পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্য়ান মহসিন নকভি। —ফাইল চিত্র।
আরও সমস্যায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। গত কয়েক বছরে তাদের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ থেকে শুরু করে ক্রিকেটের উন্নতির দিকে নজর না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্তানের অডিটর জেনারেল তাঁর রিপোর্টে এই আর্থিক দুর্নীতি ফাঁস করেছেন। মোট কত টাকার দুর্নীতি হয়েছে তা জানা না গেলেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
অডিটর জেনারেল তাঁর রিপোর্টে জানিয়েছেন, এমন কিছু ক্ষেত্রে অনেক বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে যা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গত আর্থিক বছরে আন্তর্জাতিক ম্যাচে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীদের খাওয়ার জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। করাচিতে হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে অনূর্ধ্ব-১৬ স্তরে তিন কোচকে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁদের বেতন বাবদ সাড়ে ১৬ লক্ষ টাকা খরচ করেছে পাক বোর্ড।
২০২৪ সাল থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। তিনি পাকিস্তান সরকারের মন্ত্রীও। তাঁর বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত এক বছরে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের জন্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেছে বোর্ড। মিডিয়া সেন্টারের ডিরেক্টরের পিছনে মাসে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা করে খরচ করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান নকভির জন্যও যে টাকা খরচ হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গত এক বছরে তাঁর বিদেশ সফরে গিয়ে থাকা-খাওয়া ও যাতায়াতের জন্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছে বোর্ড। এক বছরে বোর্ডের বুলেটপ্রুফ গাড়ির তেলের জন্য প্রায় ৬০ লক্ষ ও মালপত্র বহনের পিছনে প্রায় ৬৮ লক্ষ টাকা খরচ করা হয়েছে।
দেশের মাটিতে ম্যাচের সম্প্রচার স্বত্বের পিছনে লোকসান হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের। বোর্ড জানিয়েছে, তাদের প্রায় ৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। সেই খরচ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অডিটর জেনারেল। গত তিনটে আইসিসি প্রতিযোগিতায় গ্রুপ পর্বও পেরোতে পারেনি পাকিস্তান। সেই কারণে চাপে রয়েছেন বোর্ডের চেয়ারম্যান। তার মধ্যে এই দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় নকভিদের চাপ আরও বেড়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে এখনও বোর্ড কোনও মন্তব্য করেনি।