India Israel Ties

বর্শা আর তরবারি দিয়ে শেষ মেশিনগানের কারিকুরি! শতবর্ষ আগে তুর্কি সেনাদের খতম করে কী ভাবে ইহুদিদের ‘বন্ধুত্ব’ পায় ভারত?

যত সময় গড়িয়েছে, ততই মজবুত হয়েছে ইজ়রায়েলের সঙ্গে ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক। প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য থেকে কৃষি— বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু’তরফেই হয়েছে বিনিয়োগ, সহযোগিতা। ইহুদি রাষ্ট্রের সঙ্গে নয়াদিল্লির এ-হেন ‘বন্ধুত্বের’ সূত্রপাত ঘটায় ব্রিটিশ ভারতের তিন দল অশ্বারোহী বাহিনী।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:১৭
Share:
০১ ২০

‘অপারেশন সিঁদুর’ থেকে কার্গিল যুদ্ধ। কিংবা ভূমিকম্পবিধ্বস্ত গুজরাতের ভুজ। বিপদগ্রস্ত নয়াদিল্লির পাশে সব সময় ‘বন্ধু’ হিসাবে থেকেছে ইজ়রায়েল। কখনও হাতিয়ার পাঠিয়ে, কখনও আবার প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে বার বার খাদের কিনারা থেকে ভারতকে টেনে তুলতে দেখা গিয়েছে পশ্চিম এশিয়ার ওই ইহুদি রাষ্ট্রকে। এ দেশের প্রতি তেল আভিভের এ-হেন ভালবাসার নেপথ্যে রয়েছে কোন অঙ্ক? তারই চুলচেরা বিশ্লেষণে নেমে হাইফার লড়াইয়ে ভারতীয় অশ্বারোহী বাহিনীর অসীম সাহসিকতার প্রসঙ্গ টেনেছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।

০২ ২০

১৯১৪-’১৮ সাল পর্যন্ত চলা প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ইহুদিভূমিতে রক্ত ঝরায় ভারতীয় সৈন্যদল। ঔপনিবেশিক শাসনে ব্রিটেনের হয়ে লড়তে হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু সেখানেও বীরত্বের আলাদা ছাপ রাখতে সক্ষম হন তাঁরা। সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে হাইফার মাউন্ট কারমেল পাহাড়ে আক্রমণ শানাতে দ্বিতীয় বার ভাবেনি তৎকালীন ভারতীয় ফৌজের অশ্বারোহী রেজ়িমেন্ট। সেখানে অটোমান বাহিনীকে একরকম নির্মূল করে দেন এ দেশের ঘোড়সওয়ার যোদ্ধারা। ইতিহাসে এটি ‘শেষ মহান অশ্বারোহী’ অভিযান হিসাবে বিখ্যাত হয়ে আছে।

Advertisement
০৩ ২০

হাইফার মাউন্ট কারমেলের যুদ্ধে অংশ নেয় ব্রিটিশ ভারতীয় অশ্বারোহী বাহিনীর ১৫ নম্বর ইম্পেরিয়াল সার্ভিস ক্যাভালরি ব্রিগেড। আক্রমণের সময় একেবারে সামনের সারিতে ছিল তিনটি ঘোড়সওয়ার রেজিমেন্ট। সেগুলি হল মাইসুরু, হায়দরাবাদ এবং জোধপুর ল্যান্সার্স। ২৩ সেপ্টেম্বর বন্দর-শহরটির পাহাড়ি এলাকা থেকে অটোমান তুর্কি ফৌজকে হটিয়ে দেয় তারা। শুধুমাত্র বর্ষা ও তরোয়াল ব্যবহার করে মেশিনগান সজ্জিত বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে ফেলেন অসীম সাহসী ভারতীয় সৈনিকেরা।

০৪ ২০

ইতিহাসবিদদের দাবি, মাউন্ট কারমেলের ঢাল বেশি হওয়ায় অনেকটাই নিশ্চিন্ত ছিল উপরে থাকা অটোমান তুর্কি বাহিনী। ঘোড়া নিয়ে এই রাস্তায় ভারতীয় সৈনিকেরা উঠে আসতে পারবে না বলে একটা বদ্ধমূল ধারণা ছিল তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের এক দিক থেকে কামান দাগা শুরু করে ব্রিটিশ গোলন্দাজ ফৌজ। সেই ফাঁকে ধীরে ধীরে ঘোড়া নিয়ে কারমেলের উপরে উঠে হামলা চালায় ভারতীয় অশ্বারোহী সেনা। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে যুদ্ধে হেরে যায় মেশিনগান সজ্জিত তুর্কি সেনা।

