বলিউ়ডের ‘বাদশা’ থেকে বলিপাড়ার ‘শাহেনশা’র পুত্র— ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁদের সকলকেই। কিন্তু তাঁরা সকলেই সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। দায়িত্ব কাঁধে নেন বলিপাড়ার অন্য খান। সেই ছবিই বক্স অফিসে বাজেটের তিন গুণের বেশি ব্যবসা করে।
২০০৬ সালে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘রং দে বসন্তি’। তারকাখচিত এই ছবিতে প্রথমে অভিনয় করার কথা ছিল শাহরুখ খানের। ছবিনির্মাতাদের পছন্দের তালিকায় ছিলেন আরও দুই বলি অভিনেতা— অমিতাভ বচ্চনের পুত্র অভিষেক বচ্চন এবং খ্যাতনামী ছবিনির্মাতা রাকেশ রোশনের পুত্র হৃতিক রোশন।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, শাহরুখ থেকে শুরু করে অভিষেক এবং হৃতিক, তিন অভিনেতাই ‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কিন্তু তার নেপথ্যকারণ কী?
ছবির পরিচালক এক পুরনো সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন যে, ‘রং দে বসন্তি’ ছবির শুটিংয়ের জন্য প্রত্যেক অভিনেতাকে ন’মাসের জন্য প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই সময় নিয়েই বাধে সমস্যা।
বলিউডের গুঞ্জন, ‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে আসলাম চরিত্রের জন্য পছন্দ করা হয়েছিল হৃতিককে। চিত্রনাট্যের খসড়া শুনে মনেও ধরেছিল হৃতিকের। কিন্তু শুটিংয়ের জন্য সময় বার করতে পারছিলেন না তিনি।
‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে অভিনয়ের ইচ্ছা থাকলেও প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে হয়েছিল রোশন-পুত্র হৃতিককে। হৃতিক সেই প্রস্তাব খারিজ করলে তাঁর ছেড়ে দেওয়া চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় বলি অভিনেতা কুণাল কপূরকে।
‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে অজয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় দক্ষিণী অভিনেতা আর মাধবনকে। কিন্তু কানাঘুষো শোনা যায়, সেই চরিত্রের জন্য ছবিনির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন শাহরুখ।
বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যায়, ‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য শাহরুখকে প্রস্তাবও দিয়েছিলেন ছবিনির্মাতারা। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলিউডের ‘বাদশা’।
বলিউ়ড সূত্রে খবর, ‘পহেলি’ ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন শাহরুখ। তাঁর পক্ষে আবার নতুন কোনও ছবির শুটিংয়ের জন্য সময় বার করা কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। তাই উপায় না দেখে ‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শাহরুখ।
বলিপাড়ার গুঞ্জন, ‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল অভিষেক বচ্চনকেও। কিন্তু সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন বচ্চন-পুত্র।
‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে কর্ণের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় দক্ষিণী অভিনেতা সিদ্ধার্থকে। কিন্তু ছবিনির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন না তিনি।
কানাঘুষো শোনা যায়, কর্ণের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শাহিদ কপূরকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন ‘রং দে বসন্তি’র নির্মাতারা। কিন্তু শাহিদ সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
চার জন বলি অভিনেতা ছাড়াও ‘রং দে বসন্তি’ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার তালিকায় রয়েছে এক বলি নায়িকার নাম। তিনি প্রীতি জ়িন্টা।
‘রং দে বসন্তি’ ছবিতে সনিয়ার চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা অর্জন করেছেন সোহা আলি খান। কিন্তু ছবিনির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন না তিনি।
বলিউডের অন্দরমহল সূত্রে খবর, সনিয়ার চরিত্রের জন্য প্রথমে প্রীতিকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন ছবিনির্মাতারা। কিন্তু প্রীতি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে সোহা সেই চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হন।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘রং দে বসন্তি’ ছবি তৈরিতে খরচ হয়েছিল ৩০ কোটি টাকা। ছবিমুক্তির পর বক্স অফিস থেকে সেই ছবি আয় করেছিল প্রায় ৯৭ কোটি টাকা। তারকাখচিত এই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করে নজর কেড়েছিলেন আমির খান। এটি তাঁর কেরিয়ারের অন্যতম সেরা ছবি হিসাবেও জায়গা পায়।