গাছ কাটার অভিযোগ মিনাখাঁয়
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট
রাস্তার পাশে কয়েক লক্ষ টাকা দামের শিরিষ গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে এলাকার মানুষ বিষয়টি লিখিত ভাবে বিডিও এবং স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়ছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ ব্লকের চাপালি পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিমা লেহে বলেন, “শুনেছি প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনায় রাস্তা তৈরির জন্য ছোট-বড় মিলিয়ে ৭০-৮০টি গাছ কাটা হয়েছে। গাছগুলি যাতে বিক্রি না হয়ে যায় সে জন্য ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।” ব্লক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাপালি পঞ্চায়েতের বকচরা গ্রাম থেকে রামজয় ঘেরি পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার রাস্তার কাজ সম্প্রতি শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীরা জানান, কয়েক বছর ধরে ওই এলাকায় রাস্তার দু’পাশে শতাধিক শিরিষ গাছ লাগানো হয়েছিল। কিন্তু রাস্তা তৈরি করতে গিয়ে বেশিরভাগ গাছই তুলে ফেলা হয়েছে। সেই সুযোগে কিছু লোক বন দফতর বা পঞ্চায়েতকে না জানিয়েই গাছগুলি কেটে ফেলছে।
তিনটি বাছুরের মৃত্যুতে আতঙ্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার
চর্মরোগে আক্রান্ত হয়ে পাঁচ দিনের মাথায় তিনটি বাছুরের মৃত্যুতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে মাথাভাঙার বাইশগুড়ি গ্রামে। শুক্রবার পশু চিকিৎসকের একটি দল ওই গ্রামে যায়। রোগাক্রান্ত বাছুরগুলিকে শনাক্ত করে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে প্রাণী সম্পদ দফতর। সূত্রের খবর, ওই রোগে আরও ১০টি বাছুর আক্রান্ত রয়েছে। সংক্রামক ওই রোগ গ্রামবাসীদের সচেতনতার অভাবে ছড়িয়েছে। পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় প্রাণী সম্পদ দফতরের তরফে ওই গ্রামে একটি সচেতনতা শিবির করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লক প্রাণী সম্পদ আধিকারিক রাহুল বরুয়া বলেন, “এক বিশেষ ধরনের চর্মরোগে আক্রান্ত হয়েছে বাছুরগুলি। ওই রোগ সংক্রামক। তবে ভয়ের কোনও কারণ নেই। চর্মরোগের উপসর্গ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই পশু চিকিৎসকদের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তাহলে আর কোনও ভয় থাকবে না।” বাসিন্দারা জানান, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই রোগ শুরু হয়েছে। প্রথমদিকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বাছুরের খাওয়া বন্ধ হয়ে যায়, পরে বিভিন্ন অংশের চামড়া শুকিয়ে যেতে থাকে। দুই-তিনদিনের মাথায় মৃত্যু হয় আক্রান্ত বাছুরটির। ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য কল্যাণী রায় বলেন, “চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। শীঘ্রই গ্রামে একটি সচেতনতা শিবির করা হবে।”
হাতির হানায় পানীয় জল সরবরাহ ব্যাহত
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুরদুয়ার
ভুট্টার লোভে জঙ্গল সংলগ্ন বনবস্তি গুলিতে হাতির হানা বাড়ায় আতঙ্কিত বাসিন্দারা। ফসল তছনছ করার সঙ্গে সঙ্গে এলাকার জলের পাইপলাইনও ভেঙে দিচ্ছে হাতির দল। বৃহস্পতিবার রাতে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পানা রেঞ্জের পানা বস্তির কাছে পাইপলাইন ভেঙে দেয় হাতির দল। পানার রেঞ্জ অফিসার ভবেন ঋষি জানান, গত কয়েক দিন ধরে রায়মাটাং, চিনচুলা, সিনতাং ও পানা বাস্তিতে হাতির পাল আক্রমন চালিয়ে ভুট্টাখেত নষ্ট করছে। পানা বস্তিতে জল সরবরাহে বন দফতরের ব্যবস্থা রয়েছে। রায়মাটাং পাহাড় থেকে আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপ লাইনের মাধ্যমে বস্তিতে নিয়ে জল নিয়ে আসা হয়েছে। হাতির পাল এসে তা বার বার ক্ষতি করছে। বুধবার পাইপ লাইন ভাঙে হাতির দলটি। বৃহস্পতিবার সকালে বনকর্মীরা সারাই করেন। রাতে হাতিরা ফের পাইপ লাইনটি ভেঙে দিয়েছে। এতে জল সরবরাহে প্রভাব পড়েছে।
নামকরণে রাজ্যপাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার
চালসা থেকে উদ্ধার হওয়া এক হস্তি শাবকের নামকরণ করলেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যানে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেখানেই মাস পাঁচেক বয়সের পুরুষ শাবকটি ছিল। শাবকটির নামকরণ হয়নি শুনে রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন ‘বসন্ত’ নাম রাখেন। গত ৭ এপ্রিল চাপরামারির জঙ্গল থেকে বের হওয়া একটি হাতির দলের, এই দলছুট শাবকটি চালসা রেল স্টেশনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। তারপর থেকে গরুমারায় রাখা হয় শাবকটিকে। চিকিৎসকদের নজরে থাকা শাবকটি দ্রুত ধকল কাটিয়ে সুস্থও হতে শুরু করেছে বলে বন দফতর জানিয়েছে। ২০১২ সালে গরুমারায় এসে কুনকি হাতি আমনের ২ বছরের হস্তিশাবকের ‘বর্ষণ’ নাম রাখন মুখ্যমন্ত্রী। গরুমারার আরেক অতিথির নামকরণ রাজ্যপাল করায় খুশি বনকর্মীরা।
চিতাবাঘের আতঙ্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা • আলিপুর দুয়ার
চিতাবাঘের হানায় অতিষ্ট উত্তর চকোয়াক্ষেতি গ্রামের বাসিন্দারা। গত শুক্রবার রাতে লাগোয়া চিলাপাতা জঙ্গল থেকে একটি চিতাবাঘ বেড়িয়ে এলাকায় একটি বাছুর ধরে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাসিন্দারা জানান চিতাবাঘটি জঙ্গল সংলগ্ন একটি ছোট চা বাগানে আশ্রয় নেয়। বন্যপ্রাণ তিন বিভাগের চিলাপাতার রেঞ্জ অফিসার গোপাল সরকার বলেন, “আমারা নজর রাখছি।” স্থানীয় তপন বরাইক জানান, চিতাবাঘটিকে শনিবার দুপুরে তাঁরা চা বাগান এলাকায় দেখেছেন।
বিসর্জন বিধি নিয়ে
গোটা দেশের জন্য অভিন্ন বিসর্জন বিধি তৈরির ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁর পরামর্শ নেবে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। শুক্রবার জাতীয় পরিবেশ আদালত এই নির্দেশ দেয়। আদালত বলেছে, পর্ষদের সদস্য সচিব সুভাষবাবুর মত নেবেন ও সেই মতো বিসর্জন বিধিতে পরিবর্তন ও সংযোজন করা যায় কি না, তা পর্ষদ বিবেচনা করবে। প্রত্যেক এলাকার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যকে পর্ষদকে গুরুত্ব দিতে বলেছে পরিবেশ আদালত। অভিন্ন বিসর্জন নীতি চূড়ান্ত হওয়ার পরে কী ভাবে সেটি বলবৎ হবে, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রকের বক্তব্য পরিবেশ আদালত জানতে চেয়েছে। পরবর্তী শুনানি ২৭ মে।
ব্যাঘ্র প্রকল্পে দু’টি বাঘের মৃত্যু বিহারে
ব্যাঘ্র প্রকল্পে দু’টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। দেড় মাসের মধ্যে অজানা কারণে পরপর দু’টি বাঘের মৃত্যুতে অস্বস্তিতে পড়েছে প্রকল্পের কর্তৃপক্ষ। বন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, আগে সেখানে এমন ঘটনার নজির নেই।প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পশ্চিম চম্পারণের বাল্মিকীনগর ব্যাঘ্র প্রকল্পে ২০১৩ সালে সর্ব শেষ গণনা অনুযায়ী ২২টি বাঘের অস্তিত্ব ছিল। ফেব্রয়ারি মাসে সেখানে একটি বাঘের মৃত্যু হয়। তবে, ওই প্রকল্পে গণনার সময় যে সব বাঘের ছবি তোলা হয়েছিল, তার সঙ্গে মৃত বাঘটির চেহারার মিল খুঁজে পাননি বিশেষজ্ঞরা। ১৬ এপ্রিল আরও একটি বাঘের মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, মৃত বাঘের একাধিক অঙ্গ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাতে সন্তুষ্ট না-হওয়ায় বাঘের দেহ পটনায় ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
গরম পড়তেই শুকিয়েছে খাল বিল-জলাশয়। তাতেই
খাবারের খোঁজ। আলিপুরদুয়ারে নারায়ণ দে-র তোলা ছবি।
গরমে গলা ভেজাচ্ছে পায়রা। কুলিকে তরুণ দেবনাথের তোলা ছবি।