (পিএফএফ)-এর অফিস এবং অ্যাকাউন্টগুলির নিয়ন্ত্রণ যায় আদালত নিযুক্ত প্রশাসকের কাছে। আদালতের এই রায় ফিফা আইনের বিরোধী জানিয়ে নির্বাসিত করা হয় পিএফএফ-কে। ২০১৮ সালের মার্চ মাসে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়।

১০ ১৫

২০২২ সালেও পাকিস্তানের ফুটবল দলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ফিফা কর্তৃপক্ষ। আন্তর্জাতিক স্তরে দেশের ফুটবল দলের মান বাড়ানোর জন্য পরিচালনা পর্ষদের তরফে ফেডারেশনের সদর দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয় কিছু সরকারি কর্মকর্তাকে। এই সিদ্ধান্তকে ফিফার নিয়মবিরুদ্ধ বলে উল্লেখ করে পিএফএফ-এর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ফিফা। ২০২২ সালের জুলাই মাসে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

১১ ১৫

২০২১ সালের মার্চ মাসে চাদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে সে দেশের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে ভেঙে দেওয়া হয়। এর পরই চাদের ফুটবল দলকে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেন ফিফা কর্তৃপক্ষ। ছয় মাস পরে সে দেশের ফুটবলের লাগাম আবার চাদ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফটিএফএ) উপর তুলে দেওয়ার পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।

১২ ১৫

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জিম্বাবোয়ে সরকারের ‘স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন কমিশন’ (এসআরসি)-এর তরফে জিম্বাবোয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (জিফা)-কে নির্বাসিত করা হয়। জিফার কর্মীদের বিরুদ্ধে মহিলা রেফারিদের যৌন হয়রানির অভিযোগ আনা হয়। একই সঙ্গে জিফার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগও আনা হয়। এর পরই জিফাকে নির্বাসিত করে এসআরসি। এর পর ফিফাও জিম্বাবোয়ে ফুটবল দলকে আন্তর্জাতিক স্তরের সমস্ত প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই নিষেধাজ্ঞা এখন পর্যন্ত জারি রয়েছে।

১৩ ১৫

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কেনিয়ার ফুটবল নিয়ামক সংস্থা ‘ফুটবল কেনিয়া ফেডারেশন’ (এফকেএফ)-কে নির্বাসনে পাঠায় ফিফা। ২০২১ সালের নভেম্বরে, কেনিয়ার ক্রীড়ামন্ত্রী আমিনা মহম্মদ এফকেএফ-এ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে ফেডারেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি তত্ত্বাবধায়ক কমিটি গঠন করেন।

১৪ ১৫

তত্ত্বাবধায়ক কমিটি কেনিয়ার ফুটবল পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এফকেএফ-এর কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ক্রীড়া মন্ত্রকের তরফে এই তত্ত্বাবধায়ক কমিটি নিযুক্ত হওয়ার পরই কেনিয়াকে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা। এই নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে।

১৫ ১৫

এর পরই মঙ্গলবার ১৬ অগস্ট ভারতীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) নির্বাসিত করল ফিফা। এর ফলে প্রবল অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ল ভারতীয় ফুটবলের ভবিষ্যৎ। ফিফা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশে এখন এআইএফএফ-এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে ‘কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্স’। এর বদলে যে দিন থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কমিটি এআইএফএফ-এর দৈনন্দিন কাজকর্ম দেখতে শুরু করবে, সে দিন থেকে এই নির্বাসনের শাস্তি উঠে যাবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement