পাতুরিতে স্বাদবদল। ছবি: এআই।
পাতুরি বললেই মাথায় আসে ভেটকির নাম। কলাপাতা খুললেই ঘন সর্ষে মাখা নরম তুলতুলে এক টুকরো মাছ। মুখে দিলেই মিলিয়ে যায়। পাতুরির তালিকায় আরও এক মাছ বেশ জনপ্রিয়, তা হল ইলিশ। কিন্তু ভেটকি-ইলিশ, ছাড়াও কাতলা দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন পাতুরি। না, সর্ষে-পোস্ত দিয়ে নয়, এই পাতুরির স্বাদ হবে একেবারে অন্য রকম। স্বাদবদল করতে চাইলে শীতের দিনে দুপুরের ভোজে বানিয়ে ফেলুন বরিশালের কাতল পাতুরি।
উপকরণ:
৪ টুকরো বড় মাপের কাতলা পেটি
১ কাপ আলু কুচি (ঝিরিঝিরি করে কাটা)
১ কাপ পেঁয়াজ কুচি (ঝিরিঝিরি করে কাটা)
১ কাপ টম্যাটো কুচি
১ টেবিল চামচ হলুদ বাটা
১ চা চামচ শুকনো লঙ্কা বাটা
১ চা চামচ কাঁচালঙ্কা বাটা
স্বাদ মতো নুন
১ টেবিল চামচ জিরে গুঁড়ো
পরিমাণ মতো সর্ষের তেল
১ টেবিল চামচ রসুনকুচি
১ চা চামচ আদাকুচি
৪টি চেরা কাঁচালঙ্কা
পদ্ধতি:
একটি পাত্রে মাছগুলি নিয়ে নুন, হলুদ বাটা, শুকনো লঙ্কা বাটা, রসুনকুচি, আদাকুচি আর সর্ষের তেল দিয়ে ভাল করে মেখে আধ ঘণ্টা রেখে দিন। আরও একটি পাত্রে আলুকুচি, পেঁয়াজকুচি, টম্যাটোকুচি, হলুদবাটা, শুকনো লঙ্কা বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, জিরে গুঁড়ো, নুন আর সর্ষের তেল দিয়ে খুব ভাল করে মেখে নিন। এ বার কলাপাতাগুলি চৌকো করে কেটে গ্যাসে সেঁকে নিন। একটি কলাপাতা নিয়ে তার উপর পেঁয়াজের মিশ্রণ রেখে একটি মাছ রাখুন, উপরে আবারও পেঁয়াজের মিশ্রণ দিন। শেষে উপরে একটি চেরা কাঁচালঙ্কা দিয়ে কলাপাতাগুলি ভাল করে মুড়িয়ে সুতো দিয়ে বেঁধে দিন। এ বার একটি কড়াইতে জল গরম করে উপরে একটি স্ট্যান্ড রাখুন। তার উপরে একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্র রেখে পাতুরিগুলি সাজিয়ে দিন। এ বার কড়াইয়ের ঢাকা ভাল করে বন্ধ করে দিন। মিনিট ১৫ পর তৈরি হয়ে যাবে বরিশালের কাতল পাতুরি।