ক্ষুব্ধ: শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন চুনী গোস্বামী। ফাইল চিত্র
ডামাডোল অব্যাহত মোহনবাগানে।
গত সপ্তাহেই সবুজ-মেরুন শিবিরের সচিব অঞ্জন মিত্রর বাড়ি গিয়ে পদত্যাগের হুমকি দিয়ে এসেছিলেন ফুটবল সচিব সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়-সহ কর্মসমিতির একাধিক সদস্য। শেষ পর্যন্ত, সোমবার তাঁরা সরকারি ভাবে পদত্যাগ করলেন।
মোহনবাগান কর্মসমিতির ১৪ জন সদস্যের পদত্যাগের দিনেই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে পড়লেন ‘মোহনবাগান রত্ন’ চুনী গোস্বামী। তিনিও এ দিন বলে দিলেন, ‘‘ক্লাব সচিব অ়ঞ্জন মিত্র শারীরিক ভাবে সুস্থ নন। কিন্তু তার পরেও উনি যদি পদ আঁকড়ে বসে থাকেন এবং সভাপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, তা হলে এর চেয়ে দুর্ভাগ্যের কিছু হতে পারে না। ওঁকে জীবনকৃতি সম্মান দিয়ে ক্লাবে রেখে দেওয়া হোক।’’
যদিও মোহনবাগানের ঘরের ছেলে চুনী গোস্বামীর এই মন্তব্য এবং কর্মসমিতির ১৪ জন সদস্যের পদত্যাগের পরেও মুখ খোলেননি ক্লাব সচিব অঞ্জন মিত্র। ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলে দেন, ‘‘এখনই মন্তব্য করার সময় আসেনি। পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছি।’’
তবে ক্লাব সচিবকে নিয়ে করা চুনীর মন্তব্যের পাশে আবার দাঁড়িয়ে পড়েছেন সবুজ-মেরুন শিবিরের আর এক ঘরের ছেলে সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়। যিনি ফুটবল সচিবের পদ ছেড়েছেন এ দিনই। তিনি বলেন, ‘‘চুনীদা মোহনবাগানের সঙ্গে পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় জড়িয়ে রয়েছেন। মোহনবাগানে অনেক পালাবদল দেখেছেন উনি। নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তে কথাগুলো বলেছেন। তবে মোহনবাগান নিয়ে চুনী গোস্বামীর যে কোনও কথাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।’’
কেন এই পদত্যাগ সে ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, সত্যজিৎ বলে দেন, ‘‘ক্লাবের যে বর্তমান পরিস্থিতি তার সুরাহা চেয়ে সচিবের উত্তর জানতে চেয়েছিলাম। উত্তর না পেলে যে পদত্যাগ করব সেটাও ওঁকে বলে এসেছিলাম। কিন্তু তার উত্তর না পাওয়ায় পদত্যাগ করতেই হল। বুধবার দুপুরে ক্রীড়া সাংবাদিক তাঁবুতে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলব।’’ গত বুধবারই ফুটবল সচিব ক্লাব সচিবের বাড়ি গিয়ে জানতে চেয়েছিলেন ফুটবলারদের বকেয়া এবং নতুন মরসুমের দল গড়ার জন্য আর্থিক সংস্থান কী ভাবে হবে? উত্তর না পেলে ইস্তফার আভাস তখনই দিয়েছিলেন তিনি।
এ দিন পদত্যাগী কমর্সমিতির সদস্যদের মধ্যে ফুটবল সচিব ছাড়াও রয়েছেন টেনিস সচিব উত্তম সাহা, বিদেশ বসুরা, সচিব ঘনিষ্ট অসিত চট্টোপাধ্যায়রাও। যদিও সচিব শিবিরের একাংশের দাবি, মোহনবাগানের বর্তমান কর্মসমিতি মে মাসেই তিন বছরে পা দেবে। কাজেই এই পদত্যাগ ক্লাবের ভাবমূর্তিকে কলুষিত করার প্রচেষ্টা।