Fresh Water

মহাসাগরের নীচে লুকিয়ে রয়েছে পানীয় জলের বিপুল ভান্ডার! ভবিষ্যতে মেটাতে পারে পৃথিবীবাসীর তেষ্টা

আমেরিকা-সহ প্রায় ১২টি দেশ গবেষণা শুরু করেছিল। উপকূলের কাছে সমুদ্রে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত খনন করেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:৫৯
Share:

সমুদ্রের নীচে লুকিয়ে থাকা মিষ্টি জল কি আদৌ পানযোগ্য হবে? ছবি: সংগৃহীত।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে একটু হলেও আশার আলো দেখলেন বিজ্ঞানীরা। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহাসাগরের নোনা জলের নীচে রয়েছে মিষ্টি জল। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভবিষ্যতে এই জল তেষ্টা মেটাতে পারে বহু মানুষের। আমেরিকার উত্তর-পূর্বে অতলান্তিক সাগরের নীচে রয়েছে সেই পানীয় জলের ভান্ডার। এই নিয়ে বিজ্ঞানীদের মনে একটা সন্দেহ ছিল। এখন তাঁরা সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন।

Advertisement

আমেরিকা-সহ প্রায় ১২টি দেশ গবেষণা শুরু করেছিল। উপকূলের কাছে সমুদ্রে প্রায় ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গভীর পর্যন্ত খনন করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। খরচ পড়েছিল প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২২০ কোটি টাকা। সেই খনন করেই সমুদ্রের নীচে মিলেছে মিষ্টি জলের হদিস। বিজ্ঞানীদের অনুমান, আমেরিকার নিউ জার্সি থেকে মেইন পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে এই ভূগর্ভস্থ মিষ্টি জলের স্তর।

কেন খনন করা হল?

Advertisement

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, সমুদ্রের নীচে পানীয় জলের স্তর থাকার সম্ভাবনা বিস্তর। কিন্তু পাশাপাশি তাঁরা এ-ও জানিয়েছেন যে, সেই জল উত্তোলন করা কঠিন। কিন্তু ধীরে ধীরে যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, যে ভাবে পানীয় জলের অভাব দেখা দিচ্ছে, তাতে ওই জল তুলে এনে ব্যবহার করা জরুরি হয়ে পড়ছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জ বলছে, আগামী পাঁচ বছরে পানীয় জলের চাহিদা জোগানের তুলনায় ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনে ইতিমধ্যে পানীয় জল কমতির দিকে। সমুদ্রের নীচে পানীয় জলের ভান্ডার খুঁজতে তারাও উঠেপ়ড়ে লেগেছে।

কী ভাবে শুরু গবেষণা?

প্রায় ৫০ বছর আগে খনিজের খোঁজে আমেরিকার সরকারি জাহাজ পূর্ব উপকূলের কাছে সমুদ্রে খননকাজ শুরু করে। গভীর কুয়ো খননের পরে গবেষকেরা পানীয় জল পেয়েছিলেন। ২০১৫ সালে আবার গবেষকদের একটি দল সমুদ্রের গভীরে খনন কাজ চালিয়ে মিঠে জলের সন্ধান পায়। তাঁরা গবেষণা করে দেখেছেন, আমেরিকার পূর্ব উপকূলের কাছে সমুদ্রের নীচে যে পরিমাণ পানীয় জল রয়েছে, তা নিউ ইয়র্কের মতো শহরের বাসিন্দাদের ৮০০ বছরের চাহিদা মেটাতে পারে। গবেষকদের একাংশ মনে করছেন, বাস্তবে সমুদ্রের নীচে তার চেয়ে বেশি পরিমাণ রয়েছে জল।

এর পরে গবেষকেরা ওই জল পরীক্ষা করে দেখেন যে, তা আদৌ পানযোগ্য কি না। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, তা পানীয় জল হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এ বার বিজ্ঞানীরা দেখছেন যে, ওই জলের উৎস কী। তার বয়স কত। তার পরেই বোঝা যাবে, এই জল জোগান অবিরত (রিনিউয়েবল) কি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement