ISRO

মহাকাশ গবেষক হতে গেলে কী বিষয়ে পড়াশোনা করতে হয়? কোন পরীক্ষায় পাশ করতে হয়? ইসরোর বিজ্ঞানীদের বেতন কত?

মহাকাশ প্রযুক্তির বিকাশ এবং উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, গ্রহ অনুসন্ধান এবং মহাকাশ প্রয়োগের মতো ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনার মতো বিষয়গুলি নিয়ে চর্চা করার সুযোগ মেলে ইসরোয়। মহাকাশ গবেষক হতে চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে তার প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করার পর থেকেই।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫ ১২:১১
Share:
০১ ১৭

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন বিক্রম সারাভাই। তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত ছিল এই প্রতিষ্ঠান। ১৯৬২ সালে পথচলা শুরু ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র বা ইসরোর। একের পর এক গবেষণা, অভিযান, সাফল্য। ব্যর্থতাও রয়েছে ইসরোর ঝুলিতে। দীর্ঘ সময় ধরে কঠিন পরিশ্রম আর বিপুল সময় ব্যয় করে ভারতের মুকুটে সাফল্যের নতুন নতুন পালক যোগ করে চলেছে ইসরো।

০২ ১৭

চাঁদে, মঙ্গলে মহাকাশযান প্রেরণ থেকে শুরু করে মহাকাশে পা রাখার তালিকায় ভারতের নাম যুক্ত হয়েছে ইসরোর গবেষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে। মহাকাশের মতো প্রতিকূল পরিবেশে মহাকাশযান পাঠানোর ক্ষেত্রে নানা জটিল বিষয় মাথায় রাখতে হয়।

Advertisement
০৩ ১৭

ইসরোর বিজ্ঞানীদের মাথায় রাখতে হয় মহাকাশচারীদের লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম, মহাজাগতিক বিকিরণ থেকে যাত্রীদের রক্ষা করা, শক্তিশালী ক্রু মডিউল, আরও কত কী! শুধু তা-ই নয়, উৎক্ষেপণ এবং প্রত্যাবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অক্লান্ত পরিশ্রম, বিনিদ্র রাত কাটানো, তবু বিরামহীন ভাবে কাজ করে যান গবেষকেরা।

০৪ ১৭

মহাকাশ গবেষণায় অংশ নিয়ে ইসরোয় যোগদানের স্বপ্ন দেখেন অনেক ভারতীয় পড়ুয়াই। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্র কী কী নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো যেতে পারে তার জন্য এক আকাশ সুযোগ অপেক্ষা করে রয়েছে এই পেশায়। বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ, বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রটা আরও অনেক বড়।

০৫ ১৭

মহাকাশ প্রযুক্তির বিকাশ এবং উপগ্রহ উৎক্ষেপণ, গ্রহ অনুসন্ধান এবং মহাকাশযান প্রেরণের মতো ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনার মতো বিষয়গুলি নিয়ে চর্চা করার সুযোগ মেলে ইসরোয়। মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার এবং অভিযানের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে কী ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে? কতটা শক্ত সেই ‘মহাকাশ অভিযান’?

০৬ ১৭

মহাকাশযাত্রা সফল করার পিছনে যাঁরা থাকেন, সেই ‘স্পেস ইঞ্জিনিয়ার’দের দলে নিজেকে যুক্ত করা ততটা কঠিন নয়। মহাকাশযন্ত্রের নকশা থেকে খুঁটিনাটি যন্ত্র তৈরি ছাড়াও স্যাটেলাইট বানানোর কারিগরও এঁরা। নানা শাখায় পড়ে ‘স্পেস ইঞ্জিনিয়ার’ হওয়া যায়। আর বিজ্ঞানের প্রায় সমস্ত শাখা থেকেই এসে ‘স্পেস সায়েন্টিস্ট’ হওয়া যায়।

০৭ ১৭

ছোটবেলা থেকে মহাকাশ গবেষক হতে চাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে তার প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করার পর থেকেই। বি়জ্ঞান শাখায় একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকে শুরু করা যায় এর প্রস্তুতি। পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিত— এই তিনটি বিষয় অপরিহার্য।

০৮ ১৭

এই তিন বিষয় বেশির ভাগ প্রযুক্তিগত এবং গবেষণামূলক ভূমিকার ভিত্তি। ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিজ্ঞানে পরবর্তী ধাপের পড়াশোনার জন্য এই বিষয়গুলির উপর সুনির্দিষ্ট ধারণা থাকা খুবই প্রয়োজন।

