পূজারির স্মরণসভায় মন্দিরেরই প্রশংসা

সচরাচর কোনও অনুষ্ঠানে আর তাঁকে দেখা যায় না। ইদানীং এতটাই অসুস্থ। তবু প্রিয় ‘আইচদা’র টানে রবিবারের দুপুরে শ্রীভূমির মাঠে হাজির প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত ‘বিশ্বশ্রী’-কে শেষ বিদায় জানাতে পারেননি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৬ ০৯:২২
Share:

রবিবার শ্রীভূমিতে মনোহর আইচের স্মরণসভায় স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্ত, লক্ষ্মীরতন শুক্ল, প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, গৌতম সরকার, সমরেশ চৌধুরী ও বিধায়ক সুজিত বসু। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

সচরাচর কোনও অনুষ্ঠানে আর তাঁকে দেখা যায় না। ইদানীং এতটাই অসুস্থ। তবু প্রিয় ‘আইচদা’র টানে রবিবারের দুপুরে শ্রীভূমির মাঠে হাজির প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত ‘বিশ্বশ্রী’-কে শেষ বিদায় জানাতে পারেননি। তাঁর স্মরণসভায় এ দিন বললেন, ‘‘ঈশ্বর ওঁকে এত ভালবাসতেন যে, একশো পেরিয়েও এ রকম ফিট রেখেছিলেন। না হলে আশি ছুঁইছুঁই এই শরীরটাকে টানতে যে কী কষ্ট, সেটা আমি জানি।’’

Advertisement

প্রদীপবাবু অসুস্থ শরীর নিয়েও প্রায় আড়াই ঘণ্টা ছিলেন মঞ্চে। তাঁকে চেয়ারে বসে নীরবতা পালন করতে বললেও তিনি দাঁড়িয়ে থেকেই শ্রদ্ধা়ঞ্জলি জানান। ‘‘আইচদার শরীরটা দেখলে হিংসা হত। আমরা অ্যাথলিট। কিন্তু এই বয়সে ওঁর মতো ফিটনেস ছিল না,’’ বলছিলেন পিকে।

বিধায়ক সুজিত বসুর উদ্যোগে বিশ্বশ্রীর স্মরণসভায় প্রদীপবাবু ছাড়াও এসেছিলেন গৌতম সরকার, সমরেশ চৌধুরী, সুমিত মুখোপাধ্যায়, তুষার শীল ও বাংলা বডি বিল্ডিং সংস্থার সচিব স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রীড়ামন্ত্রী শহরের বাইরে। কিন্তু অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই ছিলেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল। ছিলেন বিশ্বশ্রীর ছাত্ররা এবং পরিবারের সদস্যরাও।

Advertisement

এই অনুষ্ঠানে মনোহরের জীবনের বেশ কিছু অজানা কথা শোনা গেল। তিনি নাকি বডি বিল্ডিংয়ের পাশাপাশি ভাল ঢোলও বাজাতেন। জেলে থাকার সময় এক হাজারটা করে ডন দিতেন। স্বাধীনতার পরে কিছু দিন ব্রিটিশ রেলের কর্মীও ছিলেন। তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে এ দিনও মনোহর আইচের যত্নের ‘মন্দিরের’ প্রশংসাই করে গেলেন সবাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন