এগিয়ে আসছে বিশ্বকাপ। কে জিতবে এ বারের বিশ্বকাপ, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই ভবিষ্যদ্বাণী করতে শুরু করে দিয়েছেন। প্রথমত ফর্ম্যাটে পরিবর্তন এবং তারই সঙ্গে প্রত্যেকটি দলের খেলার সার্বিক মান এতটাই উন্নত হয়ে গিয়েছে, যার ফলে লড়াই এ বার অনেক বেশি কঠিন হতে চলেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ বার প্রতিদ্বন্দ্বিতা অনেক বেশি হাড্ডাহাড্ডি হবে। এই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ভারতের তুরুপের তাস হতে পারেন অনেকেই। তবে তার মধ্যেও সেরার সেরা কারা, যাঁরা ভাল খেললে বিশ্বকাপ সহজেই জয় করবে ভারত? কারা মনোবল বাড়াবেন দলের?
বিশ্বকাপে ভারতের সেরা অস্ত্র স্পিনাররা এতে কোনও সন্দেহ নেই। ইংল্যান্ডের পিচে কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চহাল, রবীন্দ্র জাডেজারা মূল স্তম্ভ, এ কথাও বলাই যায়। বিশ্বমানের স্পিনার তাঁরা।
তবে কুলদীপ যাদবের ক্ষেত্রে প্রত্যাশাটা একটু বেশি। চায়নাম্যানের ভেল্কিতে প্রতিপক্ষের ক’টা উইকেট পড়ে, সেটাই দেখার। ৪৪টি একদিনের ম্যাচে ৮৭টি উইকেট পেয়েছেন তিনি। গড় ২১.৭৫। বেস্ট বোলিং ফিগার ৬/২৫। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পারফরম্যান্স ছিল দুর্দান্ত।
বিশ্বকাপে ভারতের সেরা পেসাররা হলেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমার। গতিতেই প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের ভয় ধারতে পারেন যে কেউ। তবে ভারতীয় ফাস্ট বোলারদের ‘স্পিয়ারহেড’ যশপ্রীতই।
যশপ্রীত বুমরা পেস স্তম্ভের মূল দায়িত্বে এ কথা বললে ভুল কিছু হবে না। তিন ফর্ম্যাটের ক্রিকেটে, সদ্য শেষ হওয়া আইপিএলে দুরন্ত পারফরম্যান্সে মন জয় করেছেন ক্রিকেট অনুরাগীদের। ৪৯ ম্যাচে ৮৫ উইকেট পেয়েছেন।গড় ২২.১৫। ইকনমি রেট ৪.৫১। বেস্ট বোলিং ফিগার ৫/২৭।
বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে অলরাউন্ডারদের মধ্যে রয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য, বিজয় শঙ্কর, রবীন্দ্র জাডেজা। কিন্তু এঁদের মধ্যে আইপিএলে তাক লাগানো পারফরম্যান্স ও ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন হার্দিকই।
২৫ বছরের তরুণ ৪৫টি একদিনের ম্যাচে ৭৩১ রান করেছেন, স্ট্রাইক রেট ১১৬.৫৯। ৪৪টি উইকেটও নিয়েছে। বেস্ট বোলিং ফিগার ৩/৩১।
শিখর ধওয়ন, বিরাট কোহালি, রোহিত শর্মা ভারতের বিশ্বকাপ দলের তিন সদস্যের ব্যাটিং নিয়ে কোনও কথাই হবে না। কিন্তু রানমেশিন অধিনায়ক বিরাট কোহালির উপরে রয়েছে প্রত্যাশার চাপ।
১৭ ইনিংসে ৫৮৭ রান করেছেন বিরাট। ইংল্যান্ডে নিজের স্কোর বোর্ডকে আরও খানিকটা সতেজ করে তুলতে চাইবেন এই আগ্রাসী ক্রিকেটার এতে কোনও সন্দেহ নেই। মেগা ইভেন্টে অধিনায়কের উপরে এমনিই প্রত্যাশা থাকে অনেকটাই বেশি।