Pakistan’s Nuclear Project Destruction Plan

ভারতকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের পরমাণুকেন্দ্র ওড়ানোর ছক! কার ভুলে ‘অপারেশন কাহুতা’ বাতিল করে ইহুদিরা?

গত শতাব্দীর ৮০-র দশকে ভারতকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানের পরমাণুকেন্দ্র ধ্বংসের ছক কষে ইজ়রায়েলি গুপ্তচর বাহিনী মোসাদ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দিনের আলো দেখেনি ওই অপারেশন। কিন্তু কেন?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০২৫ ০৭:৫৩
Share:
০১ ২১

ইরান-ইজ়রায়েল যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তেই ভয়ে কাঁটা পাকিস্তান। সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃত্বের দাবি, আগামী দিনে ইসলামাবাদকে নিশানা করবে ইহুদি ফৌজ। সেই কারণে ‘ধর্মীয় তাস’ খেলে পশ্চিমের প্রতিবেশী তথা সাবেক পারস্য দেশটিক সব রকমের সাহায্যের জন্য সুর চড়িয়েছেন তাঁরা। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, পাক রাজনীতিবিদদের এই ভয় একেবারেই অমূলক নয়। কারণ, সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া কোনও ইসলামীয় রাষ্ট্রের কাছে পরমাণু হাতিয়ার থাক, তা একেবারেই চান না ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

০২ ২১

গত শতাব্দীর ৯০-এর দশকের একেবারে শেষের দিকে পরমাণু অস্ত্র হাতে পায় পাক ফৌজ। এর অন্তত দেড় দশক আগে আগে থেকে আণবিক হাতিয়ারের শক্তি অর্জনে কোমর বেঁধে লেগেছিল ইসলামাবাদ। গুপ্তচর মারফত সেই খবর কানে যেতেই প্রমাদ গোনে ইজ়রায়েল। কারণ, জন্মলগ্ন থেকে ইহুদিদের চরম শত্রু বলে মেনে এসেছে ভারতের পশ্চিম প্রতিবেশী। শুধু তা-ই নয়, ইজ়রায়েলকে কখনওই রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেয়নি ইসলামবাদ। এমত অবস্থায় তাদের ধ্বংস করতে পাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার হতে পারে বলে মনে করেছিল তেল আভিভ।

Advertisement
০৩ ২১

১৯৭৭-’৮৩ সাল পর্যন্ত ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মেনাহেম বেগিন। চারদিকে শত্রুবেষ্টিত হওয়ায় ইহুদি ভূমির নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বিশেষ একটি নীতির প্রচলন করেন তিনি। এর নাম ‘বেগিন ডকট্রিন’। এতে বলা হয়, কোনও দিক থেকে বিপদের আশঙ্কা থাকলে আগাম আক্রমণ করে আগেই তা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। সংশ্লিষ্ট নীতিটি মেনে পাকিস্তানের পরমাণু কেন্দ্রগুলিকে উড়িয়ে দেওয়ার ছক কষে ইহুদি গুপ্তচর বাহিনী মোসাদ। বলা বাহুল্য এতে ভারতকে পুরোপুরি পাশে পেয়েছিল তারা।

০৪ ২১

পাকিস্তানের আগে অবশ্য ইরাককে নিশানা করেন ইহুদি প্রধানমন্ত্রী বেগিন। তাঁর নির্দেশে বাগদাদের ওসিরাক পারমাণবিক প্রতিষ্ঠান উড়িয়ে দেয় ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। ১৯৮১ সালের ৭ জুনের ওই বিমানহানায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যায় সেখানকার আণবিক চুল্লি। আইডিএফ এই অভিযানের নাম রেখেছিল ‘অপারেশন অপেরা’। পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলি অবশ্য একে ‘অপারেশন ব্যাবিলন’ বলে উল্লেখ করেছিল। ঠিক একই কায়দায় ইসলামাবাদের পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র ধুলোয় মিশিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল মোসাদের।

০৫ ২১

১৯৮০-র দশকে ইসলামাবাদ দ্রুত গতিতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির দিকে এগোতে থাকে। পাক সেনার সদর দফতর রাওয়ালপিন্ডি সংলগ্ন কাহুতায় এই সংক্রান্ত গবেষণা চালাচ্ছিলেন সে দেশের প্রতিরক্ষা গবেষকেরা। যদিও বিশ্লেষকদের বড় অংশই মনে করেন চিন এবং উত্তর কোরিয়া থেকে প্রযুক্তি চুরি করে আণবিক বোমা তৈরি করেছেন তাঁরা।

০৬ ২১

১৯৭১ সালের যুদ্ধে ভারতের হাতে পুরোপুরি পর্যুদস্ত হওয়ার পর পরমাণু হাতিয়ার নির্মাণে মনোনিবেশ করে পাক সরকার। ওই সময়ে এ ব্যাপারে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তথা পাকিস্তান পিপল্‌স পার্টির (পিপিপি) প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলি ভুট্টো। তিনি বলেন, ‘‘প্রয়োজনে সবাই ঘাস-পাতা খেয়ে থাকবে, কিন্তু আমাদের আণবিক বোমা চাই।’’

০৭ ২১

সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী ভুট্টোর ওই মন্তব্যের পর প্রমাদ গোনে নয়াদিল্লি। ইসলামাবাদের পরিকল্পনা জানতে কোমর বেঁধে নেমে পড়ে ভারতের গুপ্তচর সংস্থা ‘রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইং’ বা র। কাহুতায় কর্মরত প্রতিরক্ষা গবেষকদের চুলের নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। রাসায়নিক পরীক্ষায় তাতে ভারী মাত্রায় ইউরেনিয়ামের অস্তিত্ব মেলে। ফলে দু’য়ে দু’য়ে চার করতে ভারতীয় গুপ্তচরদের খুব একটা সমস্যা হয়নি।

০৮ ২১

অন্য দিকে ঠিক ওই সময় থেকেই ইসলামীয় সন্ত্রাসবাদকে ধোঁয়া দিতে শুরু করে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স)। রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলদের তত্ত্বাবধানে গড়ে ওঠে একের পর এক জঙ্গি সংগঠন। ইসলামাবাদের গুপ্তচর বাহিনী থেকে শুরু করে সেনা অফিসাররা ছিলেন কট্টর প্যালেস্টাইনপন্থী। তেল আভিভকে শত্রু বলে মনে করতেন তাঁরা। আর তাই গাছ বড় হওয়ার আগেই তা কেটে ফেলার নীল নকশা ছকে ফেলে ইজ়রায়েল।

০৯ ২১

ওই সময়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইজ়রায়েলের সঙ্গে ভারতের কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু, বিভিন্ন ইস্যুতে নয়াদিল্লি এবং তেল আভিভের মধ্যে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। সূত্রের খবর, কাহুতা ধ্বংসের পরিকল্পনায় প্রাথমিক ভাবে সবুজ সঙ্কেত দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ফলে ভারতীয় ফৌজ এবং গুপ্তচরদের সঙ্গে কথাবার্তা বলা শুরু করেন আইডিএফের সেনাকর্তারা।

১০ ২১

পরবর্তীকালে ওয়াশিংটন পোস্ট এবং এবিসি নিউজ়ের প্রতিবেদনে ভারত ও ইজ়রায়েলের যৌথ উদ্যোগে পাক পরমাণু কর্মসূচি ধ্বংসের পরিকল্পনা ফাঁস হয়। এই দুই জনপ্রিয় মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, ঝুঁকিপূর্ণ এই অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৫, এবং এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ব্যবহারের কথা ছিল আইডিএফের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের সাংবাদিক অ্যাড্রিয়ান লেভি লেখেন, ‘অপারেশন ব্যাবিলন’-এর সাফল্যের পর ভারতীয় সেনা এবং গোয়েন্দাকর্তাদের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল ইজ়রায়েল সফরে যান। সেখানে ঠিক হয় পুরো অভিযানের যাবতীয় খুঁটিনাটি।

১১ ২১

পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি, ইজ়রায়েলি লড়াকু জেটগুলির গুজরাতের জামনগরের বায়ুসেনা ঘাঁটি থেকে ওড়ার কথা ছিল। তবে সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে কাহুতায় হামলা চালাত না তারা। উল্টে সোজা কাশ্মীর উড়ে গিয়ে নিয়ন্ত্রণরেখা (পড়ুন লাইন অফ কন্ট্রোল বা এলওসি) পেরিয়ে রাওয়ালপিন্ডির দিকে যাওয়ার কথা ছিল তাদের।

১২ ২১

ইজ়রায়েলি যুদ্ধবিমানের ভূস্বর্গ হয়ে আক্রমণ শানানোর নেপথ্যে ভারতীয় গুপ্তচরদের সুনির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা কাজ করেছিল। র’-এর যুক্তি ছিল এতে অতি সহজে পাক রাডারের নজর এগিয়ে কাহুতায় পৌঁছে যাবে ইহুদিদের লড়াকু জেট। দ্বিতীয়ত, পাহাড়ের আড়ালকে কাজে লাগিয়ে রাওয়ালপিন্ডির আকাশসীমায় ঢুকতে পারবেন আইডিএফের যোদ্ধা পাইলটেরা।

১৩ ২১

লেভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৮৪ সালের মার্চে এই অভিযানের চূড়ান্ত ছাড়পত্র দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ইজ়রায়েলের কুর্সিতে তখন ইৎজ়্যাক শামির। সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার নয়াদিল্লির সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তবে ইন্দিরার সঙ্গে সরাসরি এ ব্যাপারে তাঁর আলোচনা হয়েছিল কি না, তা স্পষ্ট নয়।

১৪ ২১

কাহুতা ধ্বংসের পরিকল্পনা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে, তখনই বাদ সাধে আমেরিকা। পাকিস্তানের কাছে সব কিছু ফাঁস করে দেয় মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা সিআইএ (সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স এজেন্সি)। ফলে এ ব্যাপারে আগাম সতর্কতা নিয়ে ফেলে ইসলামাবাদ। বাধ্য হয়ে হামলার পরিকল্পনা বাতিল করে ভারত ও ইজ়রায়েল। দু’টি দেশ অবশ্য সরকারি ভাবে কখনওই বিষয়টি স্বীকার করেনি।

১৫ ২১

১৯৯৮ সালের মে মাসে বালোচিস্তানের চাগাই জেলার রাস কোহ পাহাড়ে পরমাণু বোমার পরীক্ষা চালায় পাকিস্তান। ওই বছরই রাজস্থানের পোখরানে পাঁচটি আণবিক বোমা পরীক্ষা করে নয়াদিল্লি। ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে পারমাণবিক হাতিয়ার তৈরি করা হয়েছে বলে ওই সময়ে যুক্তি দিয়েছিল ইসলামাবাদ।

১৬ ২১

’৮০ দশকের ওই পরিকল্পনা ব্যর্থ হলেও পরবর্তী বছরগুলিতে পরমাণু হাতিয়ার ইস্যুতে আন্তর্জাতিক ভাবে পাকিস্তান বারবার কোনঠাসা করার চেষ্টা করে গিয়েছে ইজ়রায়েল। কয়েক বছর আগে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে মুখ খোলেন বর্তমান ইহুদি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হল ইরান। তার পর অবশ্যই পাকিস্তানের কথা বলতে হবে। তালিবানের মতো কোনও কট্টরপন্থী দল ওই দেশের ক্ষমতা দখল করলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। আমরা কখনওই সেই ঝুঁকি নিতে পারি না। তখন ইসলামাবাদকে নিশানা করা ছাড়া আমাদের হাতে দ্বিতীয় কোনও রাস্তা থাকবে না।’’

১৭ ২১

সম্প্রতি নেতানিয়াহুর ওই মন্তব্য ভাইরাল হতেই পাকিস্তানে নতুন করে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এই আবহে ইসলামাবাদের পার্লামেন্ট তথা ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে দাঁড়িয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা তথা সাংসদ আসাদ কায়সার। তাঁর কথায়, ‘‘ইরানের মতো আগামী দিনে আমাদেরও নিশানা করতে পারে ইজ়রায়েল। আর তাই দেশের আমজনতা থেকে শুরু করে সরকার, যতটা সম্ভব সবটুকু নিয়ে তেহরানের পাশে দাঁড়াতে হবে।’’ পাক পার্লামেন্টে দেওয়া তাঁর এই ভাষণ কিছু ক্ষণের মধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।সম্প্রতি নেতানিয়াহুর ওই মন্তব্য ভাইরাল হতেই পাকিস্তানে নতুন করে ছড়িয়েছে আতঙ্ক। এই আবহে ইসলামাবাদের পার্লামেন্ট তথা ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি’তে দাঁড়িয়ে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতা তথা সাংসদ আসাদ কায়সার। তাঁর কথায়, ‘‘ইরানের মতো আগামী দিনে আমাদেরও নিশানা করতে পারে ইজ়রায়েল। আর তাই দেশের আমজনতা থেকে শুরু করে সরকার, যতটা সম্ভব সবটুকু নিয়ে তেহরানের পাশে দাঁড়াতে হবে।’’ পাক পার্লামেন্টে দেওয়া তাঁর এই ভাষণ কিছু ক্ষণের মধ্যেই সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

১৮ ২১

অন্যদিকে ইজ়রায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে ইরানকে সমর্থনের কথা বলতে শোনা গিয়েছে পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফের গলাতেও। এর পরই ইসলামাবাদকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করে বসেন তেহরানের আধা সেনা ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’ বা আইআরজিসির কমান্ডার ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য সিনিয়র জেনারেল মোহসেন রেজ়াই। একটি নিউজ় চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘পাকিস্তান প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যদি ইজ়রায়েল আমাদের উপর পারমাণবিক বোমা ফেলে, তা হলে তারাও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ইহুদিভূমিতে আক্রমণ শানাবে।’’

১৯ ২১

শিয়া ফৌজের কমান্ডারের ওই মন্তব্যের পর দুনিয়া জুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। ফলে আন্তর্জাতিক ভাবে চাপের মুখে পড়ে ইসলামাবাদ। এর পর তেহরানের ওই দাবি খারিজ করে দেন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তেহরান। ফলে মারাত্মক চাপের মুখে পড়েছে ইসলামাবাদের অর্থনীতি।

২০ ২১

পাকিস্তানের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেও ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কিছুতেই সফল হতে দিতে নারাজ ইজ়রায়েল। ২০২০ সালের নভেম্বর তেহরানের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মহসেন ফাখরিজ়াদেহকে গুলিতে নিকেশ করেন ইহুদি গুপ্তচরেরা। কিন্তু তার পরও আণবিক অস্ত্র নির্মাণের কর্মসূচি থেকে সরে আসেনি পারস্য উপসাগরের ওই শিয়া মুলুক। আর তাই চলতি বছরের ১৩ জুন সেখানকার পরমাণু কেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করে আইডিএফ। এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ রেখেছেন তাঁরা।

২১ ২১

ইজ়রায়েলের এই হামলার পরেই পশ্চিম এশিয়ায় বেজে গিয়েছে যুদ্ধের বিউগল। ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ় ৩’-এর মাধ্যমে পাল্টা প্রতি আক্রমণ শানিয়েছে ইরান। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, তেহরানের কুর্সি থেকে কট্টরপন্থী শিয়া ধর্মগুরু তথা সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেইকে মরিয়া হয়ে উঠেছে মোসাদ। আর তাই বারবার ‘ইসলামীয় ভাতৃত্ববোধের’ কথা বলে ইহুদিদের ঠেকাতে চাইছে আতঙ্কিত পাকিস্তান।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement