Bollywood Gossip

শরীরী গঠন নিয়ে কটাক্ষ, ‘তারকাসুলভ ভাবভঙ্গি’র অভাবে বাদ দেন পরিচালক! হেমার কেরিয়ার রক্ষা করেছিলেন খ্যাতনামী নায়ক

হেমা স্থির করে ফেলেছিলেন, একটি ছবিতেও যদি অভিনয়ের সুযোগ পান তবে নিজেকে উজাড় করে দেবেন। সকলকে নিজের দক্ষতা দেখাতে চাইছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ নভেম্বর ২০২৫ ০৯:৪৩
Share:
০১ ১৫

তকমা পেয়েছিলেন বলিউডের ‘ড্রিম গার্ল’-এর। অভিনয়গুণের পাশাপাশি তাঁর রূপের স্তুতি গাইতেন বলিউডের তারকারা। কিন্তু ডাকসাইটে সুন্দরী এই অভিনেত্রীর মধ্যে নাকি তারকাসুলভ কোনও ভাব নেই বলে দাবি করেছিলেন এক পরিচালক। তাঁর ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার কথা দিয়েও হেমা মালিনীকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

০২ ১৫

১৯৬৩ সালে দক্ষিণী ছবির হাত ধরে বড়পর্দায় কেরিয়ার শুরু করেছিলেন হেমা। প্রথম ছবি মুক্তির পর কাজের সন্ধানে এক দক্ষিণী পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন নায়িকা। ষাটের দশকের মাঝামাঝি সময়ে তামিল পরিচালক সিভি শ্রীধর নায়িকাকে তাঁর একটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

Advertisement
০৩ ১৫

গুঞ্জন শোনা যায়, হেমাকে নিজের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার কথা দিয়েও নাকি সেই কথা রাখেননি শ্রীধর। পরিবর্তে নায়িকার অভিনয় দক্ষতা এবং শরীরী গঠন নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

০৪ ১৫

শ্রীধরের কথায়, তারকা হতে গেলে চোখেমুখে আত্মবিশ্বাসের ছাপ থাকতে হয়, অন্য রকম জেল্লা থাকা প্রয়োজন। হেমার মধ্যে তারকাসুলভ কোনও কিছুই নাকি দেখতে পান না পরিচালক। হেমার চেহারা নিয়েও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পরিচালকের দাবি, হেমা নাকি নায়িকা হওয়ার জন্য অত্যধিক রোগা।

০৫ ১৫

তামিল ছবি থেকে বাদ পড়ার পর হেমার মধ্যে জেদ চেপে যায়। দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে না হলেও বলিউডে গিয়ে নায়িকা হিসাবে পরিচিতি তৈরি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন। কেরিয়ার তৈরির খিদে নিয়ে মায়ের সঙ্গে দিল্লি চলে যান তিনি।

০৬ ১৫

এক সাক্ষাৎকারে হেমা জানিয়েছেন যে, দিল্লিতে যাওয়ার পর তাঁকে কেউ চিনতেন না। নতুন মুখ দেখে হেমার ভবিষ্যৎ নিয়ে ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই মন্তব্য করেছিলেন। হেমা নাকি অভিনয় করতে জানেন না। চলচ্চিত্রজগতে তিনি বেশি দিন টিকতে পারবেন না বলে ধারণাও ছিল অনেকের।

০৭ ১৫

হেমাও নিজের জেদে অটল ছিলেন। তিনি স্থির করে ফেলেছিলেন, একটি ছবিতেও যদি অভিনয়ের সুযোগ পান তবে নিজেকে উজাড় করে দেবেন হেমা। সকলকে নিজের দক্ষতা দেখাতে চাইছিলেন তিনি। হেমার কেরিয়ার তৈরির জন্য পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন জনপ্রিয় ছবিনির্মাতা কে সুব্রহ্মণম।

০৮ ১৫

হেমার মায়ের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল কে সুব্রহ্মণমের। হেমার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন ছবিনির্মাতা। সেই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করেছিলেন হেমা। বলিউডের অন্য ছবিনির্মাতাদেরও সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তার পরেই রাজ কপূরের ছবিতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন হেমা।

০৯ ১৫

‘সঙ্গম’ ছবির কাজ শেষ করে অন্য ছবির প্রস্তুতি শুরু করতে চেয়েছিলেন রাজ। ‘সঙ্গম’ ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালনাও করেছিলেন তিনি। পরবর্তী ছবির জন্য নতুন মুখ খুঁজছিলেন রাজ। কে সুব্রহ্মণম বন্ধু রাজকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনি যেন নায়িকার চরিত্রে হেমাকে সুযোগ দেন।

১০ ১৫

বন্ধুর কথা ফেলতে পারেননি রাজ। তবে মন থেকে পুরোপুরি সায়ও দেননি তিনি। হেমাকে ‘স্ক্রিন টেস্ট’-এর জন্য ডেকেছিলেন অভিনেতা। রাজ নিজেই হেমার ‘স্ক্রিন টেস্ট’ নেবেন বলে জানিয়ে দেন। হেমাকে গ্রামের মহিলাদের মতো সাধারণ পোশাক পরে আসতে বলেছিলেন তিনি। ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে খুব সাধারণ অভিব্যক্তিতে পোজ় দিতে বলছিলেন হেমাকে।

১১ ১৫

কানাঘুষো শোনা যায়, হেমাকে নিয়ে কে সুব্রহ্মণম নাকি রাজের কাছে নিজের কেরিয়ারের বাজি ধরেছিলেন। ছবিনির্মাতা বলেছিলেন, ‘‘এই মেয়ে (হেমা) যদি কেরিয়ারের গোড়াতেই বাজিমাত করতে না পারে, তা হলে আমি পরিচালনা ছেড়ে দেব। নিজেকে পরিচালক হিসাবে পরিচয়ও দেব না।’’ বন্ধুর কাছে সেই বাজি জিতেও যান তিনি। ‘স্ক্রিন টেস্ট’-এ রাজের মন জয় করে নিয়েছিলেন হেমা।

১২ ১৫

১৯৬৮ সালে রাজ কপূরের পরিচালনায় ‘সপনো কা সওদাগর’ ছবির মাধ্যমে বলিপাড়ায় পদাপর্ণ হেমার। সেই ছবিতে রাজের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। কেরিয়ারের প্রথম ছবি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন হেমা। বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে ছবিটি।

১৩ ১৫

কেরিয়ারের গোড়ার দিকে কয়েকটি ছবি বক্স অফিসে ব্যবসা করতে পারেনি হেমার। ১৯৭০ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘জনি মেরা নাম’ ছবিটি। এই ছবিই হেমার কেরিয়ার রাতারাতি বদলে দেয়।

১৪ ১৫

সত্তরের দশক থেকে বলি ইন্ডাস্ট্রিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন হেমা। যে তামিল পরিচালক হেমাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, সেই পরিচালকও পরে হেমার সঙ্গে কাজ করেছিলেন। কিন্তু কোনও দক্ষিণী ছবি নয়। হিন্দি ছবি পরিচালনার সময় হেমাকে নায়িকার চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন শ্রীধর।

১৫ ১৫

১৯৭৩ সালে ‘গেহরি চাল’ নামে একটি অ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার হিন্দি ছবি পরিচালনা করেছিলেন শ্রীধর। সেই ছবিতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছিলেন হেমা। তিক্ত স্মৃতি নিয়ে কেউই কাটাছেঁড়া করেননি। এমনকি, শুটিং চলাকালীন অতীত ঘটনা নিয়ে আলোচনাও করেননি পরিচালক-অভিনেত্রী।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement