অ্যাডিলেডে চলছে সবুজ পিচের পরিচর্যা। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
বাইশ গজে ঘন সবুজ ঘাস। আর তা কাটার কোনও ইচ্ছাই নেই কিউরেটরের। ফলে, বৃহস্পতিবার থেকে অ্যাডিলেডে শুরু হতে চলা প্রথম টেস্টে পেসাররাই সাহায্য পাবেন বলে মনে করছে ক্রিকেটমহল।
২০১৫ সালে এই মাঠেই হয়েছিল প্রথম দিন-রাতের টেস্ট। গোলাপি বলে যা চলেছিল তিনদিন। অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ডের সেই টেস্টের ফয়সালা হয়েছিল তার মধ্যেই। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে হওয়া দিন-রাতের টেস্টের স্থায়িত্ব ছিল চারদিন। গত বছর এখানে অ্যাশেজের চতুর্থ টেস্ট গড়িয়েছিল পঞ্চমদিনের প্রথম সেশন পর্যন্ত।
অ্যাডিলেড ওভালের কিউরেটর ড্যামিয়েন হঘ দিন-রাতের টেস্টের কথা ভেবে বানিয়েছিলেন সবুজ উইকেট। আর সেটাই রেখে দেওয়া হয়েছে। যদিও ৬ ডিসেম্বর শুরু হতে চলা টেস্টে লাল বল ব্যবহৃত হবে। নৈশালোকে টেস্টের মতো গোলাপি বল হাতে দৌড়ে আসবেন না বোলাররা।অবশ্য ভারত-অস্ট্রেলিয়া দুই দলেই বিশ্বমানের পেসাররা রয়েছেন। চার টেস্টের সিরিজ তাই উত্তেজক হয়ে উঠতেই পারে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের স্মরণীয় টেস্ট জয় কোনগুলি জানেন?
আরও পড়ুন: বিরাট-বাণ, অস্ট্রেলিয়াকে তো চিনি!
কিউরেটরের কথায়, "আমরা আলাদা করে কিছু করছি না। একই রকম প্রস্তুতি নেওয়া চলছে। একমাত্র তফাত হল, আমরা কভার আগে সরাচ্ছি আর ম্যাচও শুরু হবে আগে। শিল্ডের খেলায় আমরা লাল বলের ক্রিকেট ও সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য একই ভাবে উইকেট প্রস্তুত করি। ব্যাট ও বলের মধ্যে তাহলেই সমান-সমান লড়াই হতে পারে। এতে ব্যাট-বলে ভারসাম্যও থাকে। এই পিচে তা থাকবে।" দেখার হল, লাল কোকাবুরা বলে সবুজ পিচে পেসারদের জন্য কতটা সাহায্য মজুত থাকে।
(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল, টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)