সদ্য শেষ হয়েছে এশিয়া কাপ। প্রত্যাশা মতোই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। তবে, চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মতো অপেক্ষাকৃত দুর্বল দেশগুলিও। নজর কেড়েছেন ওই সব দেশের বেশ কয়েক জন ক্রিকেটার। এ বার এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক এশিয়া কাপের সেরাদের নিয়ে একাদশ তৈরি করা হলে কেমন হবে সেটি।
রোহিত শর্মা: সন্দেহ নেই এ বারের এশিয়া কাপে ভারতীয় অধিনায়ক অন্যতম সেরা ওপেনার। ব্যাট হাতে অসাধারণ ফর্মে রয়েছেন রো-হিট। একশোর উপরে গড়ে রান করেছেন ৩১৭।
শিখর ধওয়ন: রোহিতের জুটি হিসেবে শিখরকেই বেছে নিতে হবে। গত ইংল্যান্ড সফরে তেমন কিছু করতে না পারলেও এশিয়া কাপে নিজের জাত চিনিয়ে দিয়েছেন। ৫ ম্যাচে ৩৪২ রান করেছেন শিখর। স্ট্রাইক রেট ১০২।
মুশফিকুর রহিম: তিন নম্বর জায়গাটি নিশ্চিত ভাবে থাকবে এই বাংলাদেশি ক্রিকেটার। মিডল অর্ডারে রহিমের খেলা নজর কেড়েছে বার বার। ৬০ এর উপর গড়ে করেছেন ৩০২ রান।
শোয়েব মালিক: এর পরই আসুক পাকিস্তানের এই প্রাক্তন অধিনায়ক। এশিয়া কাপে বেশ ভালই ধারাবাহিকতা দেখা গিয়েছে শোয়েবের মধ্যে। অনেক ম্যাচে একা লড়াই করেছেন। টুর্নামেন্টে তাঁর রানের গড় ৭০.৩৩।
হাসমাতুল্লাহ সিদ্দিকি: বছর তেইশের এই আফগান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানটি বেশ নজর কেড়েছেন এ বার। পাঁচ ম্যাচে ২৬৩ রান করেছেন। গড় ৬৫.৭৫।
কেদার যাদব: ভারতের এই অলরাউন্ডারটির পারফর্ম্যান্স বেশ চমকপ্রদ। বিশেষ করে বল হাতে তো তাবড় ব্যাটসম্যানদের ঘাবড়ে দিয়েছেন। ব্যাটিং হাতটাও বেশ।
মহম্মদ নবি: বছর তেত্রিশের এই আফগান ক্রিকেটারটি কিন্তু ভালই চমক দেখিয়েছেন। ব্যাটের পাশাপাশি বল হাতেও ভাল পারফর্ম করেছেন। এই অলরাউন্ডারটিকে সেরাদের দলে রাখতেই হবে।
রশিদ খান: নামটাই যেন বিস্ময় তৈরি করেছে। আইপিএল থেকে বিস্ময় শুরু হয়েছিল, এশিয়া কাপেও তার ঝলক দেখা গেল। ১০ উইকেট নিয়ে এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের সেরা বেলার তিনিই।
কুলদীপ যাদব: ভারতের এই চ্যায়নাম্যান বোলারটি কিন্তু আগামী দিনে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবেন। দশ উইকেট নিয়ে নজর কেড়েছেন এশিয়া কাপেও।
যশপ্রীত বুমরা: বুমরার বোলিং বৈচিত্র তাঁকে বিশ্বের সেরা বোলারের মর্যাদা দিয়েছে। মাঝে কিছু দিন চোটের জন্য দলের বাইরে ছিলেন। ফিরে এসেই চমক দেখিয়েছেন।
মুস্তাফিজুর রহমান: বাংলাদেশের বাঁ হাতি এই পেস বোলারটি ক্রমেই নিজেকে পরিণত করে তুলেছেন। এশিয়া কাপেও নজর কেড়েছেন। ভারতের বিরুদ্ধে ফাইনালে দশ ওভারে মাত্র ৩৮ রান খরচ করে তুলে নিয়েছিলেন দুই উইকেট।