Chirer Puli

চিরাচরিত পিঠে খেতে ভাল লাগে না? স্বাদে বদল আনতে বানাতে পারেন ঠাকুরবাড়ির চিঁড়ের পুলি

পিঠে বলতেই চোখের সামনে কত রকমের ছবি ভেসে ওঠে। কিন্তু সে সব বানাতে অনেক সময় লাগে। কাজ থেকে ফিরেই অল্প সময়ে বানিয়ে ফেলা যায়, এমন পিঠে আছে কি?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৩ ১৯:৫১
Share:

ছবি- সংগৃহীত

পৌষের শেষ দিন অর্থাৎ, সংক্রান্তিতে বাঙালি বাড়িতে পিঠে-পুলি হবে না, তা কি হয়? কিন্তু পিঠে তৈরি করতে যা কষ্ট, সেই চিন্তা করেই খাওয়ার কথা ভুলে যান অনেকে। ইদানীং অবশ্য দোকানে, বিভিন্ন মেলায় পিঠে-পুলি কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু বাড়িতে তৈরি পিঠের স্বাদ তো পাওয়া যাবে না। তবে কম খাটনিতেই চটজলদি পিঠে তৈরি করার উপায় কিন্তু আছে। তবে সেখানে চালগুঁড়ির ব্যবহার নেই। বদলে রয়েছে চিঁড়ে। পুরনো কলকাতার ঠাকুরবাড়ির বিখ্যাত এই পদ নাকি রবি ঠাকুরের বিশেষ পছন্দের। এই পৌষপার্বণে এক বার চেখে দেখা যেতেই পারে তাঁর পছন্দের পদটি।

Advertisement

কাজ থেকে ফিরে ঝটপট চিঁড়ের পুলি বানাতে কী কী লাগবে?

উপকরণ:

Advertisement

চিঁড়ে: ২ কাপ

নুন: স্বাদ মতো

হলুদ: এক চিমটি

লঙ্কা গুঁড়ো: এক চিমটি

ময়দা: ১ টেবিল চামচ

পুর বানানোর জন্য

নারকেল

খেজুর গুড়

প্রণালী:

১) প্রথমে চিঁড়ে ভাল করে ধুয়ে নিয়ে ঘণ্টা খানেক ভিজিয়ে রাখুন।

২) এ বার ভেজানো চিঁড়ের মধ্যে একে একে নুন, চিনি, হলুদ, লঙ্কা, ময়দা দিয়ে ভাল করে মেখে নিন। চাইলে ময়দার পরিবর্তে সুজিও দিতে পারেন।

৩) এ বার এই মণ্ড থেকে ছোট ছোট লেচি কেটে নিয়ে, পুলি গড়ে নিন। ভিতরে নারকেলের পুর দিতে পারেন। আবার ঝাল তরকারির পুরও ভরে দিতে পারেন।

৪) এ বার সাদা তেলে পুলি ভেজে তুলে নিন। খেয়াল রাখবেন ভাজার সময়ে যেন পুলিগুলি ভেঙে না যায়।

৫) গুড় দিয়ে ভাজা পুলিও খাওয়া যায়। আবার নারকেলের পুর দেওয়া পুলিগুলিকে দুধে ফেলে দুধ-চিঁড়ের পুলিও বানিয়ে নেওয়া যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন