মুখোমুখি সাক্ষাতে ‘বন্ধু’ বলে গলা জড়িয়ে ধরা। কিন্তু সুযোগ পেলেই পিছন থেকে ছুরিকাঘাত! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ভারত নীতি’কে এ ভাবেই ব্যাখ্যা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। তাঁদের যুক্তি, নিজের ছবি বাঁচাতে নিষেধাজ্ঞার চাবুকে নয়াদিল্লিকে সাজা দেওয়ার ফিকির খুঁজছেন তিনি। শুধু তা-ই নয়, এ দেশের অর্থনীতিকে পুরোপুরি ধ্বংস করার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁর। যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্টের এ-হেন মনোভাব যে দুই দেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে, তা বলাই বাহুল্য।
চলতি বছরের জুলাইয়ের মাঝামাঝি ভারতের অর্থনীতিকে ক্ষতবিক্ষত করতে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দেন ট্রাম্প। তবে সেখানে অবশ্য সরাসরি নয়াদিল্লির নাম করেননি তিনি। পাশাপাশি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নিজেকে ‘শান্তিদূত’ হিসাবে তুলে ধরার মরিয়া চেষ্টাও ছিল তাঁর। ওয়াশিংটনের ওভাল অফিস থেকে হুঁশিয়ারির সুরে ট্রাম্প বলেন, ‘‘৫০ দিনের মধ্যে মস্কোকে শান্তি সমঝোতায় আসতে হবে। নইলে রাশিয়ার বাণিজ্যিক বন্ধুদের উপর ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপাব আমরা।’’
এই মন্তব্যের তিন-চার দিনের মাথায় ফের শুল্ক-হুমকি দেন যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান প্রেসিডেন্ট। এ বার ‘ব্রিকস’কে নিশানা করেন তিনি। ১০ দেশের এই সংগঠনটির অন্যতম সদস্য রাষ্ট্র হল ভারত। সংগঠনটির নিজস্ব মুদ্রা চালু হবে বলে ইতিমধ্যেই জল্পনা ছড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে দুনিয়া জুড়ে শেষ হতে পারে ডলারের আধিপত্য। আর তাই হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘‘এই ধরনের ন্যূনতম কোনও প্রচেষ্টা হলেই ব্রিকস-ভুক্ত দেশগুলিকে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্কের মুখোমুখি হতে হবে।’’
শুল্ক-হুমকিতে ট্রাম্প কোথাও আলাদা করে ভারতের নাম না করলেও নয়াদিল্লি যে তাঁর রেডারে আছে, ঠারেঠোরে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। গত ১৪ জুলাই মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় শক্তিজোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা’ বা নেটোর (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) মহাসচিব মার্ক রাটের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আলোচনা শেষে রাট কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নাম করে নয়াদিল্লিকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি দেন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আমেরিকা, ফ্রান্স, ব্রিটেন ও জার্মানি-সহ মোট ৩২টি দেশের সংগঠন হল এই নেটো।
ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক শেষে রাট বলেন, ‘‘আপনি যদি চিনের প্রেসিডেন্ট, ভারতের প্রধানমন্ত্রী কিংবা ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্ট হন, এবং নিষেধ সত্ত্বেও রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যান, তাদের থেকে তেল ও গ্যাস কিনতে থাকেন, তা হলে কী হতে পারে আপনি জানেন! মস্কোয় বসে থাকা ব্যক্তি যদি শান্তি আলোচনাকে গুরুত্ব সহকারে না নেন, তা হলে আপনাদের উপরেও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।’’ তাঁর এই হুমকিকে মোটেই ভাল চোখে দেখেনি নয়াদিল্লি।
রাটের হুঁশিয়ারির পর তৎপর হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। গত ১৮ জুলাই গুজরাটের ‘নায়ারা এনার্জি লিমিটেড’ নামের একটি খনিজ তেল শোধনাগারের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় ফ্রান্স ও জার্মানি-সহ ইউরোপের ২৭টি দেশের ওই সংগঠন। এর পর আরও এক ধাপ এগিয়ে এ দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করার হুমকি দিয়ে বসেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির নেতা তথা সেনেটর (মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চ কক্ষ সেনেটের সদস্য) লিন্ডসে গ্রাহাম। ‘ফক্স নিউজ়’কে দেওয়া তাঁর বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে।
গ্রাহামের যুক্তি, রাশিয়ার রফতানি করা অপরিশোধিত তেলের ৮০ শতাংশ কিনছে তিনটে দেশ। তারা হল চিন, ভারত এবং ব্রাজ়িল। তাঁর কথায়, ‘‘ইউক্রেন যুদ্ধে মস্কোকে সাহায্য করার জন্য এ বারা সাজা পেতে হবে তাদের। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদের উপরে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপাতে চলেছেন। এতে ওদের অর্থনীতি ভেঙে পড়বে। আমরা ইউক্রেনে হাতিয়ার সরবরাহ করছি। ফলে কিভ যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে।’’
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ক্যারোলিনার সেনেটর লিন্ডসে এ বারই যে প্রথম শুল্ক নিয়ে ভারতকে হুমকি দিলেন, এমনটা নয়। এ বছরের জুলাইয়ের শুরুর দিকে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, নতুন একটি নিষেধাজ্ঞা বিল ‘কংগ্রেস’-এ (আমেরিকার পার্লামেন্ট) উত্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সেটা আইনে রূপান্তরিত হলে রুশ তেল আমদানিকারী দেশগুলির উপরে চাপানো যাবে ৫০০ শতাংশ শুল্ক। ওই সময়েও নয়াদিল্লি এবং বেজিঙের নাম করে বিষোদ্গার করেন তিনি।
কেন নিষেধাজ্ঞা ও শুল্ক-বাণে ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করতে চাইছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও তাঁর অনুগামীরা? বিশ্লেষকদের দাবি, এর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। প্রথমত, গত বছরের নভেম্বরে নির্বাচনী প্রচারে মাত্র সাত দিনের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। কিন্তু, কুর্সিতে বসার পর প্রায় ছ’মাস অতিক্রান্ত হলেও সে ব্যাপারে একচুলও এগোতে পারেননি তিনি। উল্টে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁকে কিছুটা গুরুত্বহীন করে ফেলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ সেনা অভিযান’ (স্পেশাল মিলিটারি অপারেশন) শুরু করে মস্কো। ফলে পূর্ব ইউরোপের দু’টি দেশের মধ্যে বেধে যায় তুমুল যুদ্ধ। এই লড়াইয়ের গোড়া থেকেই কিভের পাশে ছিল আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপ (পড়ুন নেটো ও ইইউ)। ইউক্রেনকে একের পর এক অত্যাধুনিক হাতিয়ার সরবরাহের পাশাপাশি রাশিয়ার উপর ১৬ হাজার নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয় তারা। এতে ক্রেমলিনের অর্থনীতি দু’দিনে ভেঙে পড়বে বলে মনে করেছিল তারা।
কিন্তু, সময়ের চাকা গড়াতেই দেখা যায় রুশ অর্থনীতির উপর সে ভাবে দাঁত ফোটাতে পারছে না এই বিপুল নিষেধাজ্ঞা। উল্টে ঘুরপথে দিব্যি মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বজায় রেখেছে ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকার একাধিক দেশ। আমেরিকার আশা ছিল নিষেধাজ্ঞার চাপে দুর্বল হবে ক্রেমলিনের মুদ্রা রুবল। কিন্তু সুচতুর পুতিন সোনার সঙ্গে জুড়ে দিয়ে এর মূল্য স্থির রাখতে সক্ষম হন। ফলে যুদ্ধের মধ্যে পড়েনি রুশ টাকার দাম। এতে ভেস্তে যায় ওয়াশিংটনের পরিকল্পনা।
ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন গত সাড়ে তিন বছর ধরে চিন ও ভারতকে সস্তা দরে খনিজ তেল বিক্রি করে আসছে রাশিয়া। এতে লাভবান হয়েছে দু’পক্ষই। নয়াদিল্লি আবার ওই ‘তরল সোনা’কে শোধন করে ইউরোপের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করেছে পেট্রোপণ্য। ফলে মুনাফা করেছে এ দেশের যাবতীয় তেল সংস্থা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এর জেরেই ট্রাম্প প্রশাসনের চক্ষুশূল হয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম চড়চড়িয়ে বাড়ুক, সেটাই চেয়েছিল আমেরিকা। এতে অতিরিক্ত মুনাফায় ইউরোপীয় দেশগুলিকে ‘তরল সোনা’ বিক্রির রাস্তা খুলে যেত যুক্তরাষ্ট্রের সামনে। কিন্তু ভারত ওয়াশিংটনের সেই ‘বাড়া ভাতে ছাই’ দেওয়ায় বেজায় চটেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর তাই শুল্ক চাপিয়ে ‘বন্ধু’ মোদীকে কড়া শাস্তি দিতে চাইছেন তিনি।
এগুলি ছাড়া ট্রাম্পের সবচেয়ে বড় ভয়ের জায়গা হল, ব্রিকস। সংশ্লিষ্ট সংগঠনটিতে রাশিয়া ছাড়াও প্রথম থেকে রয়েছে ভারত, চিন, ব্রাজ়িল ও দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তী কালে এতে যোগ দেয় মিশর, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। এই গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নতুন একটি মুদ্রা চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। সেটি বাজারে এলে মার্কিন ডলারের আসন টলে যাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিরাট চাপের মুখে পড়তে পারে মার্কিন অর্থনীতি।
পুতিনের পাশাপাশি ব্রিকস মুদ্রার প্রয়োজনীয়তার কথা বলতে শোনা গিয়েছে ব্রাজ়িলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার গলাতেও। সম্প্রতি তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ডলারে করতে হবে, এমন আইন কে তৈরি করেছে? আমরা নিজেদের টাকায় লেনদেন করতে অনেক বেশি আগ্রহী।’’ উল্লেখ্য, ব্রিকস মুদ্রা চালু করতে হলে এ দেশের ‘ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ বা ইউপিআইয়ের মতো একটি ডিজিটাল লেনদেন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এর মাধ্যমে অবাধে নিজেদের মুদ্রায় পণ্য কেনা-বেচা করতে পারবে এই সংগঠনের দেশগুলি।
ভারত অবশ্য এখনই ব্রিকস মুদ্রা আনার পক্ষপাতী নয়। এ প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘‘বিশ্বে ডলারের আধিপত্য শেষ হয়ে যাক, সেটা চাইছে না নয়াদিল্লি।’’ আর্থিক বিশ্লেষকেরা মনে করেন এ ক্ষেত্রে ভারতের কাঁটা হল চিন। বেজিঙের সঙ্গে এ দেশের সীমান্ত বিবাদ রয়েছে। তা ছাড়া ড্রাগনের সঙ্গে নয়াদিল্লির বাণিজ্যিক ঘাটতিও অনেকটাই বেশি।
অন্য দিকে গত কয়েক বছর ধরেই মার্কিন অর্থনীতিতে এসেছে শ্লথতা। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বিপুল ঋণের বোঝা রয়েছে আমেরিকার কাঁধে। আর তাই বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, আগামী এক বছরের মধ্যে বিপুল আর্থিক মন্দার মুখে পড়বে ওয়াশিংটন। সেই বিপদ আঁচ করে রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ট্রাম্প। দ্বিতীয়ত, নিজের শর্তে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করতে চাইছেন তিনি।
তবে এ ব্যাপারে বর্ষীয়ান মার্কিন প্রেসিডেন্ট কতটা সফল হবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ, জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলা এবং ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ পর্বে পাকিস্তানকে সমর্থন করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দুই দেশের সংঘর্ষবিরতিতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিয়েছেন বলেও বার বার বাজার গরম করেছেন তিনি। এ ছাড়া ইসালামাবাদের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনিরকে ওয়াশিংটনে বিশেষ ভোজসভায় আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্পে। তাঁর সঙ্গে একান্ত বৈঠকও করেছেন তিনি।
ট্রাম্পের এ-হেন পদক্ষেপগুলিকে একেবারেই ভাল চোখে দেখেনি নয়াদিল্লি। তাই নিষেধাজ্ঞার হুমকি উড়িয়ে রাশিয়ার থেকে সস্তা দরে খনিজ তেল কেনা বজায় রেখেছে কেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে মোদী সরকারের সাফ যুক্তি, ভারতীয়দের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে পদক্ষেপ করবে প্রশাসন। সেখানে কোনও চাপের কাছে মাথা নত করবে না তারা।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত ভারতের উপরে নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক চাপালেও ভারতীয় অর্থনীতির লোকসান হওয়ার আশঙ্কা ক্ষীণ। কারণ, ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলেছে নয়াদিল্লি। এ ব্যাপারে ওমানের সঙ্গেও শেষ হয়েছে আলোচনা। এ দেশের বিপুল বাজারের সুবিধা পেতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়নও। আর পশ্চিম এশিয়ার সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও ইজ়রায়েল এবং আফ্রিকার একাধিক দেশের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে।
এ ব্যাপারে চিনের প্রসঙ্গ টেনে একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করেছেন বিশ্লেষকেরা। ক্ষমতায় আসার পর প্রথম দিনে বেজিঙের উপরে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন ট্রাম্প। কিন্তু আমেরিকার পণ্যে ড্রাগন পাল্টা শুল্ক চাপিয়ে দিলে ঘুরে যায় খেলা। তড়িঘড়ি মান্দারিনভাষীদের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করতে বাধ্য হয় ওয়াশিংটন।
এই ছবি ভারতের ক্ষেত্রে দেখতে পাওয়া যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, তড়িঘড়ি আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করেত নারাজ নয়াদিল্লি। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছেন, ‘‘দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা দ্রুত এগোচ্ছে। আমাদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রেখে সংশ্লিষ্ট সমঝোতায় রাজি হতে হবে আমেরিকাকে।’’