যৌনতার নেশায় মেতেছিলেন স্বামী-স্ত্রী। যৌনসুখ মেটাতে গিয়ে পরিণতি হল ভয়ঙ্কর। যৌন উত্তেজনায় বিদ্যুতের যন্ত্র লাগিয়েছিলেন শরীরে। তার পর নিজেই নিজেকে শক দেন মহিলা। যৌনতার এ হেন খেলায় পরে স্ত্রীকে সঙ্গ দেন স্বামীও। আর তার পরই ঘটে যায় সেই অঘটন।
বিদ্যুতের শক নিতে নিতে সঙ্গমের সময় তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হল মহিলার। এই ঘটনায় তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধেই খুনের অভিযোগ আনা হয়।
সাল ২০০৮। সে বছর এমনই একটি ঘটনার কথা প্রকাশ্যে এসেছিল। ঘটনাটি পেনসিলভেনিয়ার লোয়ার উইন্ডসর টাউনশিপ এলাকার। ঠিক কী ঘটেছিল?
হেল্পলাইন নম্বর ৯১১-তে ফোন করেছিলেন টবি রবার্ট টেলর নামের এক যুবক। স্ত্রী বিদ্যুতের শক খেয়েছেন। এ কথা জানিয়ে হেল্পলাইনে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন টবি।
রাত ১০টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে অ্যাম্বুল্যান্সও আসে। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয়েছে টবির স্ত্রী কার্স্টেন জে টেলরের।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। টবি পুলিশকে জানান যে, তাঁর স্ত্রী কাজ থেকে ফিরে স্নান করেছিলেন। তার পর চুল শুকোতে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করেছিলেন। আর তা থেকেই তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রীর।
টবির স্ত্রীর দেহ দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। তদন্তকারীরা দেখেন যে, তাঁর স্ত্রীকে পোশাক পরানো হয়েছে। দেখে মনে হবে যেন, তাঁর কোথাও যাওয়ার ছিল। তবে পায়ে জুতো ছিল না।
এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করায় টবি জানান যে, তিনিই স্ত্রীকে পোশাক পরিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এর পরই তিনি স্ত্রীকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
কিন্তু টবির কথা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না তদন্তকারীদের। তাঁর আচরণে সন্দেহজনক হওয়ায় টবিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। আর তার পরই প্রকাশ্যে আসে আসল ঘটনা।
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে ভাঙেন টবি। পুলিশকে সত্যি কথা জানান। স্ত্রীর সঙ্গে বিকৃত যৌনতায় মেতেছিলেন তিনি। আর সেই কারণেই তাঁর স্ত্রী মৃত্যু হয়।
টবি জানান যে, কাজ থেকে ফিরে তাঁর স্ত্রী তাঁদের যে ঘরে কম্পিউটার রাখা ছিল, সেখানে যান। তার পর বিবস্ত্র হয়ে বিদ্যুতের যন্ত্র শরীরে লাগান। এর পরই যৌন উত্তেজনায় নিজেকে শক দেন।
এটা দেখে সেই ঘরে যান টবিও। তার পর স্ত্রীর সঙ্গে যৌনতায় মাতেন তিনি। স্ত্রীর মুখে বিদ্যুতের তার ঢোকান। এ ভাবে বিদ্যুতের শক নিতে নিতে সঙ্গমে মাতেন ওই যুগল।
সেই সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় টবির স্ত্রীর। তবে তা প্রথমে তিনি বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেছিলেন টবি। জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে তিনি জানান যে, তাঁর স্ত্রী আচমকাই অচৈতন্য হয়ে পড়েছিলেন। যা দেখে টবি ভেবেছিলেন যে, তাঁর স্ত্রী হয়তো মজা করছেন।
কিন্তু তার পরই ভুল ভাঙে টবির। বুঝতে পারেন যে, তাঁর স্ত্রী সত্যি সত্যিই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছেন। তখনও শ্বাস নিচ্ছিলেন তাঁর স্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে ৯১১ নম্বরে ফোন করে অ্যাম্বুল্যান্স ডাকেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিজেকে বাঁচাতে মিথ্যা গল্প ফাঁদেন ওই যুবক। নিজেই পুলিশকে খবর দিয়ে মিথ্যা কথা বলেন। পরে টবিকে পাকড়াও করা হয়।