ছবি: এপি।
কলম্বিয়া ১ (কার্লোস বাক্কা)
ইউএস ০
শেষ মুহূর্তে জোড়া লাল কার্ড। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার ঠিক আগে ঝামেলায় জড়িয়ে মাঠ ছাড়লেন ইউএসএ-র সান্তিয়াগো আরিয়াস ও কলম্বিয়ার মাইকেল ওরোজো। দু’জনেই আগে থেকে একটি করে হলুদ কার্ড দেখে থাকলেও ওরোজোকে সরাসরিই লাল কার্ড দেখালেন রেফারি।আরিয়াস দেখলেন দ্বিতীয় হলুদ কার্ড। ম্যাচ অবশ্য ততক্ষণে শেষ করে দিয়েছে বাক্কা। পুরো ম্যাচে উত্তেজনার মুহূর্ত বলতে এই টুকুই। বাকিটা সাদামাটা। খানিকটা গা বাঁচিয়ে খেলে সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা। যেখানে শেষ হাসি হেসে গেল কলম্বিয়া।
কার্লোস বাক্কার একমাত্র গোলে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় স্থানে শেষ করল কলম্বিয়া। ৩১ মিনিটেই লেখা হয়ে গিয়েছিল কলম্বিয়ার জয়ের কাহিনি। যখন হামেস রডরিগেজের উঁচু করে তোলা বল বক্সের মধ্যে পেয়ে গিয়েছিলেন আরিয়াস। সেই বল হেডে ছোট বক্সের সামনেই বাক্কার জন্য সাজিয়ে দিয়েছিলেন আরিয়াস। ভুল করেননি বাক্কা। নিজের মার্কারকে ঘাড়ে নিয়েই গোলকিপারকে কাটিয়ে ইউএস গোলে জমা করেছিলেন সেই বল। এখানেই খেলা শেষ হয়ে যাবে সেটা অবশ্য অতি বড় কলম্বিয়া ভক্তও ভাবেনি। কিন্তু পিছিয়ে পড়ে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না ক্লিন্সম্যানের ছেলেরা।
২০০১-এ এই টুর্নামেন্ট জেতার পর আর এই ফলের ধারে কাছেও পৌঁছতে পারেনি কলম্বিয়া। কিন্তু রবিবার অ্যারিজোনার সকালটা ছিল ইউএসএ-এর জন্য হতাশার। ঘরের মাঠেও চতুর্থ হয়েই থামতে হল। সেমিফাইনালে আর্জেন্তিনার কাছে ৪-০-তে হারায় দলে ছ’টি পরিবর্তন করেছিলেন ইউএস কোচ জুর্গেন ক্লিন্সম্যান। কিন্তু সেই পরিবর্তন হার বদলে জয় এনে দিতে পারল না ক্লিন্সম্যানকে। উল্টোদিকে চিলির কাছে যে দিন ২-০-তে হারে কলম্বিয়া, সে দিন দলে ছিলেন না বাক্কা। সেই বাক্কাকে এ বার ইউএস-এর বিরুদ্ধে ফিরিয়ে এনেই বাজিমাত করল কলম্বিয়া।
পুরো ম্যাচে দুই গোলের সামনেই একাধিকবার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হল কিন্তু গোল আর হল না। যেন ৩১-এই আটকে গিয়েছিল ঘড়ির কাটা। গোলের নিচে ওসপিনা অবশ্য দুরন্ত ছন্দে না থাকলে বদলে যেতে পারত অনেক কিছুই। ৫২ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে ডেম্পসের গোলের ঠিকানা লেখা ফ্রি কিক গোলে গেলে সেমিফাইনালের মেসির ফ্রি কিকের সঙ্গে নিশ্চিত তুলনা হত। যদি না কলম্বিয়া গোলের নিচে ওসপিনা থাকতেন। এর পর ইউএস-র উডের চেষ্টাও প্রতিহত হল সেই ওসপিনার হাতেই। বাক্কার এক গোলের সম্মান পুরো ম্যাচে রেখে গেলেন ওসপিনা।
আরও পড়ুন...