ঋদ্ধিমান সাহা। ছবি: রয়টার্স।
আগেও তিনি সেঞ্চুরি করেছেন। এই তো কিছুদিন আগের কথা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হায়দরাবাদের তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে সে়ঞ্চুরি। কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে রবিবারের ইনিংস। রাঁচীতে ব্যাট হাতে যে ভাবে লড়াই চালিয়েছেন ঋদ্ধি সেটা হয়তো সারা জীবন মনে রাখবেন স্বয়ং ঋদ্ধিমান। মনে রাখবেন চেতেশ্বর পূজারাও। উল্টোদিকে ঋদ্ধির ওই ইনিংস না এলে যে এ ভাবে একাধিক রেকর্ডের তালিকায় নাম লেখা হত না তাঁর। সঙ্গে ডাবল সেঞ্চুরিটাও।
আরও খবর: ডাবল সেঞ্চুরির সঙ্গে একাধিক রেকর্ডে নাম লিখিয়ে ফেললেন পূজারা
এদিন ১১৭ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ম্যাচ শেষে ঋদ্ধি বলেন, ‘‘তিনটি সেঞ্চুরির মধ্যে এটিই সেরা। আমাদের এই পার্টনারশিপটা খুব দরকার ছিল। আমরা পার্টনারশিপটা ধিরে ধিরে তৈরি করেছি। দু’জনের ব্যাটে ভারত এখন জয়ের স্বপ্ন দেখছে। আর শেষ বেলায় জাডেজার জোড়া উইকেট তো আছেই। ঋদ্ধিমান বলেন, ‘‘পূজারা আমাকে খুব সমর্থন করেছে। নিজের খেলাটা খেলতে বলেছে। আমি সেটাই করেছি। যেটা কাজে লেগেছে। আমি নিজের ব্যাটিংয়ের স্টাইল কখনও পরিবর্তন করি না। আগে যখন আমি সুইপ করতাম বা স্টেপ আউট করে মারতাম তখন আমার মনে সংশয় থাকত। কিন্তু এখন টিম এতটা সমর্থন করে যে সেটা কেটে গিয়েছে।’’
ইরানি ট্রফিতে পূজারার সঙ্গে ৩১৬ রানের পার্টনারশিপ ছিল ঋদ্ধিমানের। সেটাও কাজে লেগেছে জাতীয় দলের হয়ে। পূজারার প্রশংসাও শোনা গেল তাঁর মুখে। বলেন, ‘‘পূজারা যে ভাবে ব্যাট করেছে তাতে একবারও মনে হয়নি ও আউট হয়ে যাবে। আমরা ইরানি ট্রফিতে ভাল করেছিলাম। যেটা আমাদের মাথায় কাজ করছিল। আমরা জানতাম আমরা ভাল করতে পারব যদি একে অপরকে সমর্থন করি। আমরা সেটাই করেছি। লুজ বলের জন্য অপেক্ষা করেছি আর রানিং বিটউইন দ্য উইকেটটা ঠিক রেখেছি।’’ এর মধ্যেই অস্ট্রেলিয়া বোলার প্যাট কামিন্স জোস হ্যাজেলউডের সঙ্গে হালকা বিতর্কও হয় পূজারার। কিন্তু ঋদ্ধিমান সরাসরি হ্যাজেলউডকে বলে দেন, ‘গিয়ে বল কর।’ বলেন, ‘‘এই টুকু চলতেই থাকে। পূজারা ওকে বলেছিল স্কোর বোর্ডের দিকে দেখ। ও তখন ১৮০তে ব্যাট করছে। ওরা আমাকেও কিছু বলতে এসেছিল, আমি বলি গিয়ে বল কর। এর থেকে বেশি কিছু না।’’ ঋদ্ধির মতে, এই ক্রিকেটটাই ধরে রাখতে মরিয়া ভারতীয় দল। এই লড়াকু মানসিকতা নিয়েই শেষ দিন বল করতে নামবে ভারত। জাডেজা শুরুতেই দু’উইকেট তুলে নিয়েছেন। বাকি আট উইকেটও দ্রুত তুলে নিতে চাইবে ভারত।