ছবি সৌজন্য: পৌলমী মল্লিক কুণ্ডু
ডিম খেতে কারই না ভালো লাগে। ডিমের ঝোলই হোক বা কষা কিংবা অমলেট, ডিম কখনওই একঘেয়ে হয় না। তবু আজকের ডিমের রান্নার রেসিপিটা একদম অন্য রকম। এই রান্নায় থাকছে খানিক দক্ষিণ ভারতীয় ধাঁচ। কিন্তু বাঙালিয়ানাও থাকছে অটুট। তাই মৌরি ডিম যে আপনার পরিবারের সকলের মুখেই তৃপ্তির হাসি আনবে, এতে সন্দেহ নেই কোনও।
উপকরণ:
ডিম—
পেঁয়াজ— ২টি
কাঁচা লঙ্কা—
টোম্যাটো— ২টি
নারকেল— ৩ টেবিল চামচ (কুরিয়ে নিন)
মৌরি গুঁড়ো— ১/২ চা চামচ
ধনে গুঁড়ো— ১/২ চা চামচ
শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো— ১/২ চা চামচ
হলুদ গুঁড়ো— ১/৪ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো— ১/২ চা চামচ
নুন— স্বাদ মতো
সাদা তেল— প্রয়োজন মতো
প্রণালী:
প্রথমে ডিমগুলো সেদ্ধ করুন। সেদ্ধ হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা জলে ডুবিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। এ বার ডিমের খোসা ছাড়িয়ে সামান্য নুন আর হলুদ মেশান। তেল গরম করে ভালো করে ডিমগুলো ভেজে তুলে রাখুন। আবার কড়াইয়ে তেল গরম করে অর্ধেক পেঁয়াজ কুচি আর কাঁচা লঙ্কা কুচি দিয়ে নাড়ুন। অল্প রং ধরতে শুরু করলেই টোম্যাটোর টুকরো গুলো দিয়ে দিন। আরও দু’-তিন মিনিট নেড়ে নামিয়ে নিন। ঠাণ্ডা করে নারকেল কোরা মেশান। মিক্সিতে বা শিলে এই মিশ্রণটি ভালো করে বেটে নিন। ওই কড়াইতেই বাকি পেঁয়াজের কুচিগুলো দিন। ভাজা হয়ে এলে শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, মৌরী গুঁড়ো, গরম মশলা গুঁড়ো মেশান। সামান্য নুন দিন। বেটে রাখা মিশ্রণটা ঢেলে দিন। ভাজা ডিমগুলো সামান্য করে চিরে নিন যাতে সমস্ত মশলা ঢুকতে পারে। এ বার ডিমগুলো ওই কষা মশলাতে দিয়ে দিন। সামান্য জল দিন। ভালো করে নেড়েচেড়ে চাপা দিন। একটু ফুটে এলেই উপর থেকে ধনে পাত, চেরা কাঁচা লঙ্কা ছড়িয়ে দিন। গরম ভাত বা মিষ্টি পোলাওয়ের সঙ্গে পরিবেশন করুন।
(মৌরি নিয়ে ভাল করে শুকনো খোলায় ভেজে নিন। এ বার মিক্সি বা শিলে বেটে নিন। মৌরি গুঁড়ো তৈরি। কোনও শুকনো পাত্রে রেখে দিন। যে কোনও রান্নায় মৌরি গুঁড়ো দিলে স্বাদ জমবে ভাল।)