বাকি মাত্র ৩ বল। রান করতে হবে ১৩। ব্যাটসম্যান কি পারবেন ছয়-চারের ফুলঝুড়ি ফোটাতে? কে জিতবে? কে-ই বা হারবে? আইপিএলের এ রকম উত্তেজনার মুহূর্ত বহু বার দেখেছেন দর্শকেরা। কয়েক বলেই ম্যাচের রং পাল্টে দিয়েছেন বহু ব্যাটসম্যান। চলতি বছরের আইপিএল শুরুর আগে এমন ৫টি ক্যামিও ইনিংস ফের এক বার গ্যালারির পাতায়।
ক্রিস মরিসের এই ইনিংসটিকে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসের অন্যতম সেরা বলা যায়। পুণে ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের রান তখন ১৬৬-৪। বাকি ছিল ১.৪ ওভার। মাত্র ৯ বলে ৩৮ রান তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অলরাউন্ডার। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৪টি চার এবং ৩টি ছয় দিয়ে। ২০ ওভার শেষে দিল্লির রান দাঁড়ায় ২০৫-৪। সে ম্যাচে পুণেকে সহজেই হারিয়ে দেয় দিল্লি। ছবি: এএফপি।
আইপিএলে বহু ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলেছেন এবি ডিভিলিয়ার্স। ২০১৩-তে তাঁর ব্যাটিংয়ের তেজ দেখেছিল বিপক্ষ পুণে ওয়ারিয়র্স। সে ম্যাচেই ক্রিস গেলের ৬৬ বলের ১৭৫ রানের ইনিংস দেখেছিলেন দর্শকেরা। তবে তার পাশে মাত্র ৮ বলে ৩১ রানের এবি-র ক্যামিও অনেকেই ভুলতে পারেননি। ছবি: রয়টার্স।
২০১০-এ ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল কায়রন পোলার্ডের দল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। ১৮তম ওভারে ব্যাট করতে নামেন পোলার্ড। মাত্র ১৩ বলেই তুলে নেন ৪৫ রান। অপরাজিত হয়ে ফেরার সময় স্কোরবোর্ডে দলের রান ১৮৩-৪। সে ম্যাচে সহজেই জিতে নেয় মুম্বই। ছবি: এএফপি।
তালিকায় ফের এবি ডিভিলিয়ার্স। ২০১৫-র আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে তাঁর ইনিংস ছিল মনে রাখার মতো। ইন্ডিয়ান্সদের ২১০ রান তাড়া করতে নেমে বেশ বেকায়দায় পড়েছিল এবি-র দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। স্কোরবোর্ডে তখন ৬৩-৩। প্যাভিলিয়নে ফিরে গিয়েছেন ক্রিস গেল এবং বিরাট কোহালি। এর পর মাত্র ১১ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন এবি। লাসিথ মালিঙ্গার এক ওভারে নিয়েছিলেন ২২ রান। ছবি: এএফপি।
টি-টোয়েন্টিতে ওপেনার হিসেবে ইংল্যান্ডের লুক রাইট বেশ ওজনদার নাম। তা বোঝা গিয়েছিল ২০১৩-র আইপিএলেও। সে বার কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাবের বিরুদ্ধে মাত্র ১০ বলে ৩৪ রান নিয়ে ম্যাচের মোড় প্রায় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন লুক রাইট। তবে রাইটের সেই ঝোড়ো ইনিংসের পরেও ১৮৬ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নিয়েছিলেন কিঙ্গসরা। ছবি: এএফপি।