বাগানে খাঁচায় বন্দি চিতাবাঘ
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার
তখন বন্দি। সোমবার এটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক।
রাতে হুঙ্কার শুনে ঘরের বাইরে এসে বাসিন্দারা বন্দি চিতাবাঘটিকে দেখতে পান। পাশে একজোড়া চোখ জ্বলজ্বল করতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। দূর থেকে আলো ফেলে দেখা যায় খাঁচার বাইরে ঘাপটি মেরে আরও একটি ডোরাকাটা। আর খাঁচায় আটকে পড়া চিতাবাঘটি প্রবল গর্জন করছে। পরে বাইরে থাকা চিতাবাঘটি অন্যত্র চলে যায়। রাতেই বনকর্মীরা এসে খাঁচাবন্দি চিতাবাঘটিকে উদ্ধার করে। সোমবার সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি ক্রান্তির রহমতটারি এলাকায়। এ নিয়ে চলতি মাসে ক্রান্তির এই ছোট চা বাগান থেকে পরপর দুটি চিতাবাঘ বন্দি হওয়ার ঘটনা ঘটল। গত ১৪ এপ্রিল প্রথম চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়। রবিবার গভীর রাতে বন্দি হল আরও একটি চিতাবাঘ। সম্প্রতি বাগানে চিতাবাঘের আতঙ্ক শুরু হয়। বন দফতরের কাছে অভিযোগ জানানোর পরে এ মাসের শুরু থেকেই বন দফতর বাগানে খাঁচা পেতে ফাঁদ তৈরি করে। চিতাবাঘ ধরতে ছাগলের টোপও ব্যবহার করা হয়। আর তাতেই চিতাবাঘ বন্দি সম্ভব হয়। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ চিতাবাঘটি খাঁচাবন্দি হয়। গভীর রাতে মালবাজার থেকে বনকর্মীরা এসে সেটিকে উদ্ধার করে গরুমারার জঙ্গলে নিয়ে যান। সেখানেই এ দিন সকালে সেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বন দফতর জানায়, রবিবার যে চিতাবাঘটি আটক হয় সেটি পুরুষ। সঙ্গী আটকে পড়ায় স্ত্রী চিতাবাঘটি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে জানান বাসিন্দারা। ২৩ এপ্রিল নাগরাকাটার কাঠালধুরা চা বাগানে একটি চিতাবাঘ খাঁচাবন্দি হয়েছিল। রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন সে সময় চাপড়ামারিতে ছিলেন। ২৪ এপ্রিল রাজ্যপালের উপস্থিতিতেই চিতাবাঘটিকে গরুমারায় ছাড়া হয়।
হাতির হানায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাদারিহাট
জঙ্গল থেকে জ্বালানি নিয়ে ফেরার পথে দাঁতালের হানায় মারা গেলেন এক মহিলা। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে জলদাপাড়ার তিতির জঙ্গলের পাশে নদীর ধারে। বন দফতর সূত্রের খবর, মৃতার নাম কালীমণি প্রজা (৪২)। তাঁর বাড়ি জঙ্গল লাগোয়া লঙ্কাপাড়া বস্তিতে। এদিন কয়েকজন প্রতিবেশী জ্বালানি কাঠ সংগ্রহ করতে জঙ্গলে ঢুকলে হাতি তাঁদের তাড়া করে। দৌড়ে জঙ্গল থেকে বার হয়ে তিতি নদীর পারে পৌঁছলেও হাতিটি তাদের পিছু ছাড়েননি। দাঁতালটি কালীমণি দেবীকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পা দিয়ে পিষে দিলে ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।
কোর্টের নির্দেশ
রাতের শহরে যান দূষণ নিয়ন্ত্রণে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে, এক মাসের মধ্যে রাজ্যকে তা লিখিত জানাতে বলল হাইকোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, রাতে শহরে ঢোকা লরিগুলির অন্তত ২০০টির ধোঁয়া ও ওজন পরীক্ষার চৌকি তৈরি, ধোঁয়া পরীক্ষার চলমান যন্ত্র বসানো ও পোস্তা বাজার শহরের বাইরে নিয়ে যেতে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ দিতে হবে। রাতের যানদূষণ কমাতে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত গত ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে একগুচ্ছ প্রস্তাব জমা দেন। সেগুলি কার্যকর করতে পরিবেশ, পরিবহণ ও স্বরাষ্ট্র দফতর কী ভাবে এগোবে, আদালত তা জানতে চেয়েছে।