কেরিয়ারের প্রথম ছবি সুপারহিট। ‘কহো না প্যার হ্যায়’ ছবিতে অভিনয় করে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন বলি অভিনেত্রী অমিশা পটেল। কিন্তু বহু বছর অভিনয়জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন অমিশা। চলতি বছরের অগস্ট মাসে মুক্তি পেতে চলেছে ‘গদর’ ছবির দ্বিতীয় পর্ব। বহু বছর পর বড় পর্দায় ফিরে আসার পর বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অভিনেত্রী। ইন্ডাস্ট্রি থেকে কেন সরে গিয়েছিলেন তা খোলসা করলেন অমিশা।
২০০০ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল রাকেশ রোশন পরিচালিত ‘কহো না প্যার হ্যায়’। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন রাকেশ-পুত্র হৃতিক রোশন। হৃতিকের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন অমিশা। এই ছবির হাত ধরেই দুই তারকার কেরিয়ার শুরু।
‘কহো না প্যার হ্যায়’ ছবিতে অভিনয়ের পর ইন্ডাস্ট্রিতে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন অমিশা। তার এক বছরের মাথায় আরও একটি হিট হিন্দি ছবি অমিশার কেরিয়ারে যুক্ত হয়। ২০০১ সালে অনিল শর্মা পরিচালিত ‘গদর: এক প্রেম কথা’ ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়। সানি দেওলের সঙ্গে এই ছবিতে অভিনয় করেন অমিশাও।
১৯ কোটি টাকা বাজেটের ছবি ‘গদর: এক প্রেম কথা’ ছবিটি বক্স অফিস থেকে ১৩৩ কোটি টাকার বাজার করে। আরও একটি সফল ছবি অমিশার কেরিয়ারে যুক্ত হয়। এর পরেও একাধিক হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন অমিশা। হিন্দি ছবির পাশাপাশি তেলুগু ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা যায় তাঁকে।
কিন্তু ধীরে ধীরে ইন্ডাস্ট্রি থেকে নিজেকে সরিয়ে ফেলেন অমিশা। বহু বছর পর আবার অভিনয়জগতে ফিরে এসে তার কারণ খোলসা করেন অভিনেত্রী। বিতর্কিত মন্তব্য করে কটাক্ষেরও শিকার হন তিনি।
অমিশার দাবি, তিনি যখন বলিউডে তাঁর কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তখন হিন্দি ছবিকে গুরুত্ব দেওয়া হত। চিত্রনাট্যের পাশাপাশি অভিনেতা এবং অভিনেত্রীদের পোশাকের দিকেও নজর দিতেন দর্শক।
এমনকি কোনও ছবির পোস্টারে অভিনেতাদের পাশাপাশি অভিনেত্রীদেরও সমান জায়গা দেওয়া হত। কিন্তু এখন সময়ের পরিবর্তন হয়েছে। অভিনেত্রীরা আর আগের মতো পোস্টারে জায়গা পান না। হিন্দি ছবির গুরুত্বও কমে এসেছে।
তা ছাড়া অমিশার অভিনয় নিয়ে বলিপাড়ায় যত আলোচনা হয়েছে, তার চেয়েও বেশি আলোচনা হয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। এমনটাই দাবি করেন অভিনেত্রী।
অমিশা সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘আমি চিরকাল স্পষ্ট কথা এবং সত্যি কথা বলতে পছন্দ করি। তা আমার পেশাগত জীবন নিয়েই হোক বা আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। কোন তারকার সঙ্গে আমার কেমন সম্পর্ক তা আমি সবার সামনে বলে ফেলতাম।’’
অমিশার দাবি, তিনি এক বলি পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন সে কথা জানানোর পর তাঁকে নিয়ে বলিপাড়ায় নানা রকম আলোচনা শুরু হয়।
বলিপাড়ার একাংশের অনুমান, বলি পরিচালক বিক্রম ভট্টের কথা বলতে চাইছিলেন অমিশা। বলি অভিনেত্রী সুস্মিতা সেনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বিক্রম। সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর অমিশার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান বিক্রম।
বিক্রম এবং অমিশাকে একসঙ্গে বলিপাড়ার একাধিক অনুষ্ঠানে দেখা যেত। বিক্রম একাধিক পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে তাঁকে নিয়েও কম আলোচনা হত না।
অমিশার দাবি, বলি পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর পর সকলে তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতুহলী হয়ে পড়েছিলেন। ধীরে ধীরে অভিনয়ের প্রস্তাব পাওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে যাওয়ার নেপথ্যে ওই বলি পরিচালককেই দায়ী করেছেন অমিশা।