রঞ্জি অভিযানের শুরুতে ঋদ্ধির বিকল্প খোঁজাই চ্যালেঞ্জ ক্যাপ্টেন মনোজ তিওয়ারির।
সোয়াই মান সিংহ স্টেডিয়ামে সবুজ উইকেট দেখে যতটা উত্তেজিত হয়েছিলেন মনোজ তিওয়ারিরা, ঋদ্ধিমান সাহার না খেলার খবর শুনে ততটাই মুষড়ে পড়েন। টেস্ট সিরিজ শেষ হয়ে গেলেও রঞ্জি ট্রফি অভিযানের শুরুতে ঋদ্ধিমান সাহাকে পাবে না বাংলা। শোনা গেল ঋদ্ধিকে খেলতে বারণ করেছেন ভারতীয় দলের কোচ অনিল কুম্বলে। তাই শুরুতে ঋদ্ধিকে পরিকল্পনার মধ্যে রেখেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাদ দিয়েই উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে রঞ্জির প্রথম ম্যাচে নামতে হচ্ছে মনোজদের।
এ দিন স্টেডিয়ামে গিয়ে সবুজ উইকেট দেখেন মনোজরা। বাংলার পক্ষে ব্যাপারটা খারাপ নয়। অশোক দিন্দা, বীরপ্রতাপ সিংহ, সায়ন ঘোষরা রয়েছেন যেখানে, সেখানে দুশ্চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু তার পরই আরও একটা খারাপ খবর এসে পড়ে বাংলা শিবিরে। বীরপ্রতাপের জ্বর। তাঁর খেলার সম্ভাবনা কম। তাঁর একজন পরিবর্ত পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে খবর পাঠানো হয় কলকাতায়। তরুণ পেসার অমিত কুইল্যার ডাক পড়ে। বুধবার তাঁকেই উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। দিন্দার সঙ্গে নতুন বলে হয়তো তিনিই শুরু করবেন। এ ছাড়া সায়ন ঘোষ ও অয়ন ভট্টাচার্যর মধ্যে কোনও একজনের খেলার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি তিন পেসার ও এক স্পিনারে নামতে চান। বুধবার রাতে জয়পুর থেকে বললেন, ‘‘বীরের অসুস্থ হয়ে পড়াটাও আমাদের পক্ষে খারাপ খবর। সে জন্যই অমিতকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে। উইকেটে ভাল ঘাস আছে। তার উপর ফ্রেশ উইকেট। তিন পেসারে নামতে পারি। তবে যে দল নিয়েই নামি না কেন, আমরা আত্মবিশ্বাসী। কেএসসিএ টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে মরসুমটা আমরা যে ভাবে শুরু করেছি, তাতে আমাদের আত্মবিশ্বাস এখন যথেষ্ট। প্রথম ম্যাচে এই আত্মবিশ্বাসটা কাজে লাগবে।’’
আর এক জনও এ দিন চোট পেলেন। ইশান পোড়েল। নেটে বোলিং করতে গিয়ে সাইড স্ট্রেইন শুরু হয় তাঁর। অভিমন্যু ঈশ্বরন ও সায়নশেখর মণ্ডল সম্ভবত ওপেন করবেন। সুদীপ চট্টোপাধ্যায়, মনোজ ও পঙ্কজ শ মিডল অর্ডারে। আর স্টাম্পের পিছনে দায়িত্ব সামলাবেন শ্রীবৎস গোস্বামী। দিন্দা, প্রজ্ঞান ওঝার জায়গাও পাকা। বাকি তিনটি জায়গা বৃহস্পতিবার সকালে উইকেটের শেষ অবস্থা ও কন্ডিশন দেখে ঠিক করবেন বলে জানালেন মনোজ।
ঋদ্ধিমানকে রেখেই যে পরিকল্পনা করেছিলেন, মনোজ তা জানিয়ে এ দিন বলেন, ‘‘ঋদ্ধি দেশের এক নম্বর উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান। ও থাকলে সেটা আমাদের বিরাট অ্যাডভান্টেজ হত। কিন্তু শুনলাম অনিল ভাই-ই নাকি বারণ করেছেন ওকে রঞ্জির দুটো ম্যাচ খেলতে। ভারতীয় দলের স্বার্থে এটা মানতেই হবে আমাদের।’’
উত্তরপ্রদেশ ও পঞ্জাবের বিরুদ্ধে তিনি না নামলেও রঞ্জির তৃতীয় ম্যাচে (রেলওয়েজ) অবশ্য ঋদ্ধি খেলতে পারবেন বলে জানা গেল। সেটা ঋদ্ধির কাছে পরবর্তী টেস্ট সিরিজের প্র্যাকটিস ম্যাচও হয়ে উঠতে পারে। ভারতীয় কোচের নির্দেশের পর ঋদ্ধি ইনদওর থেকে জয়পুর না গিয়ে কলকাতায় ফিরে আসেন।
উত্তরপ্রদেশ প্রথম ম্যাচে মধ্যপ্রদেশের কাছে হারে। জ্বরে কাবু হয়ে সেই ম্যাচে খেলতে পারেননি ক্যাপ্টেন সুরেশ রায়না। তিনি এখন ভারতের ওয়ান ডে দলে আছেন। তাই এই ম্যাচেও খেলতে পারবেন না। তাই পীযূষ চাওলা, কুলদীপ যাদব, অঙ্কিত রাজপুত, সরফরাজ খানদের বিরুদ্ধে এখন লড়াই করতে হবে বাংলাকে।