Cheteshwar Pujara

অধিনায়ক ব্যাটিং ভঙ্গিতে সন্তুষ্টই, বলছেন পুজারা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক অথবা রঞ্জি ট্রফি। তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন থাকেই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০ ০৮:৫৮
Share:

চর্চায়: স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিলেন পুজারা। ফাইল চিত্র

চেতেশ্বর পুজারার স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। সারা বিশ্বও চর্চায় তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে। টি-টোয়েন্টির যুগে যখন দ্রুত রান করাই নতুন ধারা। পুজারা সেখানে ব্যতিক্রম। তাঁর রান করার কোনও তাড়া নেই। সারা দিন ব্যাট করতে দেওয়া হলে নির্দ্বিধায় তা করে যাবেন। রঞ্জি ট্রফির ফাইনালে ২৩৭ বলে ৬৬ রান করেছিলেন। কিন্তু রাজকোটের বাইশ গজে তাঁর এই ইনিংস দু’দলের মধ্যে পার্থক্য অবশ্যই গড়ে দিয়েছে।

Advertisement

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হোক অথবা রঞ্জি ট্রফি। তাঁর স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন থাকেই। পুজারার খেলার ধরন নিয়ে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট আদৌ সন্তুষ্ট? সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে ভারতীয় তারকা বলেন, ‘‘আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে দলের মধ্যে কথা হয় না। সংবাদমাধ্যমে অন্য কোনও ভাবে ব্যাখ্যা করা হতে পারে। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট আমার এই খেলার ধরনকে সমর্থনই করে। অধিনায়ক অথবা কোচের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ পাইনি।’’ যোগ করেন, ‘‘একটি বিষয়ে পরিষ্কার করে দিতে চাই। স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সবাই ভাবে টিম ম্যানেজমেন্ট কী ভাবে দেখছে। কিন্তু আমাকে কখনও এ ধরনের কোনও চাপের মধ্যে পড়তে হয়নি। বরং আমার পদ্ধতিকে সমর্থনই করা হয়।’’

৭৭টি টেস্টে পুজারার ব্যাটিং গড় ৪৮.৬৬। তবুও তাঁকে নিয়ে সমালোচনা করতে পিছুপা হয় না সোশ্যাল মিডিয়া। পুজারা বলছিলেন, ‘‘রঞ্জি ফাইনালের সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার স্ট্রাইক রেট নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কেন এত রান করতে এত বল নষ্ট করছি। কিন্তু আমি কি এক বারও সেই প্রশ্নকে পাত্তা দিয়েছি? আমার কাজ দলের জয় নিশ্চিত করা। কারও সমালোচনার জবাব দেওয়া নয়।’’ আরও বলেন, ‘‘শুধু আমি কেন, অনেক ব্যাটসম্যানকেই এ ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। কী আর করা যাবে। আমি তো ডেভিড ওয়ার্নার অথবা বীরেন্দ্র সহবাগ হতে পারব না। আমি যে রকম, সে রকমই থাকব।’’

Advertisement

নিউজ়িল্যান্ডে ভারতের ০-২ টেস্ট সিরিজ হারের পরে অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্নের মুখে পুজারার ছন্দও। তিনি নিজে তাঁর ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি? ভারতীয় তারকার জবাব, ‘‘এই মরসুম নিয়ে আমি খুশি বলতে পারব না। কিন্তু সন্তুষ্টও নই। সব সময়েই সেঞ্চুরি করার চেষ্টা করি। আমার গড়ই বলে দেবে, প্রত্যেক দুই ইনিংস অন্তর একটি করে হাফসেঞ্চুরি থাকে। সেটা তো খুব একটা সহজ নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement