প্রায় আলোর গতিতে বুলেট ট্রেনে এ ফোঁড়, ও ফোঁড় হয়ে যাচ্ছে গোটা বিশ্ব!
আর রকেট কি পড়ে থাকতে পারে সেই আদ্যিকালের গতিতেই?
কী ভাবেই বা পারে? তাই এ বার তিন দিনেই পৌঁছে যাওয়া যাবে ভিন গ্রহ মঙ্গলে! মানে, কলকাতা থেকে লন্ডন বা প্যারিস হয়ে নিউ ইয়র্কে যেতে যতটা সময় লাগে, তার চেয়ে মাত্র এক-দেড় দিন সময় বেশি লাগবে ‘লাল গ্রহে’ যেতে!
আরও পড়ুন- সেই ‘বিগ ব্যাং’ তরঙ্গেরও হদিশ মিলবে ৩-৪ বছরেই!
মহাকাশে মিলল চিনি, প্রাণের স্পষ্ট ইঙ্গিত, বলছেন বিজ্ঞানীরা
কোনও কল্প-কথা নয়। নতুন ওই প্রযুক্তি-প্রকৌশল উদ্ভাবনের কৃতিত্ব নাসার। একেবারে সর্বাধুনিক ‘লেসার’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে পৃথিবী থেকে তিন দিনে ‘লাল গ্রহে’ রকেট পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন সান্টা বারবারার ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিলিপ লুবিন। নাসার সদ্য-আবিষ্কৃত ওই প্রযুক্তির নাম- ‘ফোটনিক প্রোপালসান’।
ওই প্রযুক্তির অভিনবত্ব কোথায়?
রওনা হওয়ার আগে পৃথিবী থেকে পুরে দেওয়া জ্বালানি ছাড়া, এত দিন মহাকাশে ছোটার জন্য মহাকাশযানগুলি নির্ভর করত সূর্যের আলো থেকে নেওয়া ‘ফোটন’ কণার ওপর। কিন্তু, এ বার নতুন প্রযুক্তিতে পৃথিবী থেকেই ‘লেসার’ রশ্মি দিয়ে ওই অসম্ভব রকমের দ্রুত গতিতে ছোটানো যাবে মহাকাশযানকে।
সেই গতি কতটা দ্রুত হবে?
২০৩০ সালে মঙ্গলে মহাকাশচারী পাঠানোর যে ভাবনা রয়েছে নাসার, তাতে পৃথিবী থেকে প্রচলিত পদ্ধতিতে ‘লাল গ্রহে’ যেতে সময় লাগার কথা ছয় মাস। কিন্তু, ‘লেসার’ প্রযুক্তিতে সেই মহাকাশযান পাঠাতে এ বার তিন দিনের বেশি সময় লাগবে না বলে নাসার তরফে জানানো হয়েছে।