সেই দুর্ঘটনার পরে নেতো।
প্রাণ বাঁচবে কি না তাই জানত না তাঁর পরিবার। বাঁচলেও জীবন থেকে ফুটবল চিরতরে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। তিন দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত দুঃস্বপ্নটা কাটছে হেলিও হারমিতো জাম্পিয়ার নেতোর। ফুটবলেও হয়তো ফিরতে পারবেন তিনি।
৩১ বছরের ডিফেন্ডার গত সোমবার কলম্বিয়ায় বিমান দুর্ঘটনা থেকে যে ছ’জন বেঁচে গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এক জন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি এখন স্থিতিশীল। নেতোর ফুসফুস, হাঁটু, কবজি আর মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছে। তাঁর বাবা হেলাম ফেসবুকে জানিয়েছেন, ছেলের শারীরিক অবস্থা দেখে পরিবারের স্বস্তি আর আশা ফিরছে। ‘‘আমার ছেলে ক্রমশ ভাল হয়ে উঠছে। ওর পায়ে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে তবে ডাক্তাররা বলেছেন, ও আবার ফুটবল খেলতে পারবে,’’ বলেছেন তিনি।
তবে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে ফেরা চাপেকোয়েনসের আর এক গোলকিপার জ্যাকসন র্যাগনার ফোলম্যানের ডান পা বাদ দিতে হয়েছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, বাঁ-পাও বাদ দেওয়ার মতো অবস্থা ছিল। সেটা কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। তাঁর বাঁ-পা বাদ যাচ্ছে না। আর এক ডিফেন্ডার অ্যালান রুশেলের চোট শিরদাঁড়ায়। অস্ত্রোপচার হয়েছে, যদিও তাতে রুশেলের চলাফেরায় কোনও প্রভাব পড়বে না।
চাপেকোয়েনসে ফুটবলারদের কফিন এসে পৌঁছল বিমানবন্দরে।
গোটা দুনিয়াকে কাঁপিয়ে দেওয়া এই দুর্ঘটনায় ৭১ জন প্রাণ হারান। যার মধ্যে ১৯ জন চাপেকোয়েনসের ফুটবলার। তাঁদের দেহ শুক্রবার ব্রাজিলে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে কলম্বিয়া থেকে। শনিবার চাপেকোয়েনসে স্টেডিয়ামে স্মরণসভা। লাখখানেক মানুষ থাকতে পারেন সেখানে।
চাপেকোয়নসের সমর্থকদের সঙ্গে স্মরণসভায় থাকবেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ফুটবলারদের স্ত্রী, বান্ধবীরাও। যাঁরা প্রিয়জন হারানোর শোক কাটিয়ে জীবনের পথে ফিরতে এ বার থেকে একসঙ্গে থাকার কথা ভাবছেন। ক্লেবার স্যান্টানার স্ত্রী রোসানগেলা লউরেইরোর দাম্পত্য জীবন ১৫ বছরের। তাঁদের দুই ছেলের বাবার দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পর থেকে আর কান্না থামেনি। ব্রিটিশ মিডিয়াকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা একসঙ্গে এই কঠিন সময়টা কাটানোর চেষ্টা করছি। এক সঙ্গে থাকব, যাতে একে অপরকে সাহায্য করতে পারি।’’
ছবি: টুইটার।