মাঠ দেখে ক্ষুব্ধ আলেসান্দ্রো, উৎসবে নেই শঙ্করলাল

ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলন করতে নেমে বিরক্ত কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস ক্লাব তাঁবুতেই ঢুকলেন না। ময়দানে জনি আকোস্তাদের ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করিয়ে সোজা  গিয়ে উঠে বসলেন গাড়িতে। আর মোহনবাগানে পালিত হল কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর জন্মদিন। তবে ড্রেসিংরুমে উৎসবের কেক কাটা হয়নি। সমর্থকরাই ফুল আর উত্তরীয় দিয়ে পালন করেন কোচের জন্মদিন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:২৯
Share:

মহড়া: ডার্বির প্রস্তুতিতে দুই প্রধানের দুই ভরসা। ইস্টবেঙ্গলের জোবি জাস্টিন ও মোহনবাগানের সনি নর্দে। বুধবার অনুশীলনে। ছবি সুদীপ্ত ভৌমিক

ডার্বির চার দিন আগে দুই প্রধানে দু’রকম ছবি।

Advertisement

ইস্টবেঙ্গল মাঠে অনুশীলন করতে নেমে বিরক্ত কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস ক্লাব তাঁবুতেই ঢুকলেন না। ময়দানে জনি আকোস্তাদের ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করিয়ে সোজা গিয়ে উঠে বসলেন গাড়িতে। আর মোহনবাগানে পালিত হল কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর জন্মদিন। তবে ড্রেসিংরুমে উৎসবের কেক কাটা হয়নি। সমর্থকরাই ফুল আর উত্তরীয় দিয়ে পালন করেন কোচের জন্মদিন।

ইস্টবেঙ্গলের এক নম্বর স্ট্রাইকার এনরিকে এসকুয়েদা অনুশীলনেই আসেননি এ দিন। উল্টোদিকে মোহনবাগানের হার্টথ্রব সনি নর্দে নিজেকে সুস্থ করে তুলতে প্যারাসুট ট্রেনিং থেকে বল পায়ে নিয়ে দৌড়োদৌড়ি সবই করলেন। হাইতি মিডিও শটও নিলেন কয়েকটা। বোঝাই যাচ্ছিল মাঠে নামতে তৈরি হচ্ছেন তিনি। তাঁকে দেখে সমর্থকদের মুখে হাসি।

Advertisement

মাঠ সমস্যায় যুবভারতীতে অনুশীলন করতে পারেননি বোরখা গোমেজরা। ফলে গোকুলম ম্যাচের পর প্রথম দিনের অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ক্লাবের মাঠেই। সেখানে নানাভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্টপার, মাঝমাঠ এবং স্ট্রাইকাদের পরখ করেন লাল-হলুদ কোচ। চোটের জন্য এনরিকে ডার্বিতে খেলতে পারবেন না। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে কোচের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসতে পারেন স্পনসর-কর্তারা। টোনিও সম্ভবত বুধবারের আগে আসতে পারছেন না। ফলে জোবি জাস্টিন ছাড়া ইস্টবেঙ্গল কোচের হাতে আর কোনও স্ট্রাইকার নেই। ক্লাব সূত্রের খবর, জোবিকে সামনে রেখে পাঁচ মিডিও নিয়ে খেলার কথা ভাবছেন স্প্যানিশ কোচ। হাইমে সান্তোষ কোলাডো এবং লালরিন্দিডিকা রালতেকে দু’টো উইং হিসাবে ব্যবহার করা হতে পারে। স্টপারে জনি আগোস্তা না সালামরঞ্জন সিংহ, কাকে খেলানো হবে বোরখার সঙ্গে, সেটা নিয়েও চিন্তায় রয়েছেন আলেসান্দ্রো। সে জন্যই আজ বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার ক্লোজ ডোর অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। যুবভারতী সংলগ্ন জাল ঘেরা অনুশীলনের মাঠে অবশ্য ক্লোজ ডোর কী ভাবে হবে তা নিয়ে ক্লাব কর্মীরাই চিন্তায়।

ইস্টবেঙ্গলের তুলনায় মোহনবাগানে সমস্যা কম। তাদের একমাত্র চিন্তার জায়গা সনি নর্দে। চোট পাওয়া সনি অবশ্য প্রতিদিন সুস্থ হওয়ার জন্য লড়াই চালাচ্ছেন। এ দিন তাঁকে বল পায়ে দেখে মাঠে উপস্থিত সমর্থকরা খুশি। হাইতি মিডিওকে দেখে স্বস্তিতে কর্তারাও। সূত্রের খবর, সনি নিজে চাইছেন শুরু থেকেই নামতে। তবে সব কিছু নির্ভর করছে কোচ শঙ্করলাল ও কর্তাদের উপর। সবুজ-মেরুন কোচ বিতর্কিত যে কোনও বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নেন।

এ দিন ছিল কলকাতা লিগ জয়ী কোচের জন্মদিন। কিন্তু সামনে ডার্বির কথা ভেবে উচ্ছ্বাসে ভাসতে চাননি শঙ্করলাল। ফুটবলারদের জন্মদিনে কেক কাটার রেওয়াজ আছে দুই প্রধানেই। কিন্তু সেটা এ দিন করতে দেননি সবুজ-মেরুন কোচ। সনি শুরুতে খেললে দল কী হবে এবং পরে নামলে কার পরিবর্তে নামবেন সেই সব ভাবনার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে মোহনবাগান অনুশীলনে। আজহারউদ্দিন মল্লিক, শেখ ফৈয়াজ, ওমর এল হুসেইনিকে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলতে দেখা গিয়েছে উইংয়ে। কোচ এবং ফুটবলাররা মুখে কুলুপ আঁটায় আই লিগের প্রথম ডার্বি নিয়ে এখনও তাতেনি ময়দান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement