সব কিছু ঠিকঠাক চললে, আসন্ন রঞ্জি মরসুমে অভিনব ব্যাপার ঘটতে চলেছে বঙ্গ ক্রিকেটে। বাংলা টিমের সঙ্গে এত দিন কোচ, ট্রেনার, ফিজিও থাকতে দেখা যেত। কিন্তু এ বার কোচের পাশাপাশি আরও একটা পদের অম্তর্ভুক্তির প্রবল সম্ভাবনা— ডিসিপ্লিনারি মেন্টর!
বাংলায়, কড়া শৃঙ্খলারক্ষক।
শোনা গেল, সিএবি যুগ্ম সচিব সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আসন্ন মরসুমে যে ব্লু প্রিন্ট তৈরি করছেন, তাতে একজন ডিসিপ্লিনারি মেন্টর থাকার সম্ভাবনা ভাল রকম। তিনি নাকি মনে করছেন যে, টিমের পারফরম্যান্সের হাল ফেরাতে সর্বাগ্রে দরকার সংসারে শৃঙ্খলা ফেরানো। তাই এমন কড়া শৃঙ্খলারক্ষকের দরকার হয়ে পড়ছে।
সিএবির কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, বাংলা টিমে বিভাজন নতুন কিছু নয়। কিন্তু সাম্প্রতিকে দেখা যাচ্ছে, ক্রিকেটাররা নানাবিধ ভাবে শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন, যার প্রভাব পড়ছে সংস্থার ভাবমূর্তির উপর। যেমন গত রঞ্জিতেই বাংলার দুই নামী ক্রিকেটার ইডেন পিচ নিয়ে মিডিয়ায় মুখ খুলে তুমুল বিতর্ক বাধিয়ে দিয়েছিলেন। এ বারও কয়েকটা সাম্প্রতিক উদাহরণ ব্যবহৃত হচ্ছে। বলা হল, টিএ শেখরের ক্যাম্পে বলা সত্ত্বেও বাংলার তিন সিনিয়র গেলেন না। যাঁদের মধ্যে দু’জন যাওয়া পিছিয়ে দিয়েছেন। এক জন বলেছেন, ডাক্তারের বারণে শনিবার যেতে পারেননি। কিন্তু সিএবি সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে জেনেছে ওই ক্রিকেটারের শনিবার রওনা হওয়াতে কোনও অসুবিধে ছিল না।
সম্ভাব্য ডিসিপ্লিনারি মেন্টর হিসেবে গোটা কয়েক নামও ভাবা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে শোনা গেল বাংলার প্রখ্যাত প্রাক্তন ক্রিকেটার পলাশ নন্দী। তাঁকে পছন্দ হওয়ার কারণ প্রথমত, এই মুহূর্তে মোহনবাগানের কোচিং ছাড়া সে ভাবে কোনও দায়িত্ব নেই। তা ছাড়া তাঁর ক্রিকেটীয় জ্ঞান লক্ষ্মী-মনোজদের সাহায্য করতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে। প্লাস, তিনি কঠোর ব্যক্তিত্বের লোক বলে ময়দানে পরিচিত। যিনি টিম ও সিএবি যুগ্ম সচিবের মধ্যে যোগাযোগের কাজটা করবেন। কোন ক্রিকেটার প্র্যাকটিসে দেরি করে আসছে, ড্রেসিংরুমে কেউ মেজাজ হারাচ্ছে কি না, সব কিছুই নাকি ডিসিপ্লিনারি মেন্টরের দায়িত্বের মধ্যে থাকতে চলেছে। এবং যাঁর প্রথম অ্যাসাইনমেন্টও মোটামুটি ঠিক।
বঙ্গ ক্রিকেট সংসারের বিভাজনকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া!