বধূকে আছড়ে মারল হাতি, পথ অবরোধ

বাড়ির উঠোনে মরাই ভেঙে ধান খাচ্ছিল দলমার এক দাঁতাল। শব্দ শুনে তিন বছরের শিশুকে কোলে নিয়ে দরমা দেওয়া বাড়ির বাঁশের দরজার সামনে দাঁড়ান মা। বিশাল চেহারার হাতিটিকে দেখে কেঁদে ওঠে শিশুটি। সেই শব্দেই দরজা ভেঙে শিশু কোলে থাকা মাকে শুঁড়ে আছড়ে পা দিয়ে থেঁতলে মেরে ফেলল সেই দাঁতাল। কোল থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মক জখম শিশুটিকে ভর্তি করানো হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যালে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সোনামুখী শেষ আপডেট: ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৮:২০
Share:

ছবি বাউড়ি

বাড়ির উঠোনে মরাই ভেঙে ধান খাচ্ছিল দলমার এক দাঁতাল। শব্দ শুনে তিন বছরের শিশুকে কোলে নিয়ে দরমা দেওয়া বাড়ির বাঁশের দরজার সামনে দাঁড়ান মা। বিশাল চেহারার হাতিটিকে দেখে কেঁদে ওঠে শিশুটি। সেই শব্দেই দরজা ভেঙে শিশু কোলে থাকা মাকে শুঁড়ে আছড়ে পা দিয়ে থেঁতলে মেরে ফেলল সেই দাঁতাল। কোল থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মক জখম শিশুটিকে ভর্তি করানো হয়েছে বাঁকুড়া মেডিক্যালে। মঙ্গলবার ভোরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার কামারডাঙা গ্রামে। মৃতার নাম ছবি বাউরি (২৭)।

Advertisement

এর পরেই ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারা দ্রুত হাতির দলকে তাড়ানোর দাবিতে সকালে রামপুর গ্রামের কাছে বাঁকুড়া-বর্ধমান রাস্তা অবরোধ করেন। সকাল ১০টা নাগাদ পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়। গ্রামবাসীর ক্ষোভ, এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রায় দেড়শো হাতির একটি দল এলাকায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। বন দফতরের কোনও হেলদোল নেই। যার জন্য প্রাণ গেল ওই মহিলার। শিশুটিও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে। মৃতার স্বামী গোরাচাঁদ বাউরি বলেন, “বড় ছেলেকে নিয়ে আমি ঘুমোচ্ছিলাম। ছোট ছেলে ও স্ত্রীর বিকট চিৎকার শুনে উঠে দেখি সব শেষ। বাড়ির দরজার কাছে কাতরাচ্ছে ছেলে। কিছুটা দূরে স্ত্রীকে টেনে নিয়ে গিয়ে থেঁতলে মেরে চলে যায় হাতিটি।” ডিএফও (বাঁকুড়া উত্তর) সুধীরচন্দ্র দাস বলেন, “গত কয়েকদিন ধরে ওখান থেকে হাতির দলটিকে তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু ফসল বাঁচানোর জন্য গ্রামে গ্রামে ব্যারিকেড তৈরি হওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে দলটি। সে কারণেই মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে গেল। আমরা ওই পরিবারকে সরকারি নিয়ম মতো ক্ষতিপূরণ দেব। শিশুটির চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে।” বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পঞ্চানন কুণ্ডু বলেন, “শিশুটির শরীরে চোট রয়েছে। চিকিৎসা চলছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন