‘কালসাপ’ ইরানের মাথা থেঁতলে দিতে ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’ চালাচ্ছে ইজ়রায়েল। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ়-৩’র নামে পাল্টা প্রত্যাঘাতের রাস্তায় নেমেছে সাবেক পারস্য দেশ। শিয়া মুলুকের ক্ষমতার ভরকেন্দ্র পাল্টে দেওয়াই কি ইহুদিদের মূল উদ্দেশ্য? ৪৬ বছর পর তেহরানে খামেনেই-রাজের পতন ঘটাতে পারবে তেল আভিভের জগদ্বিখ্যাত গুপ্তচর বাহিনী মোসাদ? এই সমস্ত প্রশ্নের জবাব পেতে ইতিমধ্যেই দু’পক্ষের যুদ্ধকৌশল নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু করে দিয়েছেন দুনিয়ার তাবড় প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।
ইসলামীয় প্রজাতন্ত্রী ইরানের শাসনব্যবস্থার মূল নিয়ন্ত্রক শিয়া ধর্মগুরু তথা সর্বোচ্চ নেতা (পড়ুন সুপ্রিম লিডার) আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। মাসুদ পেজ়েসকিয়ান নামে প্রেসিডেন্ট হলেও চূড়ান্ত ক্ষমতা হাতে নেই তাঁর। ১৯৭৯ সালে ‘বিপ্লব’-এর পর কট্টরপন্থাকে পুরোপুরি আঁকড়ে ধরে তেহরান। সাবেক পারস্য দেশের প্রশাসনেও তার ছাপ রয়েছে। এই নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ আমজনতার একাংশ। যুদ্ধ চলাকালীন এই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে সেখানকার ক্ষমতা বদলে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইজ়রায়েল।
এ-হেন ইরানে খামেনেই রাজের পতন ঘটাতে গত চার দশকে চেষ্টার ত্রুটি করেনি ইহুদিদের গুপ্তচর বাহিনী মোসাদ। তবে ২০২৪ সাল থেকে সেই নীল নকশায় বদল এনেছেন খোদ ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। একাধিক ভিডিয়োবার্তায় শিয়া মুলুকটির বাসিন্দাদের ক্ষোভের আগুনে ঘি দেওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। সাবেক পারস্য মুলুকের বাসিন্দাদের খোলাখুলি ভাবে ‘অত্যাচারী’ সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহুর এ-হেন পদক্ষেপ ‘খেলা ঘোরাতে’ পারে, বলছেন বিশ্লেষকেরা।
সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিয়োবার্তায় ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘ইজ়রায়েলের লড়াই ইরানি জনগণের বিরুদ্ধে নয়। আমরা সেই খুনি ইসলামীয় শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়ছি, যারা নিজেদের দেশবাসীকেই দারিদ্রের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। আর তাই ওই শাসকদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময় এসেছে। ইরানবাসীদের বলছি, আপনারা রুখে দাঁড়ান, আওয়াজ তুলুন। তা হলেই মিলবে মুক্তির স্বাদ।’’ এর পাশাপাশি খামেনেই শাসনে শিয়া মুলুকটি সন্ত্রাসবাদের জন্য জলের মতো কত টাকা খরচ করেছে, তারও ফিরিস্তি দেন নেতানিয়াহু।
গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় প্রায় দেড় দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। বিদ্রোহীদের দখলে চলে যায় রাজধানী দামাস্কাস। ফলে দেশ ছেড়ে রাশিয়ায় চম্পট দেন সেখানকার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। পর্দার আড়ালে থেকে সিরিয়ার এই সরকারকে সমর্থন করত ইরান। শিয়া মুলুকটির বাসিন্দাদের দেওয়া ভিডিয়োবার্তায় নেতানিয়াহু দাবি করেন, এর জন্য তেহরানের কোষাগার থেকে খরচ হয়েছে তিন হাজার কোটি ডলার। এ ছাড়া প্যালেস্টাইনপন্থী গাজ়ার সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং লেবাননের হিজবুল্লাকে মদত দিতে আলি খামেনেইয়ের নির্দেশে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করেছে সাবেক পারস্য দেশ।
২০২২ সালে ঠিকমতো হিজাব না পরার কারণে ইরানি নীতিপুলিশের বিরুদ্ধে বছর ২০-র মাসা আমিনি নামের এক তরুণীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা পারস্য দেশ। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ আন্দোলনে শামিল হন বহু মানুষ। তাঁদের স্লোগান ছিল, ‘নারী-জীবন-স্বাধীনতা’। আন্দোলন থামাতে নির্বিচারে গুলি চালায় খামেনেইয়ের আধা সেনা ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’ বা আইআরজিসি।
ইরানি শাসনযন্ত্রের ভিত নাড়িয়ে দিতে সেই ঘটনার উল্লেখ করে উস্কানি দিয়েছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। ভিডিয়োবার্তায় তিনি বলেছেন, ‘‘এটাই কট্টরপন্থীদের আসল চেহারা। স্বাধীনতার কণ্ঠস্বরকে ভয় পায় তারা। আমি জানি একদিন এই অবস্থার পরিবর্তন হবে। মুক্তির সূর্য উঠবে পারস্য উপসাগরের তীরে।’’ ইহুদিদের নতুন এই পরিকল্পনায় শিয়া মুলুকটিতে গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। কারণ, ৮৫ বছরের দুর্বল স্বাস্থ্যের খামেনেইয়ের নেতৃত্বে একাধিক গুরুতর সমস্যায় ভুগছে ইরান।
পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরেই বেলাগাম মুদ্রাস্ফীতির জেরে আর্থিক ভাবে ভয়ঙ্কর চাপের মুখে পড়েছে তেহরান। খাদ্যদ্রব্য এবং গৃহস্থালি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ১০০ শতাংশ। এ ছাড়া ডলারের নিরিখে ইরানি মুদ্রা রিয়ালের দর তলানিতে চলে গিয়েছে। আর্থিক ভাবে সাবেক পারস্য দেশটি ছন্নছাড়া হয়ে পড়ায় চলতি বছরের শেষ চার মাসে ২০০-র বেশি বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে। সেগুলিতে শ্রমিক, স্বাস্থ্যকর্মী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী থেকে অবসরপ্রাপ্তদেরও যোগ দিতে দেখা গিয়েছে।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের দাবি, দু’টি কারণে ইরানে গৃহযুদ্ধ মাথাচাড়া দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রথমত, আর্থিক দুর্দশা। কম মজুরি এবং বকেয়া বেতনে দিনের পর দিন সেখানকার বাসিন্দাদের একটা বড় অংশকে কাজ করতে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, মৌলবাদীদের হাতে মহিলাদের হয়রানি। গত বছরের জানুয়ারিতে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে তেহরানের একটি মানবাধিকার সংগঠন। সেখানে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে মোট ৩১ জন নারীকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছে আলি খামেনেইয়ের প্রশাসন, ১৭ বছরের মধ্যে যা সর্বোচ্চ।
২০২২ সালে ইরানি জনগণের উপর একটি সমীক্ষা চালায় গবেষক সংস্থা ‘গামান’। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, আলি খামেনেইয়ের ইসলামীয় প্রজাতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সমর্থন করেন না শিয়া মুলুকের ৯০ শতাংশ বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে ৭৩ শতাংশ আবার ধর্মকে পুরোপুরি ভাবে রাজনীতি থেকে আলাদা করার পক্ষপাতী। প্রায় ৪৩ শতাংশ মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের সমর্থক বলেও সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটিতে উল্লেখ করা হয়েছিল।
২০২১ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আমজনতার অংশ নেওয়ার পরিমাণ কিছুটা কমে যায়। তেহরানের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে বার ভোট দেন ৪৮ শতাংশ ইরানি। ১৯৭৯ সালে ‘ইসলামীয় বিপ্লব’-এর পর এই সংখ্যা সর্বনিম্ন বলে জানা গিয়েছে। ওই নির্বাচনে ২০ শতাংশ ভোট নষ্ট করেন সরকার-বিরোধীরা। তাঁদের যুক্তি ছিল, এ ভাবে কট্টরপন্থী ব্যবস্থার পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। বিশ্লেষকদের দাবি, আলি খামেনেইয়ের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ জমা হয়েছে, এই ঘটনাগুলিই তার প্রমাণ।
উল্লেখ্য, ‘ইসলামীয় বিপ্লব’-এর পর ইরানে রাজতন্ত্রের সমর্থকেরা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছেন, তা ভাবলে ভুল হবে। ওই সময় দেশ ছেড়ে পালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেন সাবেক পারস্যের শাহ, মহম্মদ রেজা পহেলভি। ১৯৮০ সালে মৃত্যু হয় তাঁর। শিয়া মুলুকটির শাহের পুত্র এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন আমেরিকায়। গত বছর ‘নিউউইক’ নামের একটি পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। সেখানে শাহ-পুত্র বলেন, ‘‘পশ্চিমের ধাঁচের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া তেহরানকে বাঁচানো সম্ভব নয়।’’
বিশ্লেষকেরা মনে করেন, ইরানের গদি থেকে আলি খামেনেইকে সরাতে নতুন মুখ হিসাবে শাহ-পুত্রকে তুলে ধরতে পারে ইজ়রায়েল। এ ব্যাপারে ইহুদিরা যে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য পাবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তেহরানে কট্টরপন্থীদের শাসন পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া মোটেই সহজ নয়। কারণ, পরমাণু অস্ত্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে দেশপ্রেমকে জাগিয়ে তোলার সুবর্ণসুযোগ চলে এসেছে আলি খামেনেইয়ের হাতে। এর সদ্ব্যবহার করতে এতটুকু দেরি করেননি তিনি। আর তাই ইজ়রায়েলি শহরগুলিকে শিয়া ফৌজ নিশানা করার পরেই সেখানকার আমজনতাকে রাস্তায় নেমে উৎসব করতে দেখা গিয়েছে।
ঘটনাচক্রে, চলতি বছরের ১৫ জুন মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ়’কে একটি সাক্ষাৎকার দেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি দাবি করেন, ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’-এর জন্য যে কোনও মুহূর্তে বদল হতে পারে ইরানের শাসক। প্রেসিডেন্ট পেজ়েসকিয়ান না কি সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনেই, কার কুর্সি যাবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি তিনি।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে সম্প্রতি হত্যার ছক কষেছিল ইজ়রায়েল। কিন্তু তাতে আপত্তি জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের দুই শীর্ষকর্তার কথা উল্লেখ করে এই তথ্য প্রকাশ করেছে রয়টার্স। তাঁদের একজনের বক্তব্য, “এখনও পর্যন্ত কোনও আমেরিকানকে হত্যা করেনি তেহরান। যত ক্ষণ না তারা এমন কোনও পদক্ষেপ করছে, আমরা তাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কিছু করার বিষয় আলোচনাতেই রাখছি না।”
যদিও আমেরিকার আধিকারিকদের ওই দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহু বলেন, “অনেক ভুয়ো খবর ছড়ায়, যা নিয়ে কখনও কথাবার্তাই হয় না। আমি এটি নিয়ে ভাবতে চাই না।” পশ্চিম এশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বন্ধুরাষ্ট্র ইজ়রায়েল। ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, ইরানের উপর হামলার কথা আগে থেকেই তিনি জানতেন। শিয়া মুলুকটির সন্দেহ, ইহুদিদের হামলায় ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
গত ১৩ জুন শিয়া মুলুকটির বেশ কয়েকটি পরমাণুকেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটিকে নিশানা করে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স বা আইডিএফ। এতে প্রাণ হারান সাবেক পারস্য দেশের একগুচ্ছ ফৌজি কমান্ডার এবং ন’জন পরমাণু বিজ্ঞানী। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ফেরেউদুন আব্বাসি। এর পরই পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইহুদিদের রাজধানী তেল আভিভ-সহ গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলিকে নিশানা করে ইরানি সেনা।
এই আক্রমণ এবং প্রতি-আক্রমণের মধ্যে দিয়েই দু’পক্ষের মধ্যে বেধে গিয়েছে ‘যুদ্ধ’। সংঘাতের আবহে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বা এনপিটি (নিউক্লিয়ার নন-প্রোলিফারেশন ট্রিটি) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তেহরান। এর জন্য ইরানি পার্লামেন্টে বিল আনা হবে বলেও জানিয়েছেন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ইসমাইল বঘাই। এর ফলে ইজ়রায়েলের পক্ষে সাবেক পারস্য দেশের সরকার বদলের চেষ্টা কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা।
এনপিটি অনুযায়ী, পরমাণু শক্তিধর কোনও দেশ অন্য কোনও রাষ্ট্রকে পারমাণবিক অস্ত্র তো বটেই, এই প্রযুক্তিও তুলে দিতে পারে না। পরমাণু শক্তিধর নয়, এমন দেশগুলি এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করলে আণবিক অস্ত্র তৈরি না করা এবং অন্য কারও কাছ থেকে না-নেওয়ার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। ইরান এই চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেলে চরম আমেরিকা-বিরোধী দু’টি দেশের সমর্থন পাওয়ার দরজা খুলে যাবে কট্টরপন্থী আলি খামেনেইদের সামনে। সংশ্লিষ্ট দেশ দু’টি হল রাশিয়া এবং চিন। যুক্তরাষ্ট্রকে চাপে রাখতে তারা তেহরানের সরকারের বাঁচাতে এগিয়ে আসতে পারে, বলছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা।
ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষা নীতিগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘বেগিন ডকট্রিন’। ১৯৮১ সালে ইরাকে যা প্রথম বার প্রয়োগ করে এই ইহুদি রাষ্ট্র। সে বার ‘অপারেশন অপেরা’ চালিয়ে বাগদাদের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংস করেছিল আইডিএফ। ‘বেগিন ডকট্রিনে’ বলা হয়েছে, বিপদের আঁচ পেলে হামলা হওয়ার আগেই তা ধ্বংস করতে হবে। ইরানের ক্ষেত্রে সেই নীতি থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে কুর্সিবদলের রাস্তায় হাঁটবেন নেতানিয়াহু? এর উত্তর দেবে সময়।