Low Budget Bollywood Film

নায়িকার পোশাক বিভ্রাট, ক্যামেরা চুরি! ‘সেরা বলিউডি ব্ল্যাক কমেডি’র পারিশ্রমিকও ছিল কম

বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবিতে নিজের চরিত্রগঠন নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না নাসিরুদ্দিন শাহ। সেটের ক্যামেরায় শুটিংও করতে চাইতেন না তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৪ ১০:৪২
Share:
০১ ১৫

আশির দশকের ঘটনা। ছবির শুটিং চলছে। ক্যামেরার সামনে অভিনয় করছেন নাসিরুদ্দিন শাহ, নীনা গুপ্ত, সতীশ কৌশিক, ওম পুরী, পঙ্কজ কপূরের মতো তারকা। কম বাজেটের ছবিতে অভিনয় করে পারিশ্রমিকও বেশি পাননি। চিত্রনাট্যও তেমন পছন্দ ছিল না। মুক্তির পর তেমন সফল না হলেও বহু বছর পর তা হিন্দি ফিল্মজগতের সেরা ‘ব্ল্যাক কমেডি’ ঘরানার ছবির তালিকায় প্রথম সারিতে স্থান পায়।

০২ ১৫

১৯৮৩ সালে কুন্দন শাহের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘জানে ভি দো ইয়ারো’। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, এই ছবির বাজেট এতই কম ছিল যে তারকাদের যথাযথ পারিশ্রমিকও দিতে পারেননি ছবিনির্মাতারা।

Advertisement
০৩ ১৫

এক পুরনো সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দিন জানিয়েছিলেন, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবির শুটিংয়ের সময় পরিচালকের সঙ্গে তাঁর প্রায় সব সময় মতবিরোধ চলত। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি বুঝতেই পারছিলাম না কুন্দন ওই ছবিতে কী দেখাতে চেয়েছিলেন। ওঁর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করিনি। ছবির মধ্যে যুক্তি খুঁজতে শুরু করেছিলাম আমি।’’

০৪ ১৫

পরে অবশ্য কুন্দনের কাছে নিজের আচরণের জন্য ক্ষমাও চেয়েছিলেন নাসিরুদ্দিন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘‘মুক্তি পাওয়ার পর আমি বুঝেছিলাম ছবিটি কী অর্থ বহন করছে। আসলে ‘অ্যালবার্ট পিন্টো’, ‘মন্থন’, ‘জুনুন’-এর মতো ছবি করার পর এই ছবিতে অভিনয় করার সময় কিছু বুঝিনি। পরে বুঝলাম যে আমি কতটা ভুল। কুন্দনের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলাম আমি।’’

০৫ ১৫

বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবির জন্য আলাদা ভাবে কোনও পোশাকশিল্পী ছিলেন না। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে ছবির অভিনেত্রী নীনা জানিয়েছিলেন, তিনি পুরো ছবিতে নিজের কেনা পোশাক পরেছিলেন।

০৬ ১৫

নীনা সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘সেটে কোনও পোশাকশিল্পী ছিলেন না। অটোয় চেপে রোজ শুটিং করতে যেতাম আমি। নিজের যা যা পোশাক ছিল সেগুলিই ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে পুরো ছবি জুড়ে পরেছিলাম আমি।’’

০৭ ১৫

নীনা আরও জানিয়েছিলেন, শুটিং সেটে খাওয়ার ব্যবস্থা ছিল না। দুপুরে খাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রুটি এবং তরকারি রান্না করে নিয়ে যেতেন। সেটে বসে সেটাই খেতেন নীনা।

০৮ ১৫

নীনা বলেছিলেন, ‘‘আমি তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন। বুঝতে পারতাম না কী করছি। সকলেই হাসাহাসি করতাম ছবিটি নিয়ে। মনে হত নাটক করছি।’’

০৯ ১৫

বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবিতে নিজের চরিত্রগঠন নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না নাসিরুদ্দিন। সেটের ক্যামেরায় শুটিংও করতে চাইতেন না তিনি। তাই বাড়ি থেকে নিজের আনা ক্যামেরায় শুটিং করতেন।

১০ ১৫

পুরনো সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দিন জানিয়েছিলেন, নিজের দৃশ্যগুলি তিনি নিজের ক্যামেরায় শুট করেছিলেন। কিন্তু শুটিং শেষ হওয়ার পর সেই ক্যামেরাটি সেট থেকে চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনায় খুব দুঃখ পেয়েছিলেন অভিনেতা।

১১ ১৫

বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবিটিতে অভিনয় করে মাত্র কয়েক হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তারকারা। নাসিরুদ্দিন ছাড়া সকলেই তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন বলে বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে খবর।

১২ ১৫

বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবিতে অভিনয় করে নাসিরুদ্দিন ১৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন।

১৩ ১৫

‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবিটি মুক্তির পর বক্স অফিসে ভাল ব্যবসা করতে পারেনি। অথচ মুক্তির বহু বছর পর তা দর্শকের কাছে প্রশংসা পায়।

১৪ ১৫

‘জানে ভি দো ইয়ারো’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনার জগতে পা রাখেন কুন্দন। এই ছবির অভিনেতা সতীশ কৌশিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছবির চিত্রনাট্য নির্মাণ করেন তিনি।

১৫ ১৫

‘খামোশ’, ‘কভি হাঁ কভি না’, ‘কয়া কেহনা’, ‘দিল হ্যায় তুমহারা’, ‘এক সে বড়কর এক’-এর মতো একাধিক হিন্দি ছবির পরিচালনা করেন কুন্দন। ২০১৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পি সে পিএম তক’ ছবিটি পরিচালনা করতে দেখা যায় তাঁকে। তার পর আর কোনও ছবির পরিচালনা করতে দেখা যায়নি কুন্দনকে।

সকল ছবি সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement