Sports News

চতুর্থ দিনেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হার ভারতের

যেখানে শামি থামলেন দ্বিতীয় ইনিংসে সেখান থেকেই ধরলেন জসপ্রীত বুমরা। দিনের শুরুতে যখন রাবাডা ও আমলাকে ফেরালেন মহম্মদ শামি তখন ফাফ দু প্লেসি ও কুইন্টন দে কককে প্যাভেলিয়নে পাঠালেন বুমরা। দু প্লেসি তো রানের খাতাই খুলতে পারলেন না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০১৮ ১৫:১৭
Share:

প্রথম টেস্ট জিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের উচ্ছ্বাস। ছবি: রয়টার্স।

দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৬ ও ১৩০

Advertisement

ভারত ২০৯ ও ১৩৫

৭২ রানে ম্যাচ জয় দক্ষিণ আফ্রিকার

Advertisement

শেষ রক্ষা হল না। চতুর্থ দিনেই হেরে গেল ভারত। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ১৩০ রানেই গুটিয়ে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ল বিরাট বাহিনী। ১৩৫ রানে শেষ হয়ে গেল ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস। একদিন বাকি থাকতেই ৭২ রানে ম্যাচ জিতে নিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

দ্বিতীয় ইনিংসে যে ভাবে ধরাশায়ী হতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সে ভাবেই ধাক্কা খেল ভারতীয় ব্যাটিংও। হোম টিমকে ১৩০ রানে অল-আউট করে স্বস্তিতে ছিল টিম বিরাট কোহালি। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে একই হাল হল ভারতের। ফিলান্ডার একাই শেষ করে দিল ভারতীয় ব্যাটিংকে। ৬ উইকেট নিলেন তিনি।

দুই ওপেনার মুরলী বিজয় ১৩ ও শিখর ধবন ১৬ রানে আউট হয়ে যান। চেতেশ্বর পূজারা ফেরেন ৪ রানে। সাময়িক ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেছিলেন বিরাট কোহালি। কিন্তু তিনিও ফিরলেন ২৮ রানে ফিলান্ডারের বলে এলবিডব্লু হয়ে। ছিলেন রোহিত শর্মা কিন্তু তিনিও ফিরলেন বোল্ড হয়ে। এর পর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। অশ্বিনের ব্যাট থেকে ৩৭ রানের ইনিংস এলেও তা কাজে লাগল না।

ভারতের সামনে ২০৭ রানের টার্গেট রাখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। হাতে ছিল দেড় দিন। ধরে খেলতে পারলে এই রান করে ফেলাটা কঠিন ছিল না। তবে শুরুটা মজবুত করা প্রয়োজন ছিল। দুই ওপেনারকে সেরাটা দিতে হত। কিন্তু তেমনটা হল না।

তৃতীয় দিনের খেলা ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টির জন্য। কিন্তু চতুর্থ দিন কেপ টাউনের সকাল হল ঝকঝকে আকাশ নিয়েই। যার ইঙ্গিত ছিল তৃতীয় দিন খেলা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে থেকেই। বৃষ্টি থেমে গিয়েছিল রবিবার দুপুরেই। কিন্তু মাঠ ভেজা থাকায় সেই পিচে আর খেলানোর ঝুঁকি নেয়নি আয়োজকরা। পিচ খারাপ হয়ে যেতে পারত। কিন্তু সোমবার খেলা শুরু হল পরিষ্কার আকাশেই।

প্রথম সেশন

চতুর্থ দিন দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাট করতে নেমেছিল ৬৫/২ নিয়ে। ২০ ওভার খেলা হয়ে গিয়েছিল রবিবার। তাতে একরান যোগ হতেই প্যাভেলিয়নে ফিরলেন হাশিম আমলা। দিনের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলে মহম্মদ শামির বলে রোহিত শর্মাকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। তার সঙ্গী কাগিসো রবাডাও ফেরেন কিছু পরেই। তাঁর রান ৫। তিনিও শামির শিকার।

যেখানে শামি থামলেন দ্বিতীয় ইনিংসে সেখান থেকেই ধরলেন যশপ্রীত বুমরা। দিনের শুরুতে যখন রাবাডা ও আমলাকে ফেরালেন মহম্মদ শামি তখন ফাফ দু প্লেসি ও কুইন্টন দে কককে প্যাভেলিয়নে পাঠালেন বুমরা। দু প্লেসি তো রানের খাতাই খুলতে পারলেন না। অন্যদিকে ককের রান ৮। এখন ভরসা এবি ডি ভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই দুই ওপেনার মারক্রাম ও এলগারকে প্যাভেলিয়নে ফিরিয়েছিলেন হার্দিক পাণ্ড্য। প্রথম ১০ ওভারেই চার উইকেট তুলে নেন ভারতের বোলাররা। সাত নম্বর উইকেটটি আবার নিজের নামে লিখে নেন শামি। ফিলান্ডার কোনও রান না করেই এলবিডব্লু হয়ে ফেরেন।

আরও পড়ুন
শেষ টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে অ্যাসেজ জয় অস্ট্রেলিয়ার

শেষ বেলায় বাজিমাত ভুবনেশ্বর কুমারের। দিনের শুরুটা করে দিয়েছিলেন মহম্মদ শামি ও অভিষেক হওয়া যশপ্রীত বুমরা। আর শেষটা ভুবনেশ্বর কুমারের। মহারাজা ও মর্কেলকে প্যাভেলিয়লে ফেরালেন তিনি। মহারাজাকে ফেরালেন ১৫ রানে মর্কেলকে ২ রানে। বল হাতে অবশ্য শেষটা করে গেলেন বুমরা। দুরন্ত ক্যাচ ভুবনেশ্বরের। অভিষেক ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসে নিজের জাত চিনিয়ে গেলেন বুমরা। নিলেন তিনটি উইকেট। মহম্মদ শামির দখলেও থাকল তিনটি উইকেট। ভুবনেশ্বর ও হার্দিকের উইকেট দুই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন