আটলেটিকো দে কলকাতার ঘর ভেঙে নিজেদের দল গোছাতে শুরু করে দিল এফসি পুণে সিটি।
আন্তোনিও লোপেজ হাবাসকে আগেই তুলে নিয়েছে তারা। এ বার কলকাতার অন্যতম সেরা অ্যাটাকিং মিডিও আরাতা ইজুমিকেও তুলে নিল পুণে।
পুণেতে আরাতার সই করা নিয়ে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল। প্রসঙ্গত, গতবার আইএসএল নিলামে প্রায় আটষট্টি লক্ষ টাকা খরচ করে আরাতাকে কিনেছিল কলকাতা। এবং তার পর মাঠের ভিতরে তিনি বরাবর বুঝিয়েছেন, তাঁর পিছনে খরচ করা টাকা একেবারেই জলে যায়নি। কেন না কোচিতে কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে পরিবর্ত হিসেবে নেমে জোড়া গোল করে পিছিয়ে থাকা এটিকে-কে জয়ের মুখ দেখান আরাতা। তাই এ বারের আইএসএলে তাঁকে নেওয়ার ব্যাপারে শুরু থেকেই বেশ আগ্রহ ছিল অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজির। তবে কলকাতার কর্তারা অবশ্য সেই ভাবে কোনও আগ্রহ দেখাননি। অবশেষে বৃহস্পতিবার পুণেতে সরকারিভাবে সই করলেন তিনি। এ দিন এটিকে-র এক কর্তা দল বদলের এই খবরে শিলমোহর দিয়ে বললেন, ‘‘পুণের হয়ে আরাতা সই করেছে। পরের সপ্তাহে হয়তো সরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে।’’
আরাতার সই আর একটা ব্যাপার স্পষ্ট করে দিল। যে বিদেশে বসে থাকলেও, নতুন মরসুমের জন্য নিজের ঘর সাজাতে শুরু করে দিয়েছেন হাবাস। আরাতার পাশাপাশি বার্সেলোনার প্রাক্তন মিডিও পিতুকেও সই করিয়েছে পুণে। আর এ সবই যে স্প্যানিশ কোচের অনুমতি নিয়েই হয়েছে, সেটা না বললেও বোধহয় চলে। এ দিন আরাতাকে ফোনে ধরা হলে তিনি বললেন, ‘‘নিজের টিমকে ট্রফি দেওয়া সব ফুটবলারের কর্তব্য। পুণে সিটির হয়ে আমার আলাদা কোনও স্বপ্ন নেই। তবে গতবার চোটের জন্য খুব ভুগতে হয়েছিল। এ বার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যাতে চোটের জন্য অযথা সমস্যায় পড়তে না হয়। শুরু থেকেই চোটমুক্ত হয়ে খেলতে চাই।’’
নতুন টিম। নতুন স্বপ্ন। তবে এখনও হেডস্যারের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়নি আরাতার। এফসি পুণে সিটি টিম সূত্রের খবর, হাবাস পুণে আসবেন অগস্টের প্রথম সপ্তাহে। তবে তিনি সশরীরে না থাকলেও, দল নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেই। সম্ভবত অগস্টের শেষ সপ্তাহ থেকেই স্পেনে আবাসিক শিবিরও হবে আরাতাদের।