গান আছে, প্রেমে পড়া বারণ। কিন্তু কিছু মানুষ এমনই আকর্ষণীয় হন যে তাঁদের প্রেমে পড়া থেকে কিছুতেই আটকানো যায় না। নিজেদের প্রেমে অন্যদের হাবুডুবু খাইয়ে ছাড়েন তাঁরা।
নিজের জন্য সঠিক মানুষ খুঁজে পাওয়া সহজ ব্যাপার নয়। অনেকে সেটি অতি সহজেই পেয়ে যান, তবে অনেকে বহু কাঠখড় পুড়িয়েও পান না। মনে করা হয়, অতি সহজে যাঁরা জীবনে প্রেম পেয়ে যান, তাঁদের সঙ্গে তেমনটা হওয়ার নেপথ্যে কাজ করে ওই মানুষগুলির রাশিও।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, কিছু রাশির জাতক স্বাভাবিক ভাবেই যত্ন এবং আনুগত্যের সঙ্গে প্রেম করতে জানেন। সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁদের শক্তি যেন চুম্বকের মতো। অন্যের মনকে নিজেদের দিকে টেনে নেন অতি সহজে। তাঁদের ‘প্রেমসম্রাট’ বা ‘প্রেমসম্রাজ্ঞী’ বললেও কম বলা হবে। দেখে নেওয়া যাক, তালিকায় রয়েছে কোন কোন রাশি।
বৃষ: তালিকায় প্রথমেই রয়েছেন বৃষ রাশির জাতকেরা। বলা হয়, বৃষ রাশির মানুষেরা অন্যকে মোহিত করতে জানেন। অত্যন্ত অনুগত হন বৃষ জাতকেরা। সবটুকু দিয়ে প্রেম করেন। এক বার কারও সঙ্গে মনের তার জুড়ে গেলে সহজে সেই তার ছিঁড়তে দেন না।
বৃষ রাশির জাতকেরা সম্পর্কে স্থিরতা পছন্দ করেন। সঙ্গীকে নিরাপদ বোধ করানোর ক্ষেত্রে তাঁদের জুড়ি মেলা ভার। আদর করে মাথায় তুলে রাখেন সঙ্গীকে। একই সঙ্গে, প্রেমিক বা প্রেমিকাকে রক্ষা করতে যে কোনও সীমা অতিক্রম করতে পারেন বৃষ রাশির জাতকেরা, যা সম্পর্ককে আরও পোক্ত এবং সুন্দর করে তোলে।
কর্কট: তালিকায় এর পরেই রয়েছেন কর্কট রাশির জাতকেরা। কর্কট জাতকেরা হন আবেগপ্রবণ। নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে ভালবাসতে জানেন তাঁরা। যত্ন নিতে জানেন। সংবেদনশীল এবং সহানুভূতিশীলও হন সঙ্গীর প্রতি।
সঙ্গীকে সব সময় নিরাপদ বোধ করাতে সিদ্ধহস্ত কর্কট রাশির জাতকেরা। সঙ্গীর চাহিদার খুঁটিনাটিও তাঁদের নখদর্পণে থাকে। তাই তাঁদের প্রতি সহজেই আকর্ষিত হন অন্যেরা।
সিংহ: সিংহ রাশির জাতকেরা প্রেমের ক্ষেত্রেও সিংহ। প্রেমের রাজা হন এঁরা। যে কাউকে নিজেদের দিকে আকর্ষিত করার গুণ রয়েছে তাঁদের। যেখানেই যান, নিজের ব্যক্তিত্বের প্রভাব ফেলে আসেন সিংহ জাতকেরা।
সঙ্গীদের প্রতি সিংহ রাশির জাতকদের ভালবাসাও নজরে পড়ার মতো। সঙ্গীকে নিরাপদে রাখতে পারেন এঁরা। যোগ্য সম্মান দেন সঙ্গীকে। মনের মানুষকে খুশি রাখার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান সব সময়। কথায় কথায় সঙ্গীর প্রশংসা করতেও পিছপা হন না সিংহ রাশির জাতকেরা।
তুলা: তুলা মানেই ভারসাম্য। তুলা রাশির জাতকেরাও সম্পর্কে ভারসাম্য এবং নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষেত্রে অদ্বিতীয়। সম্পর্কে শান্তি বজায় রাখতে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং ধৈর্য রাখায় বিশ্বাসী হন এঁরা।
তুলা জাতকেরা সঙ্গীর চাহিদাকে গুরুত্ব দেন। গুরুত্ব দেন অনুভূতিকেও। তবে সম্পর্কের জন্য মূল্যবোধকে বিসর্জন দেন না তুলা রাশির জাতকেরা। সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কখন কী করতে হবে তা-ও খুব ভাল ভাবে বোঝেন তুলারা। সব সিদ্ধান্ত নেন খুব হিসাব কষে। আর তাঁদের সেই বুঝদার স্বভাব সব সময়ই বাকিদের আকৃষ্ট করে। প্রেমে পড়তে বাধ্য করে অন্যদের।
বৃশ্চিক: অন্যদের আকর্ষণ করার অবিশ্বাস্য ক্ষমতা রয়েছে বৃশ্চিক রাশির। বৃশ্চিক রাশির জাতকেরা আবেগপ্রবণ এবং সঙ্গীর প্রতি অনুগত হন। একাধিক প্রেমে বিশ্বাসী হন না এঁরা। সঙ্গীর প্রতি শারীরিক টানও বেশি হয় এঁদের।
সঙ্গীকে নিজেদের প্রেমে বুঁদ করে রাখতে পারেন বৃশ্চিক রাশির জাতকেরা। সঙ্গীর উপর অধিকারবোধও বেশি। বৃশ্চিক রাশির জাতকেরা প্রেমে রহস্য রাখতে ভালবাসেন, যার কারণে সঙ্গী সব সময় এঁদের প্রতি আকৃষ্ট হন।
মীন: নিঃস্বার্থ ভাবে প্রেম করার ক্ষমতা রয়েছে মীন রাশির। প্রেমিক-প্রেমিকার প্রতি সহানুভূতিশীলও হন এঁরা। বলা হয়, মীন রাশির প্রেম অপ্রতিরোধ্য। সঙ্গীর চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারেন মীন রাশির জাতকেরা।
মীন জাতকদের মন হয় নরম। প্রকৃত ‘রোম্যান্টিক’ বলা যায় এঁদের। এখনও সঙ্গীকে কবিতা শোনানোয় বিশ্বাসী হন এঁরা। মনে করা হয়, মীন রাশির জাতকেরা সঙ্গীকে কেবল ভালবাসেন না, তাঁরা সঙ্গীকে অনুভব করেন।