Akash Deep to Joe Root

আকাশদীপ কি নো বলে রুটকে আউট করেছেন? বিতর্কের মুখে জবাব ক্রিকেটের আইন নির্ণায়ক সংস্থার

এজবাস্টন টেস্টে জো রুটকে যে বলে আউট করেছিলেন আকাশদীপ তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। বলা হচ্ছিল, সেটি নো-বল ছিল। তা উড়িয়ে দিল ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫ ১১:৪৯
Share:

ভারতের বোলার আকাশদীপ। ছবি: সমাজমাধ্যম।

এজবাস্টন টেস্টে জো রুটকে যে বলে আউট করেছিলেন আকাশদীপ তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। বলা হচ্ছিল, সেটি নো-বল ছিল। তা উড়িয়ে দিল ক্রিকেটের আইন প্রণয়নকারী সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। তারা জানিয়েছে, ক্রিকেটীয় আইন মেনেই বলটি করেছেন আকাশদীপ। আউট নিয়ে কোনও সংশয় নেই।

Advertisement

এমসিসি-র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “গত সপ্তাহে ভারত-ইংল্যান্ড টেস্টের চতুর্থ দিনে আকাশদীপের একটি বল নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যে বলটিতে তিনি জো রুটকে আউট করেছিলেন। কিছু সমর্থক এবং ধারাভাষ্যকারেরা বলছিলেন, সেটি নো বল। আকাশদীপের পা ক্রিজ়‌ে একটু অন্য ভাবে পড়েছিল ঠিকই। তাঁর পায়ের পিছন দিক ক্রিজ়ের বাইরে পড়ে। তবে তৃতীয় আম্পায়ার নো বল না ডেকে ঠিকই কাজ করেছেন। কারণ ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী সেটি সঠিক বল।”

কেন সেটি নো বল হবে না তার ব্যাখ্যা করে এমসিসি বলেছে, “পায়ের যে অংশ প্রথমে মাটিতে পড়েছে সেটিকেই ধরা হবে। আকাশদীপের সামনের পা প্রথম বৈধ জায়গাতেই পড়েছে। তার পরে পিছনের পা রিটার্ন ক্রিজ়‌ে পড়েছে। ওর পায়ের কিছুটা অংশ ক্রিজ়‌ের বাইরে থাকলেও তা গ্রাহ্য নয়। পায়ের যে অংশ আগে মাটি ছুঁয়েছে, সেটিকেই ধরা হবে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের ১১ নম্বর ওভারে বল করছিলেন আকাশ। একটা বল তিনি করেন ক্রিজ়ের একেবারে বাইরের দিক থেকে। ফলে বলের একটা কোণ তৈরি হয়। ফুল লেংথে বল করেছিলেন আকাশ। বল পিচে পড়ে হালকা বাইরের দিকে যায়। রুট ভেবেছিলেন বল ভিতরের দিকে আসবে। সে ভাবেই ব্যাট রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটের পাশ দিয়ে বল গিয়ে স্টাম্পে লাগে। ৬ রানের মাথায় বোল্ড হয়ে ফেরেন রুট।

তার পরেই শুরু হয় বিতর্ক। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যালিসন মিচেল ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বলেন, “আকাশদীপ ক্রিজ়ের বাইরের দিকে গিয়ে বল করেছিল। ওর পিছনের পা রিটার্ন ক্রিজ়ের বাইরে ছিল। প্রায় দু’ইঞ্চি বাইরে ছিল। কিন্তু ক্রিকেটের নিয়ম হল পিছনের পা রিটার্ন ক্রিজ়ের ভিতরে পড়তে হবে। না হলে নো-বল হবে। আমার মনে হয় আম্পায়ার দেখতে ভুল করেছে।”

এমসিসি-র ২১.৫.১ ধারা অনুযায়ী, বল করার সময় কোনও বোলারের পা রিটার্ন ক্রিজ়ের মধ্যে পড়তে হবে। রিটার্ন ক্রিজ় ছুঁয়ে ফেললে তা নো-বল। ২১.৫.২ ধারা অনুযায়ী, সামনের পায়ের অন্তত সামান্য অংশ পপিং ক্রিজ়ের ভিতরে পড়তে হবে। যদি পুরো পা পপিং ক্রিজ়ের বাইরে পড়ে তা হলে নো-বল হবে। তবে এই নিয়মে বলা হয়েছে, পা প্রথম যেখানে পড়বে সেটা বিবেচনা করা হবে। বোলারের বল ক্রিজ়ের মধ্যে পড়ার পর অনেক সময় পিছলে ক্রিজ়ের বাইরে চলে যায়। সে ক্ষেত্রে নো বল হবে না। রিটার্ন ক্রিজ়ের ক্ষেত্রেও দেখা হবে, প্রথমে পা কোথায় পড়েছে। এমসিসি ঠিক এই নিয়মই উল্লেখ করেছে।

রিপ্লে-তে দেখা গিয়েছে, আকাশের পায়ের সামনের অংশ রিটার্ন ক্রিজ়ের ভিতরে পড়েছে। তার পরে গোড়ালি রিটার্ন ক্রিজ়ের বাইরে গিয়েছে। তাই ক্রিকেটের নিয়মে সেটা কোনও ভাবেই নো বল নয়। ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় বিষয়টা বুঝিয়েও বলেন রবি শাস্ত্রী। অর্থাৎ, আকাশের বল কোনও ভাবেই নো নয়। ন্যায্য বলেই রুটকে আউট করেছেন বাংলার পেসার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement