তেল ছাড়াই ভাজা যাবে মুচমুচে পাপড়, কৌশল শেখালেন পঙ্কজ ভাদুরিয়া। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ঝিরঝিরে বৃষ্টি, সন্ধ্যার আড্ডা হোক কিংবা চায়ের সঙ্গে টা— সঙ্গে একটু ভাজাভুজি থাকলে বিষয়টি বেশ ভালই জমে। ফিশ ফ্রাই, ফিশ চপ, শিঙাড়া কিংবা ডিমের ডেভিল খেতে বরাবরই ভালবাসে বাঙালি। কিছু না পেলে মুড়ি আর পাঁপড় ভাজা হলেও মন্দ হয় না। কেবল সন্ধ্যাবেলাই নয়, দুপুরে ভাতের পাতে ডালের সঙ্গে একটু পাঁপড় ভাজা কিংবা আলুর চিপ্স খেতে মন্দ লাগে না। তবে খেতে ইচ্ছে করলেও কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের অসুখের চোখরাঙানিতে লোভ হলেও চিপ্স, পাঁপড় থেকে দূরে থাকেন অনেকেই। তবে চিপ্স, পাঁপড় খাওয়াও হবে আর শরীরের কোনও ক্ষতিও হবে না, এমন কোনও উপায় আছে কি? স্বাস্থ্যকর উপায়ে পাঁপড় ভাজার উপায় বলে দিলেন রন্ধনশিল্পী পঙ্কজ ভাদুরিয়া।
পাঁপড় ভাজাও খাবেন আর তেলও যাবে না শরীরে, পঙ্কজ শেখালেন তেমনই টোটকা। এর জন্য তেলের পরিবর্তে ব্যবহার করতে হবে নুন। পঙ্কজ বলেন, ‘‘চিপ্স, পাঁপড় খেতে ইচ্ছে করলে নিজেকে আটকাবেন না। কড়াইতে তেলের বদলে নুন গরম করে নিন। এ বার পাঁপড়গুলি নুনভর্তি কড়াইতে নাড়াচাড়া করুন। তা হলেই দেখবেন পাঁপড় সেঁকা হয়ে গিয়েছে মিনিট খানেকের মধ্যেই।’’ এ ভাবেই সাবুর পাঁপড়, ছোট আকারের রঙিন পাঁপড়, আলু চিপস— সবই তাতে ‘ভেজে’ নেওয়া যাবে।
এ ছাড়া বাড়িতে অন্যান্য ভাজাভুজি করলে কিছু সতর্কতা অবশ্যই মেনে চলা যায়। মাঝেমধ্যে তেলেভাজা খেতে ইচ্ছে করলে ভাজাভুজিতে তেলের ব্যবহার কমানোর উপায় কী?
বেশির ভাগ ভাজাভুজিতেই বেসন ব্যবহার করা হয়। বেসনের মিশ্রণটি খুব ঘন হলে কিন্তু বেশি তেল টেনে নেয় ভাজাভুজি। মিশ্রণটি যতটা সম্ভব পাতলা রাখার চেষ্টা করুন। ভাজাভুজির সময় সব্জি, মাংস যদি আধসেদ্ধ করে তার পর ভাজা যায়, তা হলে তেলও কম লাগে। এ ছাড়া ছাঁকা তেলে ভাজা খাবার থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নেওয়ার জন্য বেশ কয়েকটি টিস্যু পেপার একসঙ্গে রেখে কাজে লাগাতে পারেন। আগে ব্যবহার করা তেল বা পোড়া তেল দ্বিতীয় বার ব্যবহার করা যাবে না। পোড়া তেলে ভাজা খাবার খেলে অম্বল, গলা-বুক জ্বালা হতে পারে।