০৫ ২০

হাইফার যুদ্ধে বীরত্বের স্বীকৃতি হিসাবে ক্যাপ্টেন আমান সিংহ বাহাদুর ও দফাদার জোর সিংহকে ‘ইন্ডিয়ান অর্ডার অফ মেরিট’-এ সম্মানিত করে ব্রিটিশ সরকার। সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট সগত সিংহ পান ‘মিলিটারি ক্রস’। সংশ্লিষ্ট লড়াইয়ের মূল নায়ক ছিলেন মেজর দলপত সিংহ। তাঁকেও ‘মিলিটারি ক্রস’-এ সম্মানিত করেছিল তৎকালীন ইংরেজ সরকার। সংঘর্ষে জোধপুর ল্যান্সার্সের আট জন সৈনিক নিহত হন, আহত হন ৩৪ জন। অন্য দিকে তুরস্কের ৭০০-র বেশি সেনাকে বন্দি করেন তাঁরা। দখলে আসে ১৭টি ফিল্ডগান ও ১১টি মেশিনগান।

০৬ ২০

১৯১৮ সালের ২৩ অক্টোবর হাইফায় ভারতীয় অশ্বারোহী বাহিনীর এই জয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। মাত্র কয়েক জন সৈনিক হারিয়ে অটোমান তুর্কি ও জার্মানির যৌথ ফৌজের ১,৩৫০ জনকে বন্দি করেন এ দেশের ঘোড়সওয়ার যোদ্ধারা। ওই ঘটনার কিছু দিনের মধ্যেই নিকটবর্তী এক্রা শহরের উপরেও নিয়ন্ত্রণ হারায় আঙ্কারা। ফলে ভূমধ্যসাগরের দিক থেকে পশ্চিম এশিয়ার হাতিয়ার, গোলা-বারুদ এবং রসদ পাঠানোর রাস্তা পেয়েছিল ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মিত্র বাহিনী।

০৭ ২০

সাবেক সেনাকর্তাদের দাবি, হাইফার লড়াইয়ে ভারতীয় অশ্বারোহী বাহিনীর সাফল্য অটোমান সাম্রাজ্যের পতন ডেকে এনেছিল। ফলে রাতারাতি বদলে যায় পশ্চিম এশিয়ার মানচিত্র। ১৯২৩ সালে অটোমান সাম্রাজ্যের একটা ছোট্ট অংশ নিয়ে জন্ম হয় রিপাবলিক অফ তুরস্কের। বাকি জমি নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেয় বিজয়ী ব্রিটেন এবং ফ্রান্স। আরও কয়েক বছর পর ১৯৩২ সালে ইরাক, ১৯৪৩ সালে লেবানন এবং ১৯৪৬ সালে আরব দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ করে আজকের সিরিয়া ও জর্ডন।

০৮ ২০

ইজ়রায়েলের ইতিহাসে হাইফার যুদ্ধ অন্য কারণেও গুরুত্বপূর্ণ। ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী লর্ড আর্থার জেমস বেলফোর ইহুদি নেতা লর্ড লিওনার্ড রথচাইল্ডকে একটি চিঠি পাঠান। সেখানে একটি বিশেষ প্রতিশ্রুতির কথা লেখা ছিল। সংশ্লিষ্ট চিঠিতে জার্মান নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তিকে হারাতে ইহুদিদের সাহায্য চান বেলফোর। বিনিময়ে লড়াই শেষে পশ্চিম এশিয়ায় ইহুদি রাষ্ট্র তৈরির একরকম আশ্বাস দেন তিনি। ইতিহাসে এই ঘটনা ‘বেলফোর ঘোষণা’ (বেলফোর ডিক্লারেশন) নামে খ্যাত।

০৯ ২০

ব্রিটিশ বিদেশমন্ত্রী যখন রথচাইন্ডকে এই চিঠি পাঠাচ্ছেন তখন যুদ্ধের ময়দানে অনেকটাই সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে জার্মান নেতৃত্বাধীন অক্ষশক্তি। এই সামরিক জোটের অংশ হিসাবে অটোমান তুর্কিরা ভূমধ্যসাগরের দিক থেকে ব্রিটিশ এবং ফরাসি বাহিনীর উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করে যাচ্ছিল। কিন্তু বছর ঘুরতেই পাল্টে যায় যাবতীয় হিসেব-নিকেশ। আচমকা হাইফা হাতছাড়া হওয়ায় বেকায়দায় পড়ে আঙ্কারা। শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে হয় তাদের।

১০ ২০

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় শুধুমাত্র হাইফাতেই ভারতীয় সৈনিকেরা লড়েছিলেন এমনটা নয়। ইজ়রায়েলি শহর জেরুজ়ালেম এবং রামাল্লাতেও রয়েছে এ দেশের শহিদ ফৌজিদের স্মৃতিসৌধ। নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জন ছিলেন ইহুদি বংশোদ্ভূত। বর্তমানে ইজ়রায়েলে মোট ৯০০ ভারতীয় সেনার সমাধি রয়েছে। প্রতি বছর ২৩ সেপ্টেম্বর হাইফায় তাঁদের স্মরণে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নয়াদিল্লির দূতাবাস।

১১ ২০

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হতেই ইউরোপ-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইহুদিরা তেল আভিভ, জেরুজ়ালেম ও রামাল্লার মতো শহরগুলিতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। ‘বেলফোর ঘোষণা’কে হাতিয়ার করে ওই এলাকায় একটি নিজস্ব রাষ্ট্র তৈরির স্বপ্ন তত দিনে দেখতে শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। ইতিহাসবিদদের কথায়, হাইফার যুদ্ধে এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিল ভারতীয় অশ্বারোহী ফৌজ। ওই লড়াইয়ের ফলাফল অটোমান সাম্রাজ্যের পক্ষে গেলে স্বাধীন ইজ়রায়েল তৈরি করা কখনওই সম্ভব হত না।

১২ ২০

পশ্চিম এশিয়ায় ভারতীয় সেনার এ-হেন বীরত্ব এ দেশের মানুষের কতটা স্মরণে রয়েছে, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। ইহুদিরা কিন্তু কখনওই সেটা ভোলেনি। ১৯৪৮ সালে ইজ়রায়েল গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জে নির্বাচন হলে তেল আভিভের বিরুদ্ধে ভোট দেয় নয়াদিল্লি। সেই ধাক্কা সত্ত্বেও এ দেশের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ তৈরি করতে দেরি করেনি ইজ়রায়েল। ফলস্বরূপ, ১৯৫০ সালে পশ্চিম এশিয়ার ইহুদি রাষ্ট্রটিকে মান্যতা দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু।

১৩ ২০

১৯৯২ সালে ভারত ও ইজ়রায়েলের মধ্যে তৈরি হয় কূটনৈতিক সম্পর্ক। তার আগেও অবশ্য বিপদে-আপদে নয়াদিল্লির পাশে দাঁড়াতে কোনও সঙ্কোচ করেননি ইহুদি নেতৃত্ব। ১৯৬২ সালে ভারত-চিন যুদ্ধের সময় জাহাজবোঝাই হাতিয়ার পাঠান ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়েন। যদিও সেই অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেনি এ দেশের ফৌজ। সরকারি সিদ্ধান্তের জটিলতায় আরব সাগর থেকে ফিরে যায় হাতিয়ারবোঝাই ইহুদিদের জাহাজ।

১৪ ২০

গত শতাব্দীর ৮০-এর দশকে পাকিস্তানের কাহুতার পরমাণুকেন্দ্র গুঁড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে ইজ়রায়েল। ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে পরামর্শ করে এর নীলনকশা ছকেও ফেলেছিল ইহুদিদের গুপ্তচরবাহিনী মোসাদ। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিতে গররাজি হয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সরকার। ফলে সেই অভিযান বাতিল করতে বাধ্য হয় নয়াদিল্লি ও তেল আভিভ। এতে সাফল্য পেলে ইসলামাবাদের আণবিক অস্ত্র তৈরির স্বপ্ন যে মাঠে মারা যেত, তা বলাই বাহুল্য।

১৫ ২০

১৯৯২ সালে ইজ়রায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে ভারত। এর সাত বছরের মাথায় কার্গিল যুদ্ধের সময় মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে নয়াদিল্লিকে লেজ়ার গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় পশ্চিম এশিয়ার এই ইহুদি রাষ্ট্র। মিজ়ার-২০০০ লড়াকু জেটের মাধ্যমে সেগুলি ব্যবহার করেছিল এ দেশের বিমানবাহিনী। সংশ্লিষ্ট লেজ়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলি লড়াইয়ের গতি ঘুরিয়ে দিতে সাহায্য করে। ২০০৩ সালে ভারত সফরে আসেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল শ্যারন। তিনিই ছিলেন এ দেশের মাটিতে পা দেওয়া প্রথম ইহুদি রাষ্ট্রপ্রধান।

১৬ ২০

কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী হওয়ার পর ভারত এবং ইজ়রায়েলের সম্পর্কে অন্য গতি এসেছে। ২০১৭ সালে এ দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইজ়রায়েলে সফর করেন তিনি। ঠিক তার পরের বছরই নয়াদিল্লির তিন মূর্তি চকের নাম বদলে ‘তিন মূর্তি হাইফা চক’ করে দেয় তাঁর সরকার। পাশাপাশি, আইটুইউটু নামের একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীতে ইহুদিদের সঙ্গে রয়েছে ভারত। সংশ্লিষ্ট সংগঠনটির বাকি দু’টি দেশ হল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

১৭ ২০

২০২৩ সালে নয়াদিল্লিতে ‘ভারত মধ্য প্রাচ্য ইউরোপ বারান্দা’ বা আইম্যাক (ইন্ডিয়া মিডল ইস্ট ইউরোপ করিডোর) তৈরির পরিকল্পনা করে জি২০-ভুক্ত সমস্ত দেশ। এর মূলত দু’টি উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ায় চিনের প্রভাব কমানো। দ্বিতীয়ত, সুয়েজ খালের বিকল্প হিসাবে ভূমধ্যসাগর তথা ইউরোপ পর্যন্ত যাওয়ার একটা বিকল্প রাস্তা নির্মাণ করা। সংশ্লিষ্ট করিডরটি শুরু হবে পশ্চিম ভারতের মুম্বই সমুদ্রবন্দর থেকে। এই রাস্তায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবন্দর হল ইজ়রায়েলের হাইফা।

১৮ ২০

এ বছরের মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন পাক ফৌজের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে ভারতীয় সেনা ইজ়রায়েলি ড্রোন ব্যবহার করেছে বলে খবর প্রকাশ্যে আসে। এ ছাড়া কৃষিক্ষেত্রে উন্নতির জন্য ইহুদিদের প্রযুক্তি ঢালাও ব্যবহার করছে নয়াদিল্লি। আর তাতে যথেষ্ট লাভবান হচ্ছেন এখানকার চাষিরা। উল্টো দিকে ভারতীয়দের মোটা বেতনে চাকরি দেওয়া শুরু করেছে তেল আভিভ।

১৯ ২০

তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ২৯ সেপ্টেম্বর হাইফায় নিহত ভারতীয় সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বড় ঘোষণা করেন সেখানকার মেয়র ইয়োনা ইয়াহাভ। তিনি জানিয়েছেন, ইহুদিদের স্কুলপাঠ্যের ইতিহাস বইগুলি সংশোধন করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘এত দিন আমাদের একটা বিষয় ভুল শেখানো হয়েছে। আমরা জানতাম অটোমান তুর্কিদের হাত থেকে হাইফাকে মুক্ত করেছে ব্রিটিশ বাহিনী। কিন্তু সেটা ঠিক নয়। এর পুরো কৃতিত্বই ভারতীয় সৈনিকদের। ‘হিস্টোরিক্যাল সোসাইটি’র গবেষণায় সেই প্রমাণ মিলেছে। আর তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’

২০ ২০

বর্তমানে হাইফা বন্দর চালানোর কার্যভার ভারতের ধনকুবের শিল্পপতি গৌতম আদানির হাতে তুলে দিয়েছে ইজ়রায়েল সরকার। আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাক-চিনকে কোণঠাসা করতে যে ভাবে তেল আভিভকে সব সময় নয়াদিল্লি পাশে পাচ্ছে, তাতে দু’তরফে ঘনিষ্ঠতা আগামী দিনে আরও মজবুত হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement