Israel vs Iran

পারস্য উপসাগরের তীরে ইহুদিদের ‘সিংহ গর্জন’! পরমাণুকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বিকিরণেই কি সমাপ্ত হবে শিয়া-সাম্রাজ্য?

ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির স্বপ্নে ইতি টানতে মরিয়া ইজ়রায়েল। সেই কারণে শিয়া মুলুকটির আণবিক কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করেছে ইহুদি ফৌজ। এর জেরে পারস্য উপসাগরের তীরে শুরু হয়েছে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫ ১৪:৫৫
Share:
০১ ১৮

ইহুদিদের ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’ বনাম শিয়া ফৌজের ‘অপারেশন ট্রু প্রমিজ় ৩’। ইরান-ইজ়রায়েল সংঘর্ষে জ্বলছে আরব দুনিয়া। প্রথমেই সাবেক পারস্য দেশের পরমাণু ঠিকানাগুলিকে নিশানা করে লড়াইয়ের বিউগল বাজিয়ে দেয় তেল আভিভের বিমানবাহিনী। এর পাল্টা প্রত্যাঘাত শুরু করেছে ইরানি সেনা। তবে এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রকাশ্যে এসেছে একটি প্রশ্ন। তা হল, ইহুদিদের আক্রমণে তেহরানে শুরু হয়নি তো তেজস্ক্রিয় বিকিরণ? বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খোদ রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি)।

০২ ১৮

চলতি বছরের ১৩ জুন ভোরে ইরানের পরমাণুকেন্দ্র এবং বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিকে নিশানা করে ইজ়রায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ)। তাদের অন্যতম লক্ষ্যবস্তু ছিল নাতান্‌জ আণবিক কেন্দ্র। সাবেক পারস্য দেশের এটি সর্ববৃহৎ পরমাণুকেন্দ্র। এই হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন আইএইএর ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদে তিনি বলেন, ‘‘ইরানের নাতান্‌জ পরমাণু কেন্দ্রের ভিতরে তেজস্ক্রিয় এবং রাসায়নিক দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে।’’

Advertisement
০৩ ১৮

তবে আইএইএর ডিরেক্টর জেনারেলের দাবি, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রটির বাইরে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনও প্রভাব পড়েনি। যদিও এই বিষয়ে বিশ্লেষকদের মনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তাঁদের দাবি, খুব ধীর গতিতে বিকিরণ হয়ে থাকতে যা চিহ্নিত করা বেশ কঠিন। পাশাপাশি, ইজ়রায়েলি হামলার জেরে ইরান জুড়ে ফ্লোরিন থেকে পরিবেশগত ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তীব্র হল বলে মনে করছেন তাঁরা। পরমাণুকেন্দ্রে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করতে এই পদার্থটির ব্যাপক ব্যবহার করে থাকেন প্রতিরক্ষা গবেষকেরা।

০৪ ১৮

মার্কিন পরমাণু অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ডেভিড অ্যালব্রাইট জানিয়েছেন, ইউরেনিয়াম তেজস্ক্রিয় পদার্থ হলেও সেটা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে, এমনটা নয়। কিন্তু কোনও পরমাণুকেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় ও রাসায়নিক দূষণ ছড়াতে থাকলে, সেটা আতঙ্কের। ডেভিড মনে করেন, এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রটির উপর দিয়ে বিমান চলাচল বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ, সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের বেশি উচ্চতায় বিকিরণের মাত্রা কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। তবে প্ল্যান্ট সংলগ্ন বাসিন্দা বা কর্মীদের তেমন ক্ষতি হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।

০৫ ১৮

এ ব্যাপারে উদাহরণ দিতে গিয়ে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের চেরনোবিল (বর্তমানে ইউক্রেনের অন্তর্গত) এবং জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু বিপর্যয়ের প্রসঙ্গ টেনেছেন অ্যালব্রাইট। ১৯৮৬ সালের ২৬ এপ্রিল চেরনোবিল আণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ৩১ জনের। কিন্তু, পরে জানা যায় ইউরোপের বিস্তীর্ণ অংশে ছড়িয়েছে পরমাণু বিকিরণ। তাতে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৪০ হাজার। ফলে ধীরে ধীরে পরিত্যক্ত শহর হয় চেরনোবিল। বর্তমানে এর বিশাল এলাকা জুড়ে নেই কোনও জনবসতি।

০৬ ১৮

২০১১ সালে ভূমিকম্প এবং সুনামির জেরে ক্ষতিগ্রস্ত জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পরমাণুকেন্দ্র থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ শুরু হয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই জানা যায়, ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন সেখানকার বাসিন্দারা। ফলে ১ লক্ষ ৬৪ হাজার জাপানিকে ফুকুশিমা থেকে সরাতে বাধ্য হয় টোকিয়ো। ডেভিডের কথায়, ধীর গতিতে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হতে থাকলে এই ধরনের সমস্যার মুখে যে ইরান পড়বে না, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়া ফ্লোরিন-দূষণের কারণেও পরমাণুকেন্দ্রটির কর্মীদের অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

০৭ ১৮

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল গ্রোসি বলেছেন, ‘‘আমি বার বার বলেছি, পারমাণুকেন্দ্রগুলির উপর কোনও অবস্থাতেই হামলা করা উচিত নয়। কারণ তা মানুষের জীবন ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে। এই ধরনের হামলা পারমাণু নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গুরুতর বিপদ ডেকে আনতে পারে। পাশাপাশি এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তাকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়।’’ তবে তাঁর সাবধানবাণী মেনে ইহুদি ফৌজ যে শিয়া মুলুকে হামলা থামাবে, তার কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি।

০৮ ১৮

পরমাণুকেন্দ্রগুলিতে আইডিএফের হামলার পর সরকারি ভাবে ইরানের তরফে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কথা বলা হয়নি। সাবেক পারস্য দেশের সরকারের দাবি, ইহুদি হামলায় আণবিক কেন্দ্রগুলি অক্ষত রয়েছে। তবে বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, ওই প্রকল্প এলাকাগুলির ভিতরে এবং বাইরে কর্মরতদের স্বাস্থ্যের উপর নজর রাখতে হবে। তেজস্ক্রিয় বিকিরণের প্রথম আঁচ আসবে তাঁদের গায়ে। সেটা দেখে বিকিরণের তীব্রতা অনুমান করা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।

০৯ ১৮

নাতান্‌জের পাশাপাশি ইরানের ফোরডোর পরমাণুকেন্দ্রেও আছড়ে পড়ে আইডিএফের ক্ষেপণাস্ত্র। শিয়া দেশটির পরমাণু সংস্থার দাবি, পাহাড়ঘেরা জায়গায় অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও সেখানে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে তার পরিমাণ কতটা ভয়াবহ বা সেখান থেকে কোনও তেজস্ক্রিয় বিকিরণ হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে কোনও তথ্য দেয়নি তেহরান। ফলে এ ব্যাপারে বিপদের আশঙ্কাকে একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না বিশ্লেষকেরা।

১০ ১৮

বিশেষজ্ঞদের দাবি, কোনও জায়গায় পরমাণু বিকিরণ শুরু হলে, বিপদ এড়াতে কতগুলি সুনির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইরানের পক্ষে সে সব নিয়ম মেনে চলা কঠিন। তেহরানের মূল লক্ষ্য হল, দ্রুত পরমাণু বোমা তৈরি করা। এর জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণে জোর দিয়েছে সাবেক পারস্য দেশ। তবে ইজ়রায়েলের হামলায় তাদের এই স্বপ্ন অনেকটাই ধাক্কা খেল বলে মনে করা হচ্ছে।

১১ ১৮

গত ১২ জুন তেহরানের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করে আইএইএ। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থাটি জানায়, আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ না মেনে পরমাণু কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ইরান। গত দু’দশকের মধ্যে প্রথম বার সাবেক পারস্য দেশটি এমন কাজ করছে বলেও স্পষ্ট করেছে আইএইএ। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দু’শোর বেশি লড়াকু জেট নিয়ে শিয়া মুলুকটির বেশ কয়েকটি পরমাণুকেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটিকে নিশানা করে আইডিএফ। ফলে দু’তরফে বেধে যায় সংঘর্ষ।

১২ ১৮

আইএইএর অভিযোগ, পরমাণু বোমা বানানোর উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করছে ইরান। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে তেহরান জানিয়েছে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্যই ৬০ শতাংশ পরিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা হচ্ছে। শিয়া দেশে হামলার পর বিবৃতি দেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর কথায়, ‘‘আর কিছু দিনের মধ্যেই মোট ন’টি পরমাণু বোমা তৈরি করে ফেলবে তেহরান। আর ওই ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ হাতে চলে এলেই প্যালেস্টাইনের গোঁড়া সমর্থক কট্টরপন্থী শিয়ারা ইহুদিদের অস্তিত্ব মুছে ফেলতে চাইবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। সেই কারণে ‘বিষাক্ত সাপ’টির মাথা থেঁতলে দিতে আগেভাগে আক্রমণ চালিয়েছে আইডিএফ।’’

১৩ ১৮

১৩ জুনের ইহুদি হামলায় মৃত্যু হয় ইরানি আধা সেনা ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’ বা আইআরজিসির কমান্ডার-ইন-চিফ হোসেন সালামি, আইআরজিসির চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ হোসেন বাগেরি, ডেপুটি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম আলি রশিদ এবং রেভলিউশনারি গার্ড অ্যারোস্পেস ফোর্সের প্রধান আমির আলি হাজিজ়াদের। এ ছাড়াও প্রাণ হারিয়েছেন শিয়া ফৌজের গুপ্তচর বাহিনীর উপপ্রধান গোলাম রাজা মেহরবি এবং ডেপুটি অফ অপারেশন্‌স মেহেদি রব্বানির।

১৪ ১৮

সেনা অফিসারদের পাশাপাশি আইডিএফের আক্রমণে প্রাণ হারানো পরমাণু বিজ্ঞানীদের মধ্যে রয়েছেন ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রাক্তন প্রধান ফেরেউদুন আব্বাসি। ইহুদি হানায় মোট ন’জন পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। একাধিক উচ্চপদস্থ সেনা অফিসারের মৃত্যু হওয়ায় সেই পদে নতুনদের নিয়োগ করেছেন সেখানকার সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। শিয়া ফৌজের ‘চিফ অফ স্টাফ’ পদে মেজর জেনারেল আবদুর রহিম মুসাভি এবং রেভলিউশনারি গার্ডের নতুন কমান্ডার হিসেবে মেজর জেনারেল মহম্মদ পাকপারকে নিয়োগ করেছেন তিনি।

১৫ ১৮

গত জানুয়ারি শপথ নেওয়ার পর থেকে পরমাণু চুক্তি করতে ইরানের উপর চাপ তৈরি করে গিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেহরান যাতে কোনও ভাবেই আণবিক অস্ত্র তৈরি করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে চাইছে ওয়াশিংটন। সেই লক্ষ্য দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে। ১৫ জুন ওমানে পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

১৬ ১৮

কিন্তু, তার আগে ইজ়রায়েলি হামলার জেরে সেই প্রক্রিয়া বিশ বাঁও জলে চলে গিয়েছে। ইরানি বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাইকে উদ্ধৃত করে শিয়া মুলুকটির সংবাদ সংস্থা তানসিম জানিয়েছে, আমেরিকা এক পাক্ষিক আচরণ করছে, তাই আলোচনা অর্থহীন। ইহুদিদের এই আগ্রাসী মনোভাবের নেপথ্যে আমেরিকার মদত রয়েছে বলে মনে করে তেহরান। বিদেশ দফতরের দেওয়া বিবৃতিতে তা স্পষ্ট করা হয়েছে।

১৭ ১৮

ইজ়রায়েলের পাশাপাশি পশ্চিম এশিয়ার মার্কিন সামরিক ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করার হুমকি দিয়েছে ইরান। এ ব্যাপারে পাল্টা শিয়া মুলুকটিকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন ট্রাম্প। নিজের সমাজমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে তিনি লিখেছেন, ‘‘তেহরান যদি আমেরিকার উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তা হলে সব কিছু তছনছ করে দেওয়া হবে।’’ অন্যদিকে ইহুদিভূমির রাজধানী তেল আভিভের পাশাপাশি জেরুজালেমেও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় শিয়া ফৌজ। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সাহায্যে সেগুলিকে ঠেকাতে পারেনি আইডিএফ।

১৮ ১৮

গত সাড়ে তিন বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। ২০২২ সালে লড়াইয়ের গোড়ার দিকে মস্কোর আক্রমণে জ়াপোরিঝিয়া পরমাণুকেন্দ্রটির বেশ কিছুটা ক্ষতি হয়। এর ভিতরে রয়েছে আণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের ন’টি চুল্লি। ফলে ওই সময়ে সেখান থেকে তেজস্ক্রিয় বিকিরণের আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু বাস্তবে তেমন কিছুই হয়নি। ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতের জেরে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেটাই এখন দেখার।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement