চিতাবাঘের থাবা এ বার গাজিয়াবাদে

মেরঠ দেখা হল। এক ফাঁকে ঘুরে আসা হল মুজফ্ফরনগরও। এ বার গাজিয়াবাদ! হাওয়া-বদল চলছেই। দিল্লি থেকে মাত্র ১ ঘণ্টার দূরত্বে দেখা মিলল হলুদের উপর কালো গোল গোল ছাপের। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বনকর্মীরা, মোটামুটি নিশ্চিত এ সেই মেরঠ-দাপানো চিতাবাঘই বটে! মেরঠ ছাড়িয়ে সে এখন গাজিয়াবাদে। তবে কি মনে রাজধানী সফরের সাধও রয়েছে!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:৩০
Share:

মেরঠ দেখা হল। এক ফাঁকে ঘুরে আসা হল মুজফ্ফরনগরও। এ বার গাজিয়াবাদ! হাওয়া-বদল চলছেই।

Advertisement

দিল্লি থেকে মাত্র ১ ঘণ্টার দূরত্বে দেখা মিলল হলুদের উপর কালো গোল গোল ছাপের। স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বনকর্মীরা, মোটামুটি নিশ্চিত এ সেই মেরঠ-দাপানো চিতাবাঘই বটে! মেরঠ ছাড়িয়ে সে এখন গাজিয়াবাদে। তবে কি মনে রাজধানী সফরের সাধও রয়েছে!

রবিবার মেরঠে সাত জনকে জখম করার পর সেই যে গা ঢাকা দিয়েছিল চিতাবাঘ, আর টিকিটিরও দেখা মেলেনি। মাঝে মুজফ্ফরনগরে ছাগল মরে পড়ে থাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। কিন্তু ওই পর্যন্তই। জল আর বেশি দূর গড়ায়নি। তার কারণ হয়তো, তিনি তত ক্ষণে গাজিয়াবাদে।

Advertisement

মঙ্গলবার ভাবা গ্রামের ঘটনা। রাতে কী মনে করে এক বার গোয়ালে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা সতীশ কুমারের বৌ। বড়সড় কিছু একটা নড়ছে দেখে টর্চটা জ্বালান। আর তার পর যা দেখেন, তাতে হাড় হিম হয়ে আসে তাঁর। এ তো সেই হলুদের উপর কালো গোল গোল ছাপ। পরিত্রাহি চিৎকার করে ওঠেন সতীশের বৌ। তাতেই বাবাজি দে দৌড়।

পড়শিরা জানালেন এ সব কথা। তাঁরাই উদ্যোগী হয়ে বন দফতরকে খবর দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে ছুটেও আসেন বনকর্মীরা। কিন্তু কারও দেখা না মেলায় গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। সে কথায় অবশ্য কান দেননি গ্রামবাসী। মঙ্গলবার রাতভর লাঠিসোঁটা নিয়ে পাহারায় ছিলেন তাঁরা। পরের দিন ভোর হতেই প্রমাণ হাতেনাতে। মাটির উপর মিলল থাবার ছাপ! নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গিয়েছেন বনকর্তারা।

ইতিমধ্যে তার মাথার দাম ধার্য করেছে পুলিশ। সঠিক খবর দিতে পারলেই ৫০০০ টাকা। আর ধরে দিতে পারলে মিলবে ৪ গুণ।

তক্কে তক্কে গ্রামবাসী। দেখা দে, নয়তো টাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement