আউট কুক। উচ্ছ্বসিত ভারতীয় শিবির। ছবি: এপি।
ইংল্যান্ড ৩১১/৪ (৯৩ ওভার)
রাজকোটে বুধবারের সকালটা শুরু হয়েছিল ভারতীয়দের ক্যাচ নষ্টের প্রদর্শনী দিয়ে। যার জেরে প্রথম এক ঘণ্টা বেশ ভাল ভাবেই কাটিয়ে দিয়েছিলেন দুই ইংরেজ ওপেনার। কিন্তু অশ্বিনরা আক্রমণে আসতেই ম্যাচে ফিরল ভারত। যদিও তিন উইকেট পরার পর ইংল্যান্ড ইনিংসের হাল ধরেন জো রুট। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত মঈন আলির। ১০২ রানে তিন উইকেট পরার পর রুটের সেঞ্চুরি ও মঈন আলির হাফ সেঞ্চুরির সুবাদে এই মুহূর্তে ভাল জায়গায় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ১২৪ রান করে প্যাভেলিয়নে ফেরেন জো রুট। দলের রান তখন ২৮১। উমেশ যাদবের বলে তাঁকেই ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডের ইনিংসকে ভরসা দিচ্ছেন মঈন আলি। ৯৯ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি। সঙ্গে ১৯ রান করে ক্রিজে রয়েছেন বেন স্টোকস। দিনের শেষে ইংল্যান্ড চার উইকেট হারিয়ে ৩১১।
সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। ইশান্ত, হার্দিকদের বাইরে রেখে পাঁচ বোলার নিয়ে নেমেছে বিরাটরা। তিন স্পিনার অশ্বিন, অমিত মিশ্র এবং জাডেজার পাশে উমেশ যাদব এবং শামি। ম্যাচের একেবারে প্রথম ওভারে শামির বলে ক্যাচ পড়ার শুরু। গালিতে অ্যালিস্টার কুকের ক্যাচ ফেলেন রাহানে। পরের ওভারে ফের কুকের ক্যাচ পড়ে। এ বার উমেশ যাদবের বলে স্লিপে ক্যাচ ফেলেন বিরাট কোহালি। ষষ্ঠ ওভারে ফের ফের একই ছবি। এ বার স্লিপে হাসিব হামিদের ক্যাচ ফেলেন মুরলি বিজয়। ভারতের এই হতশ্রী ফিল্ডিংয়ের সুযোগ বেশ ভাল ভাবেই নেয় ইংল্যান্ড। প্রথম ঘণ্টা কাটিয়ে দেন দুই ওপেনার।
ভারত ম্যাচে ফেরে স্পিনাররা আক্রমণে আসার পর। ১৫ তম ওভারে জাডেজার বলে ভাঙে কুক-হামিদের ওপেনিং জুটি। ২১ রানে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন কুক। তবে ইংল্যান্ডের অধিনায়কের এই আউট নিয়ে সন্দেহ রয়েছে যথেষ্টই। এই সিরিজ থেকে ডিআরএস চালু করার অনুমতি দিয়েছে বিসিসিআই। চাইলে রিভিউ নিতেই পারতেন কুক। কিন্তু তিনি গ্রাউন্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নেন। পরে হকআইয়ে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্পে লাগছিল না। কয়েক ওভার পর অশ্বিনের বলে আউট হন নবাগত হামিদ। এ ক্ষেত্রে অবশ্য এলবিডব্লিউ নিয়ে কোনও সন্দেহ ছিল না। লাঞ্চের আগে বেন ডাকেটেরও উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। অশ্বিনের বলে রাহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি।
আরও পড়ুন:
অনিশ্চয়তার দুর্যোগ উড়িয়ে দিন শেষে জোড়া বদলার হুঙ্কার