০৯ ১৭

একেবারে স্নাতক স্তর থেকে মহাকাশ বিজ্ঞান নিয়েই পড়তে চাইলে যে প্রতিষ্ঠানটির নাম সবার আগে আসে, সেটি হল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ স্পেস সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি। তিরুঅনন্তপুরমে অবস্থিত এটি। এখানে চার বছরের বিটেক কোর্স হয় এয়ারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং আর এভিওনিক্স-এ। বিটেক, এমটেক মিলিয়ে পাঁচ বছরের ইন্টিগ্রেটেড কোর্সও রয়েছে। ভর্তির জন্য সর্বভারতীয় স্তরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স (অ্যাডভান্সড) পরীক্ষা দিয়ে পাশ করতে হয়।

১০ ১৭

ইসরোর চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ন্যূনতম স্নাতক ডিগ্রি প্রয়োজন। মেকানিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশন, বৈদ্যুতিক, কম্পিউটার বিজ্ঞান অথবা মহাকাশ বিজ্ঞানের মতো ক্ষেত্রে ব্যাচেলর অফ টেকনোলজি (বিটেক) অথবা ব্যাচেলর অফ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি থাকা বাঞ্ছনীয়।

১১ ১৭

গবেষণা-কেন্দ্রিক পদের জন্য পদার্থবিদ্যা, গণিত অথবা জ্যোতির্বিদ্যায় স্নাতক (বিএসসি) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ৬৫ শতাংশ নম্বর থাকা প্রয়োজনীয়।

১২ ১৭

বিজ্ঞানের প্রায় সমস্ত শাখা থেকেই এসে ‘স্পেস সায়েন্টিস্ট’ হওয়া যায়। ফার্মাকোলজির কোনও গবেষক মহাকাশে প্রাপ্ত নতুন কোনও বস্তু থেকে ওষুধ তৈরির গবেষণা করতে পারেন। বায়োলজিস্ট অন্য গ্রহে প্রাণের সম্ভাবনা নিয়ে, মেটিয়োরোলজিস্ট আবহাওয়া নিয়ে, জিয়োলজিস্ট ভূত্বক বা উপরিভাগ নিয়ে গবেষণার সুযোগ পেতে পারেন।

১৩ ১৭

ইসরোর গবেষণার ক্ষেত্রগুলি বহুমুখী। মূল ক্ষেত্রগুলির মধ্যে একটি হল স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং। এখানে উৎক্ষেপণ যান এবং মহাকাশযান তৈরির কাঠামোর নকশা এবং উন্নয়নের কারিগরি বিষয় নিয়ে কাজকর্ম করার সুযোগ পাওয়া যায়। মহাকাশযান তৈরির পর তা মহাকাশে যখন পাঠানো হবে, তখন পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্য প্রয়োজন স্যাটেলাইট সিস্টেম, যন্ত্র এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি।

১৪ ১৭

এই ক্ষেত্রটিতে টেলি-কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা যাঁরা করেছেন তাঁদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও রয়েছে সফট্‌অয়্যার ডেভেলপমেন্ট, তথ্য বিশ্লেষণ এবং অভিযানে নানাবিধ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। জেট প্রপালশন, এয়ারোডায়ানামিক্স, ক্রায়োজেনিক প্রযুক্তির ব্যবহারিক প্রয়োগ মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য প্রয়োজন।

১৫ ১৭

ইসরোর কারিগরি পদের নিয়োগ হয় সেন্ট্রালাইজ়ড রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের পরীক্ষার মাধ্যমে। একটি লিখিত পরীক্ষা ও তার পর ইন্টারভিউয়ে যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেওয়া হয়। সাধারণত বছরে এক বার অনুষ্ঠিত হয় এই নিয়োগ প্রক্রিয়া। অন্যান্য সরকারি পরীক্ষার মতো নিয়োগ পরীক্ষায় সাধারণ জ্ঞান বা যোগ্যতার বিভাগ অন্তর্ভুক্ত থাকে না। নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান এবং ব্যবহারিক প্রয়োগের ভিত্তিতে প্রার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়।

১৬ ১৭

কিছু গবেষণা এবং ফেলোশিপ পদের ক্ষেত্রে গ্র্যাজুয়েট অ্যাপটিটিউড টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্কোরও বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

১৭ ১৭

ইসরোর ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন মোটামুটি শুরু হয় ৫৬ হাজার টাকার আশপাশে। এ ছাড়াও নানা ধরনের ভাতা এবং সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয় তাঁদের। ইসরোর প্রধানের বেতন আড়াই লক্ষ টাকার কাছাকাছি।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement