শনিবারই বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ২-১ করে ফেলার অবস্থায় ছিল ভারত। কিন্তু তা হল না প্রধান কামিন্সের জন্য। তবে অস্ট্রেলিয়া এখনও পিছিয়ে আছে ১৪০ রানে। বুমরা-শামিরা দ্রুতই শেষ দুই উইকেট তুলে নেবেন, আশায় ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু বৃষ্টির আশঙ্কাই উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।
এদিন সকালে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটে ৫৫ নিয়ে শুরু করেছিল ভারত। আট উইকেটে ১০৬ ওঠার পর ডিক্লেয়ার করে দেন কোহালি। ভারতের লিড দাঁড়ায় ৩৯৮ রানের।
শুক্রবারের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক আগরওয়াল (৪২) ও ঋষভ পন্থ (৩৩) ছাড়া কোনও ভারতীয় দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। বিধ্বংসী হয়ে ওঠেন প্যাট কামিন্স।
অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার প্যাট কামিন্স। তিনি ২৭ রানে নেন ছয় উইকেট। জশ হেজেলউড দুই উইকেট নেন ২২ রানে। এই টেস্টে কামিন্স নিলেন মোট নয় উইকেট।
জেতার জন্য চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে করতে হবে ৩৯৯ রান। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়া প্রথম থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে হারাতে থাকে উইকেট।
জশপ্রীত বুমরা ফেরান অ্যারন ফিঞ্চকে (৩)। দ্বিতীয় স্লিপে তাঁর ক্যাচ নেন কোহালি। প্রথম ইনিংসেও রান পাননি তিনি। ওপেনার ফিঞ্চকে নিয়ে প্রশ্নের আকার ক্রমশ বাড়ছে।
আর এক ওপেনার মার্কাস হ্যারিস (১৩) ফেরেন রবীন্দ্র জাডেজার বলে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে মায়াঙ্ককে ক্যাচ দিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় উইকেট পড়ে ৬৩ রানে। মহম্মদ শামির বলে এলবিডব্লিউ হন উসমান খাওয়াজা (৩৩)।
তার আগে খাওয়াজার সুইপ লাগল মায়াঙ্ক আগরওয়ালের ঘাড়ে। যন্ত্রণাকাতর মায়াঙ্ক বাধ্য হলেন বেরিয়ে যেতে। তাঁর পরিবর্তে ফিল্ডিং করতে এলেন লোকেশ রাহুল।
চতুর্থ উইকেটে শন মার্শ ও ট্র্যাভিস হেড ৫১ রান যোগ করে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। কিন্তু, তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। শনকে (৪৪) এলবিডব্লিউ করেন ফের বুমরা। তাঁর ভাই, মিচেল মার্শ (১০) ফেরেন জাডেজার বলে।
চায়ের বিরতির পর ট্র্যাভিস হেডকে বোল্ড করেন ইশান্ত শর্মা। বাইরের বল মারতে গিয়ে স্টাম্পে টেনে আনেন তিনি। তখন তাঁর রান ৩৪। ১৫৭ রানে ছয় উইকেট পড়ল অস্ট্রেলিয়ার।
সপ্তম উইকেট পড়ল দলীয় ১৭৬ রানে। জাডেজার বলে কাট করতে গিয়ে উইকেটরক্ষক ঋষভ পন্থকে ক্যাচ দিলেন অজি অধিনায়ক টিম পেন। তিনি করলেন ২৬ রান।
অস্ট্রেলিয়ার অষ্টম উইকেট পড়ল ২১৫ রানে। মহম্মদ শামির বলে বোল্ড হলেন মিচেল স্টার্ক। তিনি করলেন ১৮। এরপর অস্ট্রেলিয়াকে টানলেন প্যাট কামিন্স। ব্যাটে পঞ্চাশও করে ফেললেন। যা তাঁর কেরিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতরান।
নির্ধারিত সময়ের পরও বাড়তি আধ ঘন্টা বল করে ভারত। কিন্তু, নবম উইকেটে নেথান লায়নের সঙ্গে কামিন্সের জুটি ভাঙা যায়নি। দু’জনে মিলে যোগ করেন ৪৩ রান। এবং হতাশ করে চলেন ভারতীয়দের।
দিনের শেষে আট উইকেটে ২৫৮ রানে থামল অস্ট্রেলিয়া। কামিন্স অপরাজিত থাকলেন ৬১ রানে। সঙ্গে ৬ রানে থাকলেন লায়ন। রবিবার বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলেই এই জুটি স্বস্তি আনল অজি শিবিরে।