Global Warming

বরফের চাদর সরিয়ে ফুল ফুটছে আন্টার্কটিকায়, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বিজ্ঞানীরা

গত ২০ বছর ধরে আন্টার্কটিকায় খুব ধীরে ধীরে এই উদ্ভিদের প্রসার লক্ষ্য করছেন বিজ্ঞানীরা। আগে ঠান্ডার কারণে এই উদ্ভিদ খুব বেশি দিন বাঁচত না। সম্প্রতি তার আয়ুষ্কাল বেড়েছে। ফুলও ফুটছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:২৩
Share:
০১ ১৫

বরফের চাদর সরিয়ে উঁকি দিচ্ছে কচি পাতা, ফুল। তবে কি বসন্ত এসে গেল! আনন্দের বদলে কিন্তু আশঙ্কার মেঘই দেখছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এই ফুল ফুটেছে আন্টার্কটিকায়।

০২ ১৫

আশঙ্কা, কারণ এর আগে এই তীব্র শীতল অঞ্চলে এত দ্রুত কখনও কোনও উদ্ভিদের বৃদ্ধি হয়নি। শুধু বৃদ্ধি নয়, ওই চরম শীতল আবহাওয়ায় ফুলও ফুটতে শুরু করেছে। তাতেই বুক কাঁপছে পরিবেশবিদ থেকে আবহাওয়াবিদদের।

Advertisement
০৩ ১৫

আন্টার্কটিকার বুকে ফুল ফোটা আদতে জলবায়ুর পরিবর্তনেরই ইঙ্গিত দেয়। বরফে ঢাকা এই মহাদেশে নয়তো ফুল ফোটা এক প্রকার অসম্ভব। সে কারণে বিজ্ঞানীরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন।

০৪ ১৫

বিজ্ঞানীদের রিপোর্ট বলছে, সিগনি দ্বীপে মূলত দু’ধরনের উদ্ভিদ জন্মাতে দেখা গিয়েছে। তাতে ফুল ফুটেছে। ১৯৬০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত এই অঞ্চলে যে হারে এই উদ্ভিদের জন্ম হয়েছে, ২০০৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তার ১০ গুণ উদ্ভিদ জন্মেছে।

০৫ ১৫

আন্টার্কটিকায় অন্য ধরনের উদ্ভিদের জন্মের হারও বৃদ্ধি হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, আগের তুলনায় এখন ওই অঞ্চলে বিভিন্ন উদ্ভিদের বৃদ্ধি বেড়েছে পাঁচ গুণ।

০৬ ১৫

সারা বছর হিমাঙ্কের অনেক নীচে তাপমাত্রা থাকে আন্টার্কটিকায়। সে কারণে মস, লিচেন জাতীয় শৈবালেরই জন্ম হয়। তারাই ওই অঞ্চলের আদি বাসিন্দা।

০৭ ১৫

এ বার আন্টার্কটিকায় নতুন ধরনের উদ্ভিদের দেখা মিলছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে সেখানে নতুন ধরনের উদ্ভিদের জন্ম হচ্ছে। এর ফলে কোপ পড়তে পারে সেখানকার আদি বাসিন্দা মস, লিচেনের বৃদ্ধিতে।

০৮ ১৫

এর ফলে আন্টার্কটিকার বাস্তুতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, নতুন এই উদ্ভিদের বৃদ্ধির কারণে চিরতরে সেখান থেকে অবলুপ্ত হতে পারে আদি বাসিন্দারা।

০৯ ১৫

এমনকি মাটির চরিত্রও বদলে যেতে পারে বলে মত গবেষকদের। এই ধরনের উদ্ভিদ পচে মাটির সঙ্গে মিশলে মাটির অম্লত্বের পরিমাণ বদলে যেতে পারে। তাতে নতুন ধরনের ব্যাকটিরিয়া জন্মাতে পারে। তার প্রভাব পড়তে পারে পরিবেশে, বাস্তুতন্ত্রে।

১০ ১৫

আন্টার্কটিকার বুকে এই ফুল প্রথম লক্ষ্য করেন অস্ট্রেলিয়ার ওলংগং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখেন, আন্টার্কটিকায় মূলত দু’ধরনের উদ্ভিদের বৃদ্ধি হচ্ছে আগের তুলনায় বেশি হারে। প্রথম দিকে নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে দেখা যেত এই উদ্ভিদ। এখন তার বাইরেও বিভিন্ন অঞ্চলে দেখা যাচ্ছে এই উদ্ভিদ।

১১ ১৫

গত ২০ বছর ধরে আন্টার্কটিকায় খুব ধীরে ধীরে এই উদ্ভিদের প্রসার লক্ষ্য করছেন বিজ্ঞানীরা। আগে ঠান্ডার কারণে এই উদ্ভিদ খুব বেশি দিন বাঁচত না। সম্প্রতি তার আয়ুষ্কাল বেড়েছে। ফুলও ফুটছে।

১২ ১৫

এই পরিবর্তনের কারণ হিসাবে বিজ্ঞানীরা বিশ্ব উষ্ণায়নের পাশাপাশি মানুষকেও দায়ী করেন। তাঁদের মতে, আন্টার্কটিকায় গবেষকদের সঙ্গে অভিযাত্রীদের আনাগোনাও বেড়েছে। তাঁদের পায়ে পায়েই এই উদ্ভিদের বীজ ছড়িয়ে পড়েছে বহু দূর। সে কারণে এর বংশবৃদ্ধি হচ্ছে।

১৩ ১৫

বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করেন, এই উদ্ভিদের বীজ সম্ভবত বহু বছর আগে গবেষক এবং অভিযানকারীদের সঙ্গেই আন্টার্কটিকায় এসেছিল। অতীতে তীব্র ঠান্ডার কারণে তা উদ্ভিদে পরিণত হতে পারেনি।

১৪ ১৫

ক্রমে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। তখনই বীজ থেকে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে গাছ। তার পর তাদের বংশবৃদ্ধি ঘটেছে।

১৫ ১৫

গবেষকদের একটা অংশের মতে, সিল মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণেও বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের বৃদ্ধি ঘটেছে। সিল মাছ শৈবাল-সহ বিভিন্ন উদ্ভিদের উপর দিয়ে মাড়িয়ে চলত। সে কারণে সেগুলি মরে যেত। এখন সিল মাছের সংখ্যাও কমেছে। যার অন্যতম কারণ খাদ্যাভাব। সে কারণে বেড়েছে উদ্ভিদের সংখ্যা, যাতে বিপদ দেখছেন বিজ্ঞানীরা।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement