গ্রুপ লিগের খেলা শেষ। এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান। দু’টি ম্যাচের দু’টিতেই জিতে একদিনের ক্রিকেটে নিজেদের দাপট জারি রেখেছে ভারত। অন্যদিকে, ভারতের কাছে শোচনীয়ভাবে হারলেও শেষ চারে উঠেছে পাকিস্তানও। সুপার ফোরে ফের মুখোমুখি হবে এই দুই দেশ।
এখনও পর্যন্ত নজর কেড়েছেন দু’দলেরই বেশ কিছু ক্রিকেটার। দুই দলের সেরা ক্রিকেটার কারা? দু’টি দল মিলিয়ে সেরা একাদশ তৈরি হলে কারা থাকবেন সেখানে? অধিনায়কত্বও বা যাবে কার হাতে?
ইনিংস শুরু করবেন রোহিত শর্মাই। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তাঁর অর্ধশতরান বুঝিয়ে দিয়েছে, রানের খিদে নিয়েই এশিয়া কাপে নেমেছেন মুম্বইয়ের এই ব্যাটসম্যান।
শিখর ধওয়ন: ওপেনিং স্লটে রোহিতকে সঙ্গ দেবেন শিখরই। ইংল্যান্ডের দুঃস্বপ্ন ভুলে ফর্মে ফিরেছেন হংকং-র বিরুদ্ধে দুরন্ত সেঞ্চুরি দিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচেও পাক পেসারদের আক্রমণ ভোঁতা করার কাজে রোহিত শর্মাকে যোগ্য সঙ্গত দিয়েছেন শিখর।
তিন নম্বরে আসছেন বাবর আজম। এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম সেরা তিন নম্বর ব্যাটসম্যান। তাঁর লম্বা ইনিংস উল্টোদিকের ব্যাটসম্যানকে আগ্রাসী খেলতে সাহায্য করে।
চার নম্বরে শোয়েব মালিক। হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে মাথা ঠান্ডা রেখে খেলার ক্ষমতা আর দরকার মতো গিয়ার পাল্টে খেলার ক্ষমতাই দলে রাখছে শোয়েবকে।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনি: উইকেটের পেছনে দুরন্ত খেলার জন্যই প্রয়োজন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে। এখন সেই ফর্ম না থাকলেও ক্ষুরধার ক্রিকেট মস্তিষ্কই এগিয়ে রাখছে ধোনিকে। তাঁর বাদ পড়ার সম্ভাবনা একেবারেই কম।
কেদার যাদবের বাদ পড়ার সম্ভাবনা খুব কম। প্রয়োজনে খুনে ব্যাটিং, দরকারে বিভ্রান্তিকর অফস্পিন বোলিং। ছয় নম্বরে ‘অটোমেটিক চয়েস’ এই অলরাউন্ডার।
সাত নম্বরে থাকবেন ফাহিম আশরফ। একদিনের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে অন্যতম প্রতিশ্রুতিমান অলরাউন্ডার। দরকারে তাঁর মারকুটে ব্যাটিং-ও কাজে লাগবে এই দলের।
কুলদীপ যাদব: দলে নিশ্চিত ভাবেই থাকবেন কুলদীপ যাদব। এই চায়নাম্যানের রহস্য ভেদ করতে পারেননি অনেক তাবড় ব্যাটসম্যান। স্পেলের শুরুতেই উইকেট নেওয়ার বিরল ক্ষমতার অধিকারী কুলদীপ নিশ্চিত ভাবেই দলের সম্পদ। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তাঁর নামারই কথা।
কুলদীপকে সঙ্গ দিতে থাকছেন শাদাব খানও। এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম উদীয়মান স্পিনার। কুলদীপ-শাদাবের জোড়া হামলায় চাপে থাকবেন বিপক্ষ ব্যাটসম্যানেরা, তা বেশ নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়।
অবশ্যই মহম্মদ আমির। তাঁর উপস্থিতিই একটা ফ্যাক্টর। শুরুতেই গতি আর সুইং। ফিট থাকলে নিশ্চিত ভাবেই দুই দলের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার।
যশপ্রীত বুমরা: বোলিং আক্রমণে যশপ্রীত বুমরার অবশ্যই থাকার কথা। এখনও তাঁর সব বোলিং রহস্য বুঝতে পারেননি বিপক্ষ ব্যাটসম্যানেরা। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভাল খেলায় আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে বিশ্বের এক নম্বর বোলারের।