ইস্টবেঙ্গলে উৎসব, সনি নেই নেরোকা ম্যাচেও

শুক্রবার সমতল আর পাহাড়ের লড়াই দেখা যাবে যুবভারতীতে। তার আগে দুই ক্লাবেই খুশির হাওয়া।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৪০
Share:

ফুরফুরে: যুবভারতীতে কোলাদোকে কেক খাওয়াচ্ছেন মেনেন্দেস। মঙ্গলবার। ছবি সুদীপ্ত ভৌমিক

ইস্টবেঙ্গল কোচ আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস যখন বড়দিনের কেক কেটে উৎসব পালন করছেন, তখন রিয়াল কাশ্মীরের কোচ রবার্ট ডেভিডসন এক কিলোমিটার দূরের এক হোটেলে ফুটবলারদের বলছেন, ‘‘আমি কলকাতা ঘুরতে বেরোচ্ছি। তোমরাও শহরটা দেখে নাও। রাতে ক্রিসমাস পার্টি হবে।’’

Advertisement

শুক্রবার সমতল আর পাহাড়ের লড়াই দেখা যাবে যুবভারতীতে। তার আগে দুই ক্লাবেই খুশির হাওয়া। ডার্বি সহ তিন ম্যাচ জিতে জনি আকোস্তারা যেমন ফুরফুরে মেজাজে, তেমনই লিগ শীর্ষে থাকা চেন্নাই এফ সি-কে হারিয়ে শহরে দু’দিন আগেই চলে এসেছে এ বারের লিগের কালো ঘোড়া

রিয়াল কাশ্মীর।

Advertisement

বড়দিনের সকালে যখন সর্বত্র উৎসবের আবহ, তখন অনুশীলন বন্ধ রাখেননি লাল-হলুদের স্প্যানিশ কোচ। ঘণ্টাখানেক অনুশীলন করেন বোরখা গোমেসরা। কাশ্মীরের বিরুদ্ধে না পাওয়া গেলেও নতুন আসা টোনি ডোভালকে দলে রেখে অনুশীলন করানো হয়। ৮ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান অ্যারোজের বিরুদ্ধে টোনিকে খেলানো হবে বলে খবর। অনুশীলনের পর ড্রেসিংরুমে কেক কাটেন আলেসান্দ্রো। তিনি তা খাইয়ে দেন ফুটবলারদের। খাইমে কোলাদোর সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা যায় রাশভারী প্রকৃতির লাল-হলুদ কোচকে। সঙ্গে মিউজিক সিস্টেমে বাজে ক্যারল। তাতে গলা মেলান জবি জাস্টিন, লালরিন্দিকা রালতেরা।

দু’দিন আগেই শহরে এসে গিয়েছে রিয়াল কাশ্মীর। অপরাজিত চেন্নাইকে হারিয়ে লিগ টেবলে দু’নম্বরে রয়েছে তারা। ভূস্বর্গে এখন বরফ পড়ছে। তাই সমস্যা হবে বলে পরপর ছ’টি ম্যাচ বাইরের মাঠে খেলতে হচ্ছে কাশ্মীরকে। দু’টি ম্যাচ খেলে চার পয়েন্ট সংগ্রহ করেছেন সুরচন্দ্র সিংহরা। এই দলে দু’জন বঙ্গসন্তান রয়েছেন যাঁরা বেশ দাপটের সঙ্গে খেলছেন। এঁদের একজন ব্যান্ডেলের আভাস থাপা, অন্য জন আসানসোলের ঋত্বিককুমার দাশ। আভাস এক সময় মোহনবাগান ফুটবল অ্যাকাডেমিতে খেলতেন। ঋত্বিক দ্বিতীয় ডিভিশন থেকে আই লিগে কাশ্মীরকে তোলার ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। তবে দলের অন্যতম সফল মুখ অবশ্য স্কটিশ কোচ ডেভিডসনের ছেলে ম্যাসন রবার্টসন। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ রোখার জন্য তিনিই প্রধান ভরসা কাশ্মীরের। কাশ্মীরের স্কটিশ কোচ তাঁর সহকারী সৌরভ দত্তকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন শহর ঘুরতে। রাতে ক্লাব কর্তৃপক্ষের তরফে ক্রিসমাস ডিনার দেওয়া হয় পুরো দলকে। তিন দিন আগেই শহরে পৌঁছে যাওয়ায় রিয়ালের সুবিধা হয়েছে। দলের কোচ বলেছেন, ‘‘এখানে এসে ঠান্ডা বোধই হচ্ছে না। এটা বিরাট সুবিধা।’’ লিগ টেবলে যখন ইস্টবেঙ্গল এবং রিয়াল কাশ্মীর ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা চড়ছে— তখন মোহনবাগান থেকে ছিটকে গেলেন সনি নর্দে। তিনি অনুশীলন করলেও ডাক্তার নাকি তাঁকে খেলার ছাড়পত্র দেননি। শুক্রবার দশ নম্বর ম্যাচ খেলতে মণিপুর যাচ্ছে শঙ্করলাল চক্রবর্তীর দল। সেই দলে সনি নেই। ফলে দশটির মধ্যে মাত্র আড়াইখানা ম্যাচ খেলার পরেই বিশ্রাম দিতে হচ্ছে হাইতি মিডিয়োকে। রিয়াল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে ৬ জানুয়ারি তাঁকে খেলতে দেখা যাবে। সনি ছাড়াও মণিপুরের দলে যাচ্ছেন না অভিষেক আম্বেকর। তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। দলে নেওয়া হয়েছে দলরাজ সিংহ ও ব্রিটো পি-কে। ফিরছেন শিল্টন পালও